a
ফাইল ছবি
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুকে পরিবারের কাছে ফেরত দেওয়ার জোর আহ্বান জানিয়েছেন দলটির সিনিয়র যগ্ম মহাসচিব রিজভী। রোববার রাতে এক বিবৃতিতে তিনি এই আহ্বান জানান।
রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুকে তার নিজ বাসভবন থেকে গোয়েন্দা পুলিশ তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ তুলেছে দলটি।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘তাকে কোথায় তুলে নিয়ে গেছে তার হদিস এখনো জানানো হয়নি। এই ঘটনা গণতান্ত্রিক অধিকারের ওপর চরম আক্রমণ। সরকার দেশ-বিদেশে সর্বদিক থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে এখন মরণ কামড় দিচ্ছে। সাজানো পুলিশ প্রশাসন দিয়ে গণতান্ত্রিক শক্তির ওপর বর্বরোচিত আক্রমণ চালানো হচ্ছে। মজনুকে আটকের সরকারের সুপরিকল্পিত চক্রান্তের অংশ। দেশকে দেউলিয়া করে এখন মানুষের প্রতিবাদের ভাষা কেড়ে নিতে নিষ্ঠুর পন্থা অবলম্বন করেছে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সরকারের পতনের সম্ভাবনা দেখে দিগ্বিদিক জ্ঞান শূন্য হয়ে পড়েছে। তাই দেশব্যাপী শুরু করেছে গায়েবি মামলা ও গ্রেফতারের হিড়িক। আমি রফিকুল আলম মজনুর গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং গোয়েন্দা পুলিশের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি রফিকুল আলম মজনুকে কোথায় রাখা হয়েছে তার হদিস দিয়ে তাকে তার পরিবারে কাছে ফেরত দেওয়ার জোর আহ্বান জানাচ্ছি।’ সূত্র: যুগান্তর
ফাইল ছবি । ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, সরকার করোনার ব্যর্থতা আড়াল করতে এখন অনেক নাটক মঞ্চস্থ করছে। সেই নাটকগুলো নিয়ে গণমাধ্যমকে ব্যস্ত রাখা হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়াগুলোও ব্যস্ত আছে। কার বাড়িতে কত মদের বোতল বেরোল, কার বাড়িতে কতগুলো ইয়াবা ট্যাবলেট বেরোল এটাই এখন নিউজ।
কিন্তু করোনায় মৃত্যু ও সংক্রমণের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। প্রতিদিনই মানুষ মরছে। নতুন আতঙ্ক দেখা দিয়েছে ডেঙ্গু। এগুলোকে পাশ কাটানোর জন্যই সরকার এখন মদ, ইয়াবা, এলএসডি নিয়ে ব্যস্ত। যারা এসব অসামাজিক কাজ করে বেড়াচ্ছে, এতদিন কি সরকারের চোখে পড়েনি?
চিত্রনায়িকা পরীমণিসহ একজন প্রযোজকের বাসা থেকে বিদেশি মদসহ বিভিন্ন অবৈধ জিনিসপত্র উদ্ধার ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে গতকাল দুপুরে এক ভার্চুয়াল আলোচনায় এই অভিযোগ করেন তিনি। ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির উদ্যোগে কভিড-১৯ হেল্প সেন্টারের উদ্বোধন উপলক্ষে এই ভার্চুয়াল অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উপস্থিত ছিলেন। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
সংগৃহীত ছবি
করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ রোধ করতে আগামী সোমবার (২৮ জুন) থেকে সারাদেশে লকডাউন দিয়েছে সরকার। তবে আগামী বুধবার পর্যন্ত সব ধরনের আর্থিক প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে। এর পরদিন বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) থেকে সাত দিনের জন্য সারাদেশে সর্বাত্মক লকডাউন শুরু হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপতিত্বে উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠকে শনিবার (২৬ জুন) সন্ধ্যায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তথ্য অধিদফতরের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুরথ কুমার সরকার শনিবার রাতে গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত সীমিত পরিসরে লকডাউন কার্যকর করবে সরকার। আর বৃহস্পতিবার থেকে ৭ দিনের জন্য পুরোপুরি লকডাউন থাকবে দেশ।
প্রসঙ্গত, এর আগে, ২৪ জুন কোভিড-১৯ কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সারাদেশে ১৪ দিনের ‘শাটডাউন’- এর সুপারিশ করা হয়।