a
ফাইল ছবি
চীনকে ঠেকাতে বিতর্কিত দক্ষিণ চীন সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে জোট বেঁধে কয়েকটি যুদ্ধজাহাজ নামিয়েছে ভারত। এই পদক্ষেপকে নয়াদিল্লি মিত্র দেশগুলোর সঙ্গে নিরাপত্তা সম্পর্ক বাড়ানোর প্রচেষ্টা বলে দাবি করেছে। খবর পার্সটুডের।
ভারতের নৌবাহিনী আজ বুধবার এমনটাই জানিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, একটি গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার ও একটি মিসাইল ফ্রিগেটসহ চারটি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করা হয়েছে। এসব যুদ্ধজাহাজ দুই মাসের জন্য দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণ চীন সাগর ও পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে মোতায়েন থাকবে।
এসব পদক্ষেপে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, চীনকে মোকাবেলার জন্য আমেরিকার সঙ্গে জোট বেঁধে ভারত এই যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করে বৃহত্তর ভূমিকা পালন করার অন্যতম প্রয়াস। জাহাজ মোতায়েনের অংশ হিসেবে গুয়াম উপকূলে ভারতের যুদ্ধজাহাজগুলো আমেরিকা, জাপান এবং অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে বার্ষিক যৌথ মহড়ায় যোগ দেবে বলে জানিয়েছে।
ফাইল ছবি । নরেন্দ্র মোদি
মহারাষ্ট্রের এক চা বিক্রেতা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে দাড়ি কাটার জন্য ১০০ রুপি মানি অর্ডার করে পাঠিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, যদি প্রধানমন্ত্রী কিছু বাড়াতেই চান তাহলে দাড়ি নয়, দেশে কাজের সুযোগ বৃদ্ধি করুন। করোনা টিকার সংখ্যা বাড়ান।
ওই চা বিক্রেতা মহারাষ্ট্রের বারামাটির বাসিন্দা। তারা নাম অনিল মোরে। ইন্দ্রপুর রোডে এক বেসরকারি হাসপাতালের উল্টো দিকে ছোটখাটো একটি চায়ের দোকান চালান তিনি। এ বিষয়ে অনিল বারবার জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীকে অসম্মান করার কোনও অভিপ্রায় থেকে এই কাজ করেননি।
অনিল বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নিজের দাড়ি বাড়াচ্ছেন। যদি কিছু বাড়াতেই হয় তাহলে সেটা হওয়া উচিত দেশের কর্মসংস্থান। পাশাপাশি দেশে টিকাকরণের গতি বাড়ানো হোক। বাড়ানো হোক হাসপাতালের সংখ্যা। গত দুটি লকডাউনের ফলে সাধারণ মানুষকে যে দুর্দশার মধ্যে পড়তে হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর উচিত যাতে মানুষ এটা থেকে বেরিয়ে আসতে পারে সে চেষ্টা করা।”
অনিল আরো বলেন, দেশে প্রধানমন্ত্রীর স্থানই যে সর্বোচ্চ তা ভাল করেই জানেন তিনি। তার মতে, “আমি তাকে একশ’ রুপি পাঠিয়েছি, যাতে উনি নিজের দাড়িটা কেটে ফেলেন। কিন্তু উনি আমাদের মহান নেতা। প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আমার পূর্ণ শ্রদ্ধা ও আস্থা রয়েছে। তার অবমাননা করার কোনও ইচ্ছাই আমার নেই। কিন্তু যেভাবে মহামারীর কবলে পড়ে দিনের পর দিন দেশের গরিব মানুষের সমস্যা বেড়েই চলেছে, তাতে এভাবে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করা ছাড়া উপায় ছিল না।”
উল্লেখ্য, নিজের চিঠিতে মোদির কাছে অনিলের আরো আরজি ছিল যে, যারা করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন তাদের পরিবারগুলোকে ৫ লাখ টাকা করে সাহায্য করুক কেন্দ্রীয় সরকার। সেই সঙ্গে লকডাউনে বিধ্বস্ত পরিবারগুলোকেও দেওয়া হোক ৩০ হাজার টাকা।
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ খানের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। গত মঙ্গলবার (০৩ আগস্ট ) সকাল ১০:৩০ মিনিটে নবীনগর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের দঃ লক্ষীপুর নিজ বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়েছে তাঁর। এর আগে গ্রামের ঈদগাহ মাঠে তাঁর প্রথম জানাযা অনুষ্ঠিত হয়।
মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ খানের দাফনের আগে নবীনগর থানা পুলিশের একটি চৌকস দল ও কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি দল গার্ড অব অনার প্রদান করেন। এ সময় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের সাবেক সভাপতি, ওয়ার্ডের মেম্বার ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, তিনি দির্ঘ্যদিন যাবৎ হৃদরোগে ভুগছিলেন। গত সোমবার (০২ আগস্ট ) বিকেলে তিনি তাঁর নিজ বাসভবনে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান। তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩২ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট থেকে কর্পোরাল পদমর্যাদা নিয়ে অবসর গ্রহণ করেছিলেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।