a করোনায় (২৩ এপ্রিল) মৃত্যু ৮৮ এবং শনাক্ত ৩৬২৯, সুস্থ ৫২২৫
ঢাকা রবিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩২, ২৭ এপ্রিল, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

করোনায় (২৩ এপ্রিল) মৃত্যু ৮৮ এবং শনাক্ত ৩৬২৯, সুস্থ ৫২২৫


স্বাস্থ্য ডেস্ক:
শুক্রবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২১, ০৪:৪৭
করোনাভাইরাসের সর্বশেষ তথ্য

করোনাভাইরাস

গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ৮৮ জন। এ নিয়ে করোনাভাইরাসে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ১০ হাজার ৮৬৯ জন।
 
এদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়েছে ৩৬২৯ জন। এ নিয়ে দেশে মোট করোনাভাইরাসে শনাক্তের সংখ্যা ৭ লাখ ৩৯ হাজার ৭০৩ জন।
 
আজ শুক্রবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে আরও জানানো হয়, গত ১ দিনে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৫২২৫ জন করোনারোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট ৬ লাখ ৪৭ হাজার ৬৭৪ জন করোনারোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

ক্ষতিকর প্রভাবে শীর্ষে ঢাকা বায়ুদূষণে বাড়ছে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যঝুঁকি


স্বাস্থ্য ডেস্ক: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
শনিবার, ২৫ ফেরুয়ারী, ২০২৩, ০৯:৩৪
ক্ষতিকর প্রভাবে শীর্ষে ঢাকা বায়ুদূষণে বাড়ছে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যঝুঁকি

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর শ্যামলী থেকে প্রতিদিন সাভারে অফিস করেন সোহানা। প্রতিদিন সকাল ৭টায় বাসা থেকে বের হয়ে অফিসে পৌঁছান ৯টায়। আবার অফিস থেকে বিকাল ৫টায় বের হয়ে বাসায় পৌঁছান সন্ধ্যা ৭টায়। বাসায় ফেরার পর তার আর কোনো কিছুই করতে ইচ্ছে করে না। বিছানায় গা এলিয়ে দিয়েই ঘুমিয়ে পড়েন। বাসায় কেউ কোনো কথা বললেই চেঁচামেচি করেন। সোহানা বলেন, তার দিন দিন মেজাজ খিটখিটে হচ্ছিল। অফিসের কাজে মনোযোগ দিতে পারছিলেন না। বুঝতে পারছিলেন এই যাতায়াতটা তার জন্য ভীষণ চাপ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। কিন্তু চাকরিটা তার প্রয়োজন বলেই কাজ করছিলেন। একপর্যায়ে মাথাব্যথা এবং শ্বাসকষ্টের রোগী হয়ে যান। আর এখন তো বাইরে বের হতেই পারেন না বলে জানান সোহানা। একই ধরনের কথা শোনা যায় বিষণ্ণতায় আক্রান্ত রাফিয়া ও ফাহমিদার কণ্ঠে। রাফিয়া দেশের বাইরে থাকেন। তিনি তিন মাস বা ছয় মাস পরপরই দেশে আসেন। কিন্তু দেশের মাটিতে পা রেখেই হাঁচি, কাশি শুরু হয় তার। চিকিৎসকের শরণাপন্ন না হলে তিনি সুস্থ হন না। তিনি বলেন, তিনি বুঝতে পারেন, প্রচণ্ড ধুলাবালির কারণে তার নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয়। অস্থির লাগে, বিষণ্ণ লাগে। দেশে এসে কোনো আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে বা অন্য কোনো কাজ করতে ভালো লাগে না। কেমন যেন অস্থির লাগে।

বায়ুদূষণের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব বিষণ্ণতার ঝুঁকি বাড়ায়। সায়েন্টিফিক জার্নালের ‘জেএএমএ’ নেটওয়ার্কে প্রকাশিত এক সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, বায়ুদূষণের উচ্চমাত্রার দীর্ঘমেয়াদি প্রভাবে প্রবীণদের মধ্যে বিষণ্ণতার ঝুঁকি বাড়ায়। ‘জেএএমএ’ সাইকিয়াট্রিতে প্রকাশিত অন্য গবেষণায় দেখা গেছে যে, নিম্নস্তরের বায়ুদূষণকারীর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাবও বিষণ্ণতা এবং উদ্বেগ বাড়ানোর জন্য দায়ী। মনোবিজ্ঞানী অধ্যাপক ডা. মোহিত কামাল বলেন, বায়ুদূষণে কারণে মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। মানুষ যে প্রকৃতি ও পরিবেশে বসবাস করছে তার ভারসাম্য না থাকলে মানসিক চাপ তৈরি হয়, যা মানুষের ভালো থাকাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।

বায়ুদূষণের ওপর একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিশ্বব্যাংক। যার শিরোনাম—‘ব্রেদিং হেভি: নিউ এভিডেন্স অন এয়ার পলিউশন অ্যান্ড হেলথ ইন বাংলাদেশ’। এতে ঢাকা ও সিলেটের চার অঞ্চল থেকে ১২ হাজার ২৫০ জনের তথ্য ব্যবহার করে বায়ুদূষণের কারণে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর স্বল্পমেয়াদি প্রভাব মূল্যায়ন করা হয়েছে। গবেষণায় বলা হয়েছে, ঢাকায় সারা দিনে এক জন যে পরিমাণে দূষিত বায়ু গ্রহণ করে, তা প্রায় দুটি সিগারেট খাওয়ার সমান ক্ষতিকর। গবেষণায় দেখা গেছে যে, সবচেয়ে বেশি বায়ুদূষণ হচ্ছে ঢাকায়। ঢাকায় যানজট ও নির্মাণাধীন প্রকল্পের কারণে যে পরিমাণ বায়ুদূষণ হয়, তা বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার বায়ুমানের চেয়ে ১৫০ শতাংশ বেশি এবং ইটভাটার কারণে যে দূষণ হয় তা ১৩৬ শতাংশ বেশি। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত মাত্রা থেকে ১ শতাংশ দূষণ বাড়লে বিষণ্নতায় ভোগা মানুষের সংখ্যা ২০ গুণ বেড়ে যেতে পারে।

মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মেঘলা সরকার বলেন, শুধু বায়ুদূষণই যে বড় ধরনের মানসিক রোগ তৈরি করছে, বিষয়টা এমন নয়। তিনি বলেন, যারা অল্পতে উদ্বিগ্ন হন তাদের মানসিক চাপ, উদ্বেগ বা বিষণ্ণতা বায়ুদূষণের ফলে তীব্র হয়ে ওঠে। যার কারণে মনোযোগে সমস্যা হতে পারে, মেজাজ খিটখিটে হতে পারে। উৎপাদনশীলতা কমে যেতে পারে বলে তিনি জানান।

বায়ুদূষণের মূল কারণ:গবেষণায় বায়ুদূষণের প্রধান তিনটি উৎসের কথা বলা হয়েছে সেগুলো হলো যানবাহনের ধোঁয়া, বিশেষ করে মেয়াদোত্তীর্ণ যানবাহনের ধোঁয়া, যা বেশ মারাত্মক। এরপরই রয়েছে শুষ্ক মৌসুমে নির্মাণকাজের কারণে সৃষ্ট ধুলা। তৃতীয় স্থানে আছে ইটভাটার ধোঁয়া। গত তিন বছর ধরে বায়ুর মান সূচকে ঢাকা সবচেয়ে দূষিত না হলেও দ্বিতীয় দুষিত শহর হিসেবে স্থান পাচ্ছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, বায়ুদূষণের কারণে সবচেয়ে বেশি বিষণ্ণতায় ভুগছেন ৬৫ বছর কিংবা তার চেয়ে বেশি বয়সীরা। বায়ুদূষণের কারণে প্রভাব পড়ছে মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর। গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশের দূষণপ্রবণ এলাকাগুলোর প্রায় ১৪ শতাংশ বাসিন্দা বিষণ্ণতায় ভুগছেন, বলে যা কম দূষণ আক্রান্ত এলাকার চাইতে বেশি। গবেষণায় বিভিন্ন প্রশ্নের মাধ্যমে মানসিক স্বাস্থ্য পরিস্থিতি পরিমাপ করা হয়। সূত্র: ইত্তেফাক

কলাম লেখক: মোরশেদা ইয়াসমিন পিউ

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

দোকানপাট ও শপিংমল রোববার থেকে খোলা


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
শুক্রবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২১, ১১:৪৫
দোকানপাট ও শপিংমল রোববার থেকে খোলা

ফাইল ছবি

আগামী রবিবার (২৫ এপ্রিল) থেকে দোকানপাট ও শপিংমল স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। শুক্রবার দুপুরে উপসচিব মো. রেজাউল ইসলাম স্বাক্ষরিত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বাজার অথবা সংস্থার ব্যবস্থাপনা কমিটি প্রয়োজনী সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

বিধিনিষেধের মধ্যেই দোকানপাট ও শপিংমল খোলার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সারাদেশে দ্বিতীয় দফায় গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে ‘লকডাউন’ শুরু হয় এবঙ তা চলবে আগামী ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত।

করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সরকার জনসমাগম এড়াতে প্রথমে ৫ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত নানা বিধিনিষেধ আরোপ করে। পরে এ নিষেধাজ্ঞা আরও দুই দিন বাড়িয়ে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়। সে সময় সরকারি-বেসরকারি অফিস, শিল্পকারখানা, গণপরিবহন চালু ছিল।

পরবর্তীতে ১৪ এপ্রিল থেকে ১ সপ্তাহের জন্য সব ধরনের অফিস ও পরিবহন বন্ধে রাখার পাশাপাশি বাজার-মার্কেট, হোটেল-রেস্তোরাঁসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ প্রদান করা হয়। তবে উৎপাদনমুখী শিল্প কারখানায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা রাখার অনুমতি দেওয়া হয়।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

সর্বশেষ - স্বাস্থ্য