a
ফাইল ছবি: সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী (৮৭) আর নেই। রবিবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টা ৪০ মিনিটে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) তিনি ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি...রাজিউন)।
সাজেদা চৌধুরীর ছেলে শাহদাব আকবর চৌধুরী লাবু তার মায়ের মৃত্যুর তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন। উচ্চরক্তচাপসহ বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যা নিয়ে আগস্টের শেষের দিকে ঢাকার সিএমএইচে ভর্তি হন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে তিনি নানান জটিল রোগে ভুগছিলেন।
ফরিদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। তিনি এক সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বেও ছিলেন। ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি জাতীয় সংসদের উপনেতা হন।
সৈয়দা সাজেদা চৌধরীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পৃথক শোক বার্তায় তারা মরহুমার রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু এমপি।
সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ সাজেদা চৌধুরীর প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বাদ জোহর তার নির্বাচনী এলাকা নগরকান্দায় হবে দ্বিতীয় নামাজে জানাজা। বাদ আসর রাজধানীর বনানী কবর স্থানে তাকে দাফন করা হবে। সূত্র: ইত্তেফাক
সরকারি ব্যবস্থাপনায় চলতি মৌসুমে পবিত্র হজে যেতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের বর্ধিত নিবন্ধনের সময় শেষ হচ্ছে আজ। এ জন্য হজের কার্যক্রম সম্পৃক্ত ব্যাংকগুলো ছুটির দিনেও খোলা রাখা হয়েছে।
শুক্রবার রাতে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করেছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব আবুল কাশেম মুহাম্মদ শাহীন স্বাক্ষরিত ওই নির্দেশনায় বলা হয়, নির্ধারিত সময় অনুযায়ী শনিবার হজের নিবন্ধন শেষ হচ্ছে। প্রাক নিবন্ধনের ক্রমিক ২৯৪৬২ এর মধ্যে থাকা হজ যাত্রীদের এই সময়ের মধ্যে চূড়ান্ত নিবন্ধন করার কথা বলা হয়েছে। নিবন্ধন শেষে নির্ধারিত ব্যাংকে হজের টাকা জমা দিতে পারবেন।
এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, শনিবার হজ কার্যক্রমে সম্পৃক্ত সব ব্যাংক খোলা থাকবে।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৮ জুলাই সৌদি আরবে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। এবার বাংলাদেশ থেকে ৫৭ হাজার ৫৮৫ জন হজ পালনের সুযোগ পাবেন। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় চার হাজার জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫৩ হাজার ৫৮৫ জন হজে যেতে পারবেন।
সরকারিভাবে হজে যেতে প্যাকেজ-১-এ পাঁচ লাখ ৮৬ হাজার ৩৪০ এবং প্যাকেজ-২-এ পাঁচ লাখ ২১ হাজার ১৫০ টাকা খরচ ধরা হয়েছে। হজ শেষে ফিরতি ফ্লাইট আগামী ১৪ জুলাই শুরু হয়ে শেষ হবে ১৪ আগস্ট। সূত্র: যুগান্তর
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
মুন্না শেখ, জবি প্রতিনিধি : জায়নবাদী ইসরাইলের নৃশংস হত্যাযজ্ঞ বন্ধ ও বিশ্ব মানবতাকে এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহবান জানিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে আজ ১০ এপ্রিল ২০২৫ ( বৃহস্পতিবার) "মার্চ ফর প্যালেস্টাইন" কর্মসূচি পালিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে এ পদযাত্রা ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব দূতাবাস এবং বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দিকে অগ্রসর হয়।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক থেকে শুরু হওয়া এ পদযাত্রাটি নয়াবাজার পর্যন্ত যাওয়ার পর সরকার ও পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দের অনুরোধে এবং দেশে চলমান এসএসসি পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে সীমিত পরিসরে কর্মসূচি পালন করা হয়। পরবর্তীতে, জবি শিক্ষক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিলাল হোসাইনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মার্কিন দূতাবাস ও সৌদি আরব দূতাবাসে বাংলা, ইংরেজি ও আরবি ভাষায় প্রণীত স্মারকলিপি জমা দেন।
পদযাত্রায় অংশগ্রহণকারীরা ‘নারায়ে তাকবির আল্লাহু আকবার’, ‘ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ’, ‘তুমি কে আমি কে প্যালেস্টাইন প্যালেস্টাইন’, ‘ফিলিস্তিনে গণহত্যা, বন্ধ কর বন্ধ কর’, ‘মুসলিম উম্মাহ এক করো, ওআইসি হাল ধরো’, ‘ফ্রি ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন, ফ্রম দ্য রিভার টু দ্য সি-প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি’, ‘ওয়ান টু থ্রি ফোর-ইসরাইল নো মোর’ সহ নানাবিধ স্লোগানের মাধ্যমে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন। এছাড়াও, তারা ইসরাইলি পণ্য বর্জন ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপের দাবি জানান।
পদযাত্রা শেষে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। জবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোঃ মোশাররাফ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোঃ রইছ উদ্দীন এর সঞ্চালনায় এ সমাবেশে বক্তারা গাজায় ইসরাইলি বর্বরতার তীব্র নিন্দা জানান। তারা ফিলিস্তিনি নিরীহ নারী-শিশু ও বেসামরিক জনগণের ওপর ইসরাইলি হামলা বন্ধে বিশ্ব নেতাদের জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের আহবান জানান।
সমাবেশে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তিনদফা কর্মসূচি ঘোষণা করেন:
পূর্বে ঘোষিত ইসরাইলি পণ্য আমৃত্যু পুনরায় বর্জনের আহ্বান, ফিলিস্তিনিদের জন্য নামাজ পড়ে দোয়া অব্যাহত রাখা এবং স্মারকলিপি জমাদান পরবর্তী ফলোআপ প্রত্যক্ষ না করা গেলে জাতিসংঘের বাংলাদেশ অফিস ঘেরাও করা।
সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ, ছাত্র সংগঠন, সাংবাদিক সংগঠন এবং কর্মকর্তা ও কর্মচারী সমিতির নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। শেষে গাজায় নিহতদের আত্মার মাগফিরাত ও ফিলিস্তিনিদের জন্য শান্তি কামনা করে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
এ কর্মসূচির মাধ্যমে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ ফিলিস্তিনি জনগণের ন্যায়সঙ্গত সংগ্রামের পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।