a করোনায় (২৬জুলাই) মৃত্যু ২৪৭, শনাক্ত ১৫১৯২ এবং সুস্থ ১১০৫২
ঢাকা রবিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩২, ২৭ এপ্রিল, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

করোনায় (২৬জুলাই) মৃত্যু ২৪৭, শনাক্ত ১৫১৯২ এবং সুস্থ ১১০৫২


স্বাস্থ্য ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সোমবার, ২৬ জুলাই, ২০২১, ০৬:৪৪
করোনাভাইরাসের সর্বশেষ তথ্য

করোনাভাইরাস

গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ২৪৭ জন। এ নিয়ে করোনাভাইরাসে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ১৯ হাজার ৫২১ জন।
 
এদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়েছে ১৫,১৯২ জন। এ নিয়ে দেশে মোট করোনাভাইরাসে শনাক্তের সংখ্যা ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৮২৭ জন।
 
আজ সোমবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে আরও জানানো হয়, গত ১ দিনে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ১১০৫২ জন করোনারোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১০ লাখ ৯ হাজার ৯৭৫ জন।

উল্লেখ্য, বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৫০ হাজার ৯৫২টি। শনাক্তের হার ২৯.৮২ শতাংশ এবং মৃত্যু ও শনাক্ত হিসেবে এ সংখ্যা দুটিই এ যাবতকালের সর্বোচ্চ।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

গোপন নথি প্রকাশ পেলে দেশের ক্ষতি হতো: স্বাস্থ্যমন্ত্রী


স্বাস্থ্য ডেস্ক:
মঙ্গলবার, ১৮ মে, ২০২১, ০৯:১২
গোপন নথি প্রকাশ পেলে দেশের ক্ষতি হতো: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ফাইল ছবি


 
সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম যেসব নথি কব্জায় নিয়েছিলেন, সেগুলো প্রকাশ পেলে দেশের ক্ষতি হয়ে যেত বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি আরও দাবি করেন, রোজিনাকে ‘নির্যাতন করা হয়নি’। ওই সাংবাদিক টিকা আমদানি সংক্রান্ত এমন কিছু নথি ‘সরিয়েছিলেন’, যেগুলো প্রকাশ হলে ‘দেশের ক্ষতি’ হতো।

রোজিনাকে গ্রেফতারের ঘটনা নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে আজ বেলা ১১টায় সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়েছিল। কিন্তু সচিবালয়ে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) উক্ত সম্মেলন বর্জন করে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী দুপুরে আগারগাঁওয়ে একনেক সভা শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে নিম্নের উত্তরগুলো দেন।

ঘটনার বিবরণ দিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের কাছে যেটুকু জেনেছি, তাতে স্বাস্থ্য সচিবের পিএসের অনুপস্থিতিতে সোমবার দুপুরে তার কক্ষে ঢুকেছিলেন সাংবাদিক রোজিনা।

সেখানে যে ডিউটিতে ছিল, সে দেখল যে একজন ব্যক্তি ওখানে ফাইলের ছবি তুলছে, ফাইল কিছু বের করে ব্যাগে ঢুকিয়েছে, শরীরেও ঢুকিয়েছে। তখন সে চিল্লাচিল্লি করছে, আমাদের মহিলা অফিসাররা আসে; এসে তারা বলছে যে ‘আপনি কেন এসব করছেন?’ তখন তার কাছ থেকে ওই কাগজ আর ফাইলগুলো নিয়ে নিয়েছে।

মন্ত্রী যোগ করেন, এর মধ্যে পুলিশে খবর দেওয়া হয়, পুলিশ এসে বিষয়টি টেকওভার করে।  এ সময় প্রথম আলোর সাংবাদিকের মোবাইল নিয়ে নেওয়া হয়। সেখানে বেশ কিছু ছবি পাওয়া গেছে।

সোমবার দুপুরের পর স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিবের একান্ত সচিব মো. সাইফুল ইসলাম ভূঞার কক্ষে রোজিনাকে প্রায় সাড়ে ৫ ঘণ্টা আটকে রাখা হয়। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাকে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের একজন উপসচিব তার বিরুদ্ধে মামলা করেন।  

সেখানে ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধির ৩৭৯ ও ৪১১ ধারায় চুরি এবং ১৯২৩ সালের ‘অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের’ ৩ ও ৫ ধারায় গুপ্তচরবৃত্তি ও রাষ্ট্রীয় গোপন নথি নিজের দখলে রাখার অভিযোগ আনা হয় এই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে।

এজাহারে বলা হয়েছে—রোজিনা যেসব নথির ‘ছবি তুলেছেন’, তার মধ্যে ‘টিকা আমদানি’ সংক্রান্ত কাগজপত্রও ছিল।

সেই প্রসঙ্গ টেনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক। কেননা এই ফাইলগুলো ছিল টিকা সংক্রান্ত। আমরা যে রাশিয়ার সঙ্গে টিকার চুক্তি করছি, চীনের সঙ্গে টিকার চুক্তি করছি। সেগুলো নন ডিসক্লোজার (গোপন) আইটেম। আমরা রাষ্ট্রীয়ভাবে বলেছি— আমরা এটা গোপনে রাখব, এগুলো বলব না।

তিনি বলেন, সেগুলো যদি বাইরে চলে যায়, তা হলে রাষ্ট্রীয়ভাবে আমরা প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করলাম এবং আমরা টিকা নাও পেতে পারি। এতে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য বিরাট ক্ষতি হতে পারতো। এগুলো সিক্রেট ডকুমেন্ট, বাইরে যাওয়া ঠিক হয়নি।

রোজিনা ইসলামকে সচিবালয়ে আটকে রেখে ‘শারীরিকভাবে হেনস্তা’ করা হয়েছে বলে তার স্বামী যে অভিযোগ করেছেন, সেটি অস্বীকার করেছেন জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, যেটা শুনলাম, তাকে অনেকক্ষণ আটকিয়ে রাখা হয়েছে। তিনি নিজেই শুয়ে পড়ছেন, বসে পড়ছেন। তাকে পুলিশ নিতে পারছিলেন না। শারীরিকভাবে কোনো নির্যাতন বা আঘাত করা হয়নি। এটি সঠিক নয়।

একজন সাংবাদিক প্রশ্ন রেখেছিলেন, বর্তমান সরকার যেখানে দুর্নীতির তথ্য প্রকাশের জন্য সাংবাদিকদের পুরস্কৃত করার নিয়ম করেছে, সেখানে রোজিনার বিরুদ্ধে কেন ঔপনিবেশিক আমলের ‘অফিসিয়াল সিক্রেটস’ আইনে মামলা দেওয়া হলো?

জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমি তো আইনজ্ঞ না। আইনের বিষয়ে কিছু বলব না।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

মামুনুল হক হেফাজতের একজন, তবে মামুনুল হক মানেই হেফাজত নয়


নিউজ ডেস্ক:
শুক্রবার, ০৯ এপ্রিল, ২০২১, ০৪:০০
মামুনুল হক হেফাজতের একজন, তবে মামুনুল হক মানেই হেফাজত নয়

মারুফ কামাল খান সোহেল

নেতৃত্ব নিয়ে কথা উঠেছে। বিশেষ করে মাওলানা মামুনুল হক এপিসোডের পর। আরও বিশেষ করে বলা যায়, কথা উঠেছে ইসলামি সংগঠনগুলোর নেতৃত্ব নিয়ে। ইসলামি সংগঠনগুলোতে নেতৃত্বের প্রতি কর্মীদের আস্থা, বিশ্বাস ও আনুগত্য অকুণ্ঠ ও অগাধ। নতুন করে ফের তার প্রমাণ মিলেছে।

আমি হেফাজতের কেউ না হলেও হেফাজতের লাখ লাখ কর্মী-সমর্থক এবং তাদের সততা ও নিষ্ঠাকে সম্মান করি। তাদের অনুভূতিকে আহত করতে চাইনা। আমি মনে করি মামুনুল হক হেফাজতের একজন, তবে মামুনুল হক মানেই হেফাজত নয়। কিন্তু হেফাজতের কর্মী, সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ীরা তাদের 'মামুনুল হুজুর' আর হেফাজতকে একাকার করেই দেখছেন। তার ইজ্জতকে হেফাজতের ইজ্জত হিসেবে দেখেই তারা লড়ে যাচ্ছেন অনলাইন ও অফলাইন, সবখানে। আমি সেই সঙ্গে হেফাজতের কর্মীদের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়াও লক্ষ্য করেছি গভীর কৌতুহল ও অভিনিবেশ সহকারে। আমার মনে হয়েছে, নেতার প্রতি হেফাজত কর্মীদের যে অচলা ভক্তি ও প্রশ্নাতীত আনুগত্য তা অনেকটাই রেজিমেন্টেড সংগঠনের মতন।

মামুনুল হকের রিসোর্ট সংশ্লিষ্ট অঘটন, এরপর ক্রমাগত উদঘাটিত হতে থাকা তথ্য এবং সরকার ও প্রশাসনের পদক্ষেপ আমি পর্যবেক্ষণ করছিলাম। একজন নাগরিক হিসেবে মামুনুল হকের প্রাইভেসি লঙ্ঘন করে তাকে হেনস্তার প্রতিবাদ আমিও লিখে জানিয়েছি।

একথা সত্য যে, বর্তমানে বাংলাদেশে সরকার, প্রশাসন, আইন-শৃঙখলা বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা ও মেইনস্ট্রিম মিডিয়ার প্রতি সাধারণ মানুষের অনাস্থা ও অবিশ্বাস সীমাহীন। হেফাজতের প্রতিবাদ-বিক্ষোভের আবহের মধ্যেই ঘটে মামুনুল হকের রিসোর্ট কাণ্ড। এ ঘটনা চাউর হলে হেফাজত কর্মীরা দ্রুত বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। তারা পুরো বিষয়টিকেই মামুনুল হককে হেয় করে হেফাজতের আন্দোলন দমাতে সরকারের একটি সাজানো-পাতানো চক্রান্ত বলেই ধরে নেন। কিন্তু পরে যখন আরো অনেক কিছু উদঘাটিত হলো এবং মামুনুল হকের নিজের স্বীকারোক্তিতেই তার নৈতিক মান অনেকটাই প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়লো, তখনও তার প্রতি হেফাজত কর্মীদের অন্ধ সমর্থন থেকেই আমাদের অনেকের মনেই প্রশ্ন উঠলো যে, এই আনুগত্য পুরোপুরি ইসলামসম্মত কিনা? সেক্যুলার, বুর্জোয়া ও গণতান্ত্রিক ধারার নেতৃত্বে নৈতিক  প্রসঙ্গটিকে ততোটা গুরুত্ব দেয়া না হলেও ইসলামে নেতৃত্বের নৈতিকতার দিকটিকে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।

ইসলাম সম্পর্কে আমার জ্ঞান সীমিত। সেই সীমিত জ্ঞান থেকেই আমি জানি ইসলামে নেতৃত্বের প্রতি আনুগত্য নিঃশর্ত নয়। বিদায় হজের অভিভাষণে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) ঘোষণা করেন, যদি একজন হাবসি ক্রীতদাসও তোমাদের নেতা হন, তবে তাকেও তোমরা ততক্ষণ পর্যন্ত মেনে চলবে যতক্ষণ পর্যন্ত সে সব কিছু আল্লাহ্'র হুকুম ও রাসুলের সুন্নাহ্ অনুযায়ী পরিচালনা করবে।

ইসলামের প্রথম খলিফা আমিরুল মুমেনীন হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রা.) তাঁর অভিষেক উপলক্ষে দেয়া ভাষণে বলেছিলেন- "হে লোকসকল, আমাকে তোমাদের উপর নেতা করে দেওয়া হলেও আমি কিন্তু তোমাদের মধ্যকার শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি নই। সুতরাং যদি আমি সঠিক কাজ করি তবে তোমরা আমাকে সাহায্য করবে, আর যদি ভুল করি তবে আমাকে শুধরে দিবে। সততা একটি পবিত্র আমানত এবং মিথ্যা হচ্ছে বিশ্বাসঘাতকতা। .... যদি কোনো জাতির মধ্যে অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়ে তাহলে আল্লাহ্ অবশ্যই তাদেরকে পরীক্ষায় ফেলবেন। তোমরা আমাকে ততক্ষণ মেনে চলবে যতক্ষণ আমি আল্লাহ ও তাঁর রাসুলকে মেনে চলি। যদি আমি আল্লাহ ও তাঁর রাসুলকে মেনে না চলি, তাহলে আমার প্রতি তোমাদের আনুগত্যের কোনো বাধ্যবাধকতা থাকবে না।"

এই দিক-নির্দেশনা থেকে বুঝা যাচ্ছে- ১. নেতার আনুগত্য করতে হবে, তবে দেখতে হবে তিনি আল্লাহ্'র হুকুম ও রাসুলের সুন্নাহ্ অনুযায়ী নিজে চলছেন কিনা এবং সব কিছু পরিচালনা করছেন কিনা। ২. নেতার মধ্যে শ্রেষ্ঠত্বের অহঙ্কার থাকবেনা, তাঁকে বিনয়ী হতে হবে। ৩. নেতাকে সঠিক কাজে সাহায্য করতে হবে। ৪. নেতা ভুল করলে সমালোচনার মাধ্যমে সেই ভুল অনুসারীদেরকেই শোধরাতে হবে। ৫. নেতাকে সততা বজায় রাখতে হবে এবং কখনো মিথ্যার আশ্রয় নেয়া চলবে না। ৬. অশ্লীলতা আল্লাহ্'র পরীক্ষা বা বিপর্যয় নিয়ে আসে। তাই, নেতাকে অশ্লীলতা পরিহার করতে হবে। এবং ৭. নেতা যদি আল্লাহ্ ও রাসুলের (সা.) পথ থেকে বিচ্যুত হন৷ তখন আর তার প্রতি অনুগত থাকার প্রয়োজন নেই। 

প্রতিটি নেতা এবং তার অনুসারীদের এইসব বিষয় ও শর্ত খুবই গুরুত্বের সঙ্গে অনুধাবন ও মেনে চলা দরকার। হযরত আবু জর গিফারীর মতন প্রাজ্ঞ, জ্ঞানী ও ত্যাগী সাহাবীরা কিন্তু রাসুল(সা.)-এর কাছ থেকে 'জিন্নুরাইন' বা দু'চোখের মণি খেতাবপ্রাপ্ত আমিরুল মুমেনীন হযরত ওসমান(রা.)-এর পরিচালনা পদ্ধতি ও সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

লেখক:মারুফ কামাল খান সোহেল
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)/সূত্র:বিডিপ্রতিদিন

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

সর্বশেষ - স্বাস্থ্য