a পেঁয়াজের বাজার আবারও অস্থির
ঢাকা মঙ্গলবার, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২, ১৪ অক্টোবর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

পেঁয়াজের বাজার আবারও অস্থির


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
সোমবার, ২১ আগষ্ট, ২০২৩, ১০:২০
পেঁয়াজের বাজার আবারও অস্থির

ফাইল ছবি

ভারতের বর্ধিত শুল্কারোপের পেঁয়াজ দেশে আসার আগেই ব্যবসায়ীরা মূল্য বাড়িয়ে অস্থির করে তুলেছে বাজার। গত দু’দিনে আমদানি পর্যায়ে ১০ টাকা এবং খুচরায় কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত এর মূল্য বাড়ানো হয়। অতিমুনাফার লোভে অসাধু ব্যবসায়ীরা কাজটি করেছে।

স্থলবন্দরগুলোর কাস্টমসের তথ্য মতে, ভারতের রফতানি শুল্ক বাড়ানোর কোনো পেঁয়াজ এখন পর্যন্ত দেশে প্রবেশ করেনি। মূল্য বৃদ্ধির পরিস্থিতি সামাল দিতে দিনাজপুরে অভিযান চালিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

অপর দিকে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, চীন, জাপান, ইরান, মিসর ও তুরস্কসহ যে কোনো দেশ থেকে পেঁয়াজ আনতে চাইলে আমদানির অনুমোদন দেওয়া হবে। সোমবার সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের সঙ্গে আলাপ করেছি। তারা বলেছে আমরা বিষয়টি বিবেচনা করছি।

প্রসঙ্গত, গত ১৯ আগস্ট শনিবার ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর ৪০ শতাংশ শুল্কারোপ করেছে ভারত। অভ্যন্তরীণ বাজারে ক্রমবর্ধমান দাম নিয়ন্ত্রণে একটি ব্যবস্থা হিসাবে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই সংবাদের পরপর বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজের দামে অস্থিরতা দেখা দেয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাজারে পেঁয়াজের মূল্য দাঁড়িয়েছে সর্বোচ্চ ১০০ টাকা কেজি। বেনাপোলের আমদানিকারক জান্নাত এন্টারপ্রাইজের মালিক আল মামুন গণমাধ্যমকে জানায়, সবশেষ ভারত থেকে ৩৮ থেকে ৪৬ টাকায় পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। বর্ধিত শুল্কারোপের পর পেঁয়াজ আমদানি করলে তার মূল্য পড়বে কেজি প্রতি ৫৩ থেকে ৬৫ টাকা পর্যন্ত। অথচ পুরোনো আমদানিকৃত পেঁয়াজই বিক্রি হচ্ছে শতটাকা কেজি।

প্রশ্ন উঠেছে বাজার মনিটরিং দুর্বল ব্যবস্থা নিয়েও। এ প্রসঙ্গে কৃষিমন্ত্রী বলেন, মনিটরিং দুর্বল না। আসলে খোলা বাজার অর্থনীতি। সেখানে বাজার কতটা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। কাজেই ইচ্ছা করলেই বাজার মনিটরিং করে নিয়ন্ত্রণ করতে পারব না। বিষয়টি নির্ভর করছে চাহিদা ও সরবরাহের ওপর। আমরা কেন সিন্ডিকেট ভাঙতে পারছি না। আসলে সিন্ডিকেট ভাঙা অনেক কঠিন। তবে পেঁয়াজ সেলফলাইফ বাড়াতে পারলে ভবিষ্যতে এ নিয়ে সমস্যা থাকবে না।

রাজধানীর পাইকারি আড়ত শ্যাম বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৭৫ টাকা। যা দুই দিন আগে ৬০-৬৫ টাকা ছিল। বিদেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬৫ টাকা, যা আগে ৪৫-৫৫ টাকা ছিল।

রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা। আর পাড়া-মহল্লার দোকানে ১০০ টাকা। গত দুই দিন আগেও ৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।  সূত্র: যুগান্তর

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

একবার ১ জন করোনা রোগীকে দেখে যান, কষ্ট সহ্য করার মতো না


স্বাস্থ্য ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
শনিবার, ২৪ জুলাই, ২০২১, ১০:০১
একবার ১ জন করোনা রোগীকে দেখে যান, কষ্ট সহ্য করার মতো না

সংগৃহীত ছবি: লাইভে ডা. কৃষ্ণা মজুমদার রুপা

ফেসবুক লাইভে এসে করোনা রোগীদের মৃত্যুর যন্ত্রণার ভয়াবহ বর্ণনা দিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. কৃষ্ণা মজুমদার রুপা। বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টায় ফেসবুক লাইভে এসে এই চিকিৎসক বলেন, ‘একবার একজন করোনা রোগীর সঙ্গে এসে দেখা করে যান। আমি প্রায় শখানেক রোগী আজকে দেখেছি। কোনো স্বজনের চোখের দিকে তাকানো যাচ্ছে না। 

আপনারা এই জগৎ দেখেন নাই, কিন্তু কখনো দেখবেন না সেই গ্যারান্টি ওপরওয়ালা ছাড়া কেউ বলতে পারেন না। অত্যন্ত দুঃখ-ভারাক্রান্তভাবে বলছি, একেক জনের কষ্ট সহ্য করার মতো না। সর্বোচ্চ চিকিত্সা দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু জানি না আজকের দিনটা বাঁচবেন কি না।’

বৃহস্পতিবার ঈদুল আজহার দ্বিতীয় দিন ৯২ জন রোগী দেখেছেন জানিয়ে ডা. কৃষ্ণা বলেন, ‘আগেও ডিউটি করেছি, কিন্তু রোগীদের অবস্থা এত শোচনীয় ছিল না। সবাই মৃত্যুর যন্ত্রণায় ভুগছেন। অক্সিজেনের অভাবে কত কষ্টে একজন মানুষ মারা যেতে পারে, সামনে না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। অক্সিজেন সাপ্লাই থাকার পরও নিতে পারছে না। কারণ, তাদের ফুসফুস অক্সিজেন নেওয়ার সক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে।’

পিপিই পরা অবস্থায় লাইভে এসে তিনি বলেন, ‘এই পোশাকে আমরা ডিউটি করি। দম বন্ধ অবস্থায় এই পোশাক পরে ডিউটি করতে হয়। যেখানে ডিউটি করি সেখানে এসি নেই। না থাকাটাই স্বাভাবিক। এই পোশাকে অক্সিজেন পাওয়া যায় না, চোখ ঝাপসা হয়ে আসে, অনেক কষ্ট, জীবনটা মনে হয় বের হয়ে যাচ্ছে। করোনার প্রথম থেকে আমরা যে সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছি, কোনো কিছুতেই সমাধান পাওয়া যাচ্ছে না।’

তিনি বলেন, ঈদের পরে করোনার ভয়াবহতা এমন করুণ পর্যায়ে পৌঁছাবে যে রোগীকে বিছানা দেওয়া সম্ভব হবে না। প্রত্যেককে অক্সিজেন দেওয়া আছে। কারো সেচুরেশন ৬৫, কারো ৭৫। ইয়াং বয়সের সবচেয়ে বেশি। গর্ভবতী মায়েদের কষ্টও দেখেছি। করজোড়ে অনুরোধ, এটাকে কেবল সরকার বা ফ্রন্টলাইনারদের যুদ্ধ ভাববেন না, এটা সবার যুদ্ধ। করোনাযুদ্ধ কবে শেষ হবে জানি না।

ডা. কৃষ্ণা মজুমদার আরো বলেন, এই আমি এতগুলো পজিটিভ রোগীর চিকিত্সা দিয়ে বাসায় যাব, তখন আমি কী করে পরিবারের সদস্যদের কাছে যাব। এই বাস্তবতা নিয়েই প্রত্যেক চিকিত্সক যার যার দায়িত্ব পালন করছেন। এর শেষ কোথায়? শেষ তখনই হবে যখন আপনারা সচেতন হবেন। সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অনুরোধ, যুদ্ধটাকে শুধু সম্মুখ সারির যোদ্ধাদের ওপর চাপিয়ে না দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। আপনারা হাসপাতালে ভর্তি না হলেই আমরা খুশি। যে অবস্থা দেখছি, হাসপাতালে এসেও রোগী আগামীতে আর ভর্তি হতে পারবে কি না, বলা যাচ্ছে না।’

সূত্র: ফেসবুক থেকে সংগৃহীত

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

৩ নম্বর সতর্কসংকেত বহাল রয়েছে সমুদ্রবন্দরে


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
বুধবার, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০৯:১৮
৩ নম্বর সতর্কসংকেত বহাল রয়েছে সমুদ্রবন্দরে

ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেওয়া হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাবধানে উপকূলের কাছাকাছি চলাচল করতে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে— উড়িষ্যা উপকূলের অদূরে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও এর কাছাকাছি পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপ আকারে উপকূলীয় অন্ধপ্রদেশ ও এর কাছাকাছি উড়িষ্যা এলাকায় অবস্থান করছে।

এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও এর কাছাকাছি এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা, উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং সমুদ্রবন্দরসমূহের ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। খবর বাসস

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে— রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে।

পরবর্তী দুদিনে আবহাওয়া পরিস্থিতি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটার সম্ভাবনা নেই। পরের পাঁচ দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - সারাদেশ