a
করোনাভাইরাস
গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ৩৭ জন। এ নিয়ে করোনাভাইরাসে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ১১ হাজার ৮৩৩ জন।
এদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়েছে ১৬৮২ জন। এ নিয়ে দেশে মোট করোনাভাইরাসে শনাক্তের সংখ্যা ৭ লাখ ৭০ হাজার ৮৪২ জন।
আজ শুক্রবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে আরও জানানো হয়, গত ১ দিনে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ২১৭৮ জন করোনারোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট ৭ লাখ ৪ হাজার ৩৪১ জন করোনারোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
ফাইল ফটো: করোনাভাইরাস
গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ৭৮ জন। এ নিয়ে করোনাভাইরাসে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ৯ হাজার ৭৩৯ জন।
এদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়েছে ৫৮১৯ জন। এ নিয়ে দেশে মোট করোনাভাইরাসে শনাক্তের সংখ্যা ৬ লাখ ৮৪ হাজার ৭৫৬ জন।
আজ রবিবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে আরও জানানো হয়, গত ১ দিনে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৪২১২ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট ৫ লাখ ৭৬ হাজার ৫৯০ জন করোনারোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
ফাইল ছবি
বিরোধী রাজনৈতিক দল ও ভিন্নমত দমন করতে পুলিশ বাহিনী রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ওপর খবরদারি, নাগরিকদের মুঠোফোন ও দেহ তল্লাশিসহ যে ধরনের তৎপরতা চালাচ্ছে, তা গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের সম্পূর্ণ পরিপন্থী বলে মনে করেন ২৪ বিশিষ্ট নাগরিক।
আজ রবিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে তাঁরা এ অভিমত জানান। পাশাপাশি এমন কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন তারা।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সভা-সমাবেশের অধিকার আমাদের সংবিধানসম্মত মৌলিক অধিকার। আমরা সরকারকে এ অধিকারের লঙ্ঘন থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। বিরোধী দলগুলোর নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দমন-পীড়ন-নির্যাতন থেকে বিরত থাকার দাবি জানাচ্ছি। উপযুক্ত প্রমাণ ছাড়া যেসব বিএনপির নেতা-কর্মীরা গ্রেপ্তার হয়েছেন, তাঁদের অবিলম্বে মুক্তি প্রদানের দাবি করছি।’
ঢাকায় বিএনপির গণসমাবেশের স্থান নির্ধারণ নিয়ে বিতর্ক-উত্তাপের মধ্যে গত বুধবার বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলটির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এতে একজন নিহত এবং অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী আহত হন। পরদিন বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে তাঁদের বাসা থেকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। এ ছাড়া দলটির চার শতাধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করে সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় আসামি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কয়েক মাস ধরে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনসহ বিভিন্ন দাবিতে দেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপি সারা দেশে শান্তিপূর্ণভাবে সভা-সমাবেশ আয়োজন করে যাচ্ছে। সরকারের নানা বাধা ও উসকানি সত্ত্বেও এসব সভা-সমাবেশের আয়োজন শান্তিপূর্ণই ছিল দাবি করে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘১০ ডিসেম্বর বিএনপি ঢাকায় যে সমাবেশের আয়োজন করে, তাতে সরকার যেভাবে দমন-নির্যাতন চালিয়েছে, আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। বিশেষ করে বিএনপির প্রস্তুতি সমাবেশে পুলিশের গুলি করে একজনকে হত্যা ও আরও অনেককে আহত করা। পাশাপাশি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপির নেতা-কর্মীদের ঢালাওভাবে গ্রেপ্তার ও মামলা দায়ের এবং বিএনপি কার্যালয়ে পুলিশের হামলার ঘটনা বাক্স্বাধীনতা ও সভা-সমাবেশের অধিকারের চরম লঙ্ঘন বলে আমরা মনে করি।’
বিবৃতিদাতারা হলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এম হাফিজ উদ্দিন খান, মানবাধিকারকর্মী হামিদা হোসেন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, আইনজীবী সালমা আলী, আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, মানবাধিকারকর্মী শিরিন হক, শারমীন মুরশিদ, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শাহদীন মালিক, সুব্রত চৌধুরী, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ নজরুল, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মির্জা তাসলিমা সুলতানা ও নাসরিন খন্দকার, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাইদুল ইসলাম, মানবাধিকারকর্মী নূর খান, রেহনুমা আহমেদ, হানা সামস আহমেদ, নাসের বখতিয়ার, গবেষক বীণা ডি’কস্টা, সায়দিয়া গুলরুখ ও রোজিনা বেগম। সূত্র: বিডি প্রতিদিন