a
ফাইল ছবি
সরকারের পদত্যাগসহ গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার এক দফা দাবিতে আগামী শুক্রবার (১১ আগস্ট) ঢাকা মহানগরে গণমিছিলের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। এবার এই কর্মসূচিতে বিএনপির সঙ্গে থাকবে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দলগুলোও। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণে ওইদিন দুটি গণমিছিল হবে।
বুধবার (৯ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘শুক্রবার বাদ জুমা ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর বিএনপির পক্ষ থেকে দুটি গণমিছিল করা হবে। আলাদা করে একইসময় গণমিছিল দুটি হবে।’ বিএনপির সঙ্গে এক দফা দাবিতে আন্দোলনে থাকা অন্য দলগুলোও একইদিনে যুগপৎভাবে এই কর্মসূচি পালন করবে বলেও জানান তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আশা করি, সরকার আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দেবে না। বাধা দিলে তার দায় সরকারকে নিতে হবে।’
তিনি জানান, বিএনপি ছাড়াও আগামী শুক্রবার তাদের সমমনা দলগুলো আলাদাভাবে কর্মসূচি পালন করবে। সূত্র: ইত্তেফাক
ফাইল ছবি
আজ শনিবার যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে রাজধানীসহ সব মহানগরে একযোগে সমাবেশ করবে বিএনপি । সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবিতে হবে এ সমাবেশের ডাক দিয়েছে। সমাবেশ সফল করতে দফায় দফায় বৈঠক করে যাচ্ছেন নেতারা। ১২ সাংগঠনিক মহানগরে আজ বেলা ২টা থেকে শুরু হবে সমাবেশ।
এর মধ্যে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের উদ্যোগে সমাবেশ হবে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে। এতে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস থাকবেন। এ ছাড়া নারায়ণগঞ্জে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, খুলনায় ড. আবদুল মঈন খান, কুমিল্লায় নজরুল ইসলাম খান, চট্টগ্রামে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, রংপুরে বেগম সেলিমা রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন। বরিশালে থাকবেন ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, সিলেটে মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, গাজীপুরে বরকত উল্লাহ বুলু, ফরিদপুরে মো. শাহজাহান, রাজশাহীতে অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন ও ময়মনসিংহে শামসুজ্জামান দুদু।
কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে সাংগঠনিক মহানগরে পাঠানো এক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, মহানগরের সব কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির নেতা, সাবেক সংসদ সদস্য ও মেয়র অতিথি হিসেবে থাকবেন।
এদিকে যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিএনপির সঙ্গী জোটগুলো আজ রাজধানীতে সমাবেশ করবে। গণতন্ত্র মঞ্চ, এলডিপি, ১২-দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, গণফোরাম (মন্টু) ও বাংলাদেশ পিপলস পার্টি, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য ও সমমনা পেশাজীবী গণতান্ত্রিক জোটও পৃথকভাবে বিভিন্ন স্থানে সমাবেশ করার কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছে।
এদিকে বিএনপির সমাবেশের দিনে মহানগরগুলোতে আওয়ামী লীগ থাকবে সতর্ক পাহারায়। রাজধানীসহ সকল মহানগর সদরে ‘বিএনপি-জামায়াতের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র, নৈরাজ্য-সহিংসতা ও আগুন-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে’ ক্ষমতাসীন দল ও তাদের সহযোগী সংগঠন শান্তি ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করতে সংগঠনটির পক্ষ থেকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। সূত্র: ইত্তেফাক
ছবি সংগৃহীত
জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিন বিশেষ ফজিলতপূর্ণ। যারা সামর্থ্যবান ব্যক্তি তারা হজ ও কোরবানি আদায় করবেন এবং বেশি বেশি নফল রোজা রাখার চেষ্টা করবেন।
এছাড়াও ছোট ছোট অনেক আমল আছে সেদিকে মনোযোগী দেয়ার তাগীদ আছে। জিলহজ মাসে চাঁদ উঠা থেকে শুরু করে ঈদের দিন কোরবানি পূর্ব পর্যন্ত চুল, নখ ইত্যাদি কাটা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। আর এসব ছোট ছোট কাজগুলো সম্মানিত হাজিদের হজের কাজগুলোর সাথে সাদৃশ্য পায় বলে এসব ছোট কাজগুলোর মধ্যেই অনেক ফজিলত। তাই এসব ব্যাপারে সকলকে যত্নবান হওয়া উচিত।
হাদীছে সামর্থ্যবান ব্যক্তিদের ওপর কোরবানি করা ওয়াজিব করা হয়েছে। এই সময়গুলোর মধ্যে কোরবানির সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে হয়। উল্লেখ্য, শরীরের অবাঞ্ছিত লোম কাটার তাগিদ ইসলামে থাকলেও এই সময় সেসব চুল ও নখ কাটারও নিষেধ করা হয়েছে।
এটি মুস্তাহাব একটি আমল। উম্মে সালামা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তির কাছে কোরবানির পশু আছে সে যেন জিলহজের চাঁদ দেখার পর থেকে কোরবানি করা পর্যন্ত তার চুল ও নখ না কাটে। (মুসলিম, হাদিস : ৪৯৫৯; আবু দাউদ, হাদিস : ২৭৮২)
মুস্তাহাব এই আমল করার জন্য জিলহজ আগমনের আগেই চুল-নখ কেটে-ছেঁটে পরিপাটি হয়ে থাকা উচিত, যেন পরবর্তী সময়ে বেশি লম্বা হয়ে না যায়।
অপরদিকে, যাদের ওপর কোরবানি ওয়াজিব নয় তারাও আমলটি করতে পারে। হাদিসে বর্ণিত আছে—এই আমলটি তাদের জন্য কোরবানির সমতুল্য।
আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আমার প্রতি আজহার (১০ জিলহজ) দিন ঈদ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাকে আল্লাহ তাআলা এই উম্মতের জন্য (ঈদ হিসেবে) নির্ধারণ করেছেন। তখন এক ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করে, (হে আল্লাহর রাসুল) আপনি বলুন, (যদি আমার কোরবানির পশু ক্রয়ের সামর্থ্য না থাকে), কিন্তু আমার কাছে এমন উট বা বকরি থাকে, যার দুধ পান করার জন্য বা মাল বহন করার জন্য তা প্রতিপালন করি। আমি কি তাকে কোরবানি করতে পারি? তিনি বললেন, না; বরং তুমি তোমার মাথার চুল, নখ ও গোঁফ কেটে ফেল এবং নাভির নিচের চুল পরিষ্কার করো। এটাই আল্লাহর কাছে তোমার কোরবানি। (আবু দাউদ, হাদিস : ২৭৮০)
নারী ও শিশুরাও এই ফজিলতপূর্ণ আমলে শামিল হতে পারে। তাদের আমলের প্রতি পিতা-মাতাগণ উৎসাহিত করতে পারেন। সাহাবায়ে কিরাম ও তাবেঈদের আমল থেকে এটাই প্রমাণিত হয়। ওলিদ বিন মুসলিম (রহ.) বলেন, আমি মুহাম্মাদ বিন আজলান (রহ.)-কে জিলহজের প্রথম দশকে চুল কাটা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তখন তিনি বলেন, আমাকে নাফে (রহ.) বলেছেন, আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) এক নারীর কাছ দিয়ে অতিক্রম করছিলেন। ওই নারী জিলহজের প্রথম দশকের ভেতরে তার সন্তানের চুল কেটে দিচ্ছিলেন। তখন তিনি বলেন, যদি ঈদের দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে, তাহলে অনেক ফজিলত হতো। (মুস্তাদরাকে হাকেম, হাদিস : ৭৫২০)