a
ফাইল ছবি: দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ড পাওয়া দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।
আজ রোববার বিকেলে বুকের ব্যথায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে অ্যাম্বুলেন্সে করে কারাগার থেকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএসএমইউ) পাঠানো হয়েছে।
গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে বিকেলে তাঁদের হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তাঁর ইসিজিসহ বেশ কিছু পরীক্ষা–নিরীক্ষা করে দেখা যায়, তাঁর সুগার অনেক বেশি, প্রেশার নিয়ন্ত্রণে নেই। এ ছাড়া তিনি হৃদ্রোগে (হার্ট অ্যাটাক) আক্রান্ত হয়েছেন। যে কারণে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে ঢাকায় বিএসএসএমইউতে পাঠানো হয়েছে।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের পার্ট-১-এর জেল সুপার মো. শাহজাহান আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি আছেন।
কারা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-১-এ বন্দী আছেন জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। সেখানে থাকা অবস্থায় আজ বিকেল পাঁচটার দিকে তিনি বুকের ব্যথায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাঁকে কারাগারের অ্যাম্বুলেন্সে করে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো হয়।
মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের আদেশ দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ২০১০ সালের ২৯ জুন ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার হন সাঈদী। পরে ২ আগস্ট মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। সূত্র: প্রথম আলো
সংগৃহীত ছবি
মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধ করতে আগামীকালে সোমবার (২০ জুন) থেকে দেশে প্রথমবারের মতো শুরু হচ্ছে ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা কার্যক্রম।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, রাজধানীর ৩টি কেন্দ্রে দেওয়া হবে ফাইজারের টিকা। কেন্দ্রগুলো হলো- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ), শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতাল ও কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল।
করোনা বিষয়ক নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে রোববার (২০ জুন) এসব তথ্য জানান অধিদফতরের লাইন ডিরেক্টর ও টিকা বিতরণ কমিটির সদস্য অধ্যাপক শামসুল হক।
অধ্যাপক শামসুল হক বলেন, ইতোমধ্যে কোভ্যাক্স থেকে এক লাখ ৬২০ ডোজ টিকা আমাদের হাতে এসেছে। আমরা এটিকে সংরক্ষণ করেছি। টিকা দেওয়ার জন্য গাইড লাইন এবং প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শেষ হয়েছে। আমরা আশা করছি আগামীকাল (২১ জুন) থেকে ফাইজার টিকা কার্যক্রম শুরু করা হবে।
ফাইল ছবি: মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও অন্যান্য সিনিয়র নেতৃবৃন্দ
২০২৪ সালে কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের মধ্যে ৪২২ জনই বিএনপির রাজনীতি সঙ্গে জড়িত ছিল বলে উল্লেখ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘নিহত ৪২২ জনের নাম-গ্রামসহ সম্পূর্ণ তালিকা আমাদের কাছে আছে। এটি আমাদের ওয়েবসাইট প্রকাশ করা হবে।’
আজ রবিবার গুলশানে বিএনপির চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুযায়ী জুলাই গণহত্যায় ১৩ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশে শহীদ হন ৮৭৫ জন। যার মধ্যে কমপক্ষে ৪২২ জন মানুষ বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। দেশজুড়ে শহীদ হওয়া সব শ্রেণি-পেশা-রাজনীতির মানুষগুলোর বিশাল অংশ যে বিএনপির নেতাকর্মী-এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। বরং আমাদের সুদীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রামের অনিবার্য ফল।’
তিনি আরও বলেন, ‘পোশাকশ্রমিক কিংবা রিকশাচালক, পাবলিক কিংবা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। বাম কিংবা ডান আদর্শের অনুসারী, সব মত ও পথের রাজনৈতিক কিংবা অরাজনৈতিক ব্যক্তি-হতাহতের পরিচয় যাই হোক না কেন, প্রতিটি প্রাণের মূল্য ও রক্তের মর্যাদা সমান। আর তাই, সমান গুরুত্বের সঙ্গেই প্রণয়ন করতে হবে প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের তালিকা ও নিশ্চিত করতে হবে সুবিচার।’ সূত্র: বিডি প্রতিদিন