a কুয়াশাচ্ছন্ন ঠান্ডার সকালেও ঢাকার বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’
ঢাকা শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ২৮ নভেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

কুয়াশাচ্ছন্ন ঠান্ডার সকালেও ঢাকার বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’


স্বাস্থ্য ডেস্ক: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সোমবার, ২২ জানুয়ারী, ২০২৪, ১২:৩০
কুয়াশাচ্ছন্ন ঠান্ডার সকালেও ঢাকার বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’

ফাইল ছবি

আজও বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় রাজধানী ঢাকার অবস্থান ৪ নম্বরে দেখা গেছে। সকাল ১০টা ১০ মিনিটে ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ছিলো ১৯৮, যা বাতাসের মানকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে নির্দেশ করে।

ঢাকায় আজ সকাল থেকেই কুয়াশার সঙ্গে শীতের তীব্রতা বেড়েছে অনেক, সূর্য্যেরও দেখা নেই। এমন অবস্থাতে ধুলাবালি-ধোঁয়া কম থাকার পরও ঢাকার বাতাস স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।

একই সময়ে ২৭২ স্কোর নিয়য়ে তালিকায় প্রথম স্থানে আছে ভারতের শহর কোলকাতা। এই শহরের বাতাস আজ ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’। ২২৩ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে পাকিস্তানের করাচি।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার দূষিত বাতাসের শহরের তালিকা প্রকাশ করে। বাতাসের মান প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হতে থাকে। সে অনুযায়ী আইকিউ এয়ারের সূচক আপডেট হতে থাকে।১৫১-২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়।

এছাড়া ২০১-৩০০ একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ ও ৩০১-৪০০ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। সূত্র: ইত্তেফাক

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা যায়, টি-ব্যাগে বিপজ্জনক ধাতু বিদ্যমান


আরাফাত, বিশেষ প্রতিনিধি, ‍মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৯:০৩
গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা যায়, টি-ব্যাগে বিপজ্জনক ধাতু বিদ্যমান

ছবি: সংগৃহীত


নিউজ ডেস্ক: বাজারে বিক্রি হওয়া জনপ্রিয় একাধিক ‘টি-ব্যাগে’ সিসা, ক্যাডমিয়াম, পারদ, আর্সেনিক ও ক্রোমিয়ামের মতো ভারী ধাতুর উপস্থিতি বিপজ্জনক মাত্রা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ধাতুগুলো স্থিতিশীল ও অজৈব হওয়ায় সহজেই শরীরে প্রবেশ করছে। এর প্রভাবে উচ্চ রক্তচাপ, রক্তনালি ক্ষতি, হৃদরোগ, স্নায়ুরোগ, লিভার, কিডনি ও ত্বকের ক্ষতি হচ্ছে। এছাড়া বন্ধ্যত্ব ও শিশুদের বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ‘ব্রিউইং টক্সিনস : এক্সপোসিং দ্য হেভি মেটাল হ্যাজার্ড ইন টি-ব্যাগস অ্যান্ড ড্রাইড লুজ টি’ শীর্ষক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে।

গবেষণাটি করেছে বেসরকারি সংস্থা ‘এনভায়রনমেন্ট ও সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন’ (এসডো)। বৃহস্পতিবার রাজধানীর লালমাটিয়ায় এসডো কার্যালয়ে গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করা হয়।
 এ সময় জানানো হয়, দেশের ৯৬ শতাংশের বেশি মানুষ প্রতিদিন চা পান করে। তবে ৯৯ শতাংশ মানুষ জানে না যে, টি-ব্যাগের উপকরণে ভারী ধাতু থাকতে পারে। ৯০ শতাংশ মানুষ কখনোই টি-ব্যাগ ও চা-পাতার লেবেল বা সার্টিফিকেশন দেখে না। ল্যাব পরীক্ষায় টি-ব্যাগ ও চা-পাতা-উভয় ক্ষেত্রেই বিষাক্ত ভারী ধাতুর উপস্থিতি নিরাপদ মাত্রার চেয়ে অতিরিক্ত পাওয়া গেছে; যা অনেক মানুষকে দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্যঝুঁকির মুখে ফেলছে। দুর্বল নিয়মকানুন ও কার্যক্রর প্রয়োগ না থাকায় ভোক্তারা সুরক্ষিত নয়।

গবেষণায় স্থানীয় বাজার থেকে সংগ্রহ করা ১৩টি নমুনা (১২টি টি-ব্যাগ এবং একটি চা-পাতা) পরীক্ষা করা হয়। এতে দেখা যায়, টি-ব্যাগের প্যাকেজিংয়ে বিপজ্জনক মাত্রায় ভারী ধাতু রয়েছে। পরীক্ষায় টি-ব্যাগের প্যাকেজিংয়ে ক্রোমিয়াম সর্বোচ্চ ১,৬৯০ পিপিএম (নিরাপদ সীমা ৫ পিপিএম), সিসা ৫১ পিপিএম পর্যন্ত (সীমা ৫ পিপিএম), পারদ ১০৮ পিপিএম পর্যন্ত (সীমা শূন্য দশমিক ৩ পিপিএম) এবং আর্সেনিক ১৪ পিপিএম (সীমা ২ পিপিএম) পাওয়া গেছে। টি-ব্যাগে এ ধরনের ভারী ধাতুর উপস্থিতি নিয়মিত চা পানকারীদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে।

অনুষ্ঠানে উদ্বেগ প্রকাশ করে এসডোর চেয়ারম্যান সৈয়দ মার্গুব মোরশেদ বলেন, ‘এটি ভোক্তা অধিকারের গুরুতর লঙ্ঘন। আমরা অবিলম্বে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানাই।’

গবেষণায় টি-ব্যাগ থেকে চা-পাতা আলাদা করার পর ভারী ধাতু অ্যান্টিমনি (সর্বোচ্চ ১৫৪ পিপিএম) পাওয়া গেছে। পাশাপাশি নগণ্য পরিমাণে ইউরেনিয়াম ও থোরিয়াম শনাক্ত হয়েছে। তবে ইতিবাচকভাবে চা-পাতার পরীক্ষায় আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ, কপার, জিঙ্ক এবং কোবাল্টের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানও পাওয়া গেছে, যা সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ।

এই প্রতিবেদনে বৈজ্ঞানিক গবেষণার পাশাপাশি জাতীয় পর্যায়ে ৩ হাজার ৫৭১ জনের মতামত নেওয়া হয়, যা দেশের সাধারণ মানুষের চা পানের অভ্যাস ও চা কেনার সচেতনতা তুলে ধরে। জরিপে দেখা যায়, ৫৫ শতাংশ মানুষ প্রতিদিন ২ থেকে ৩ কাপ এবং ১৭ শতাংশ ৪ বা তারও বেশি কাপ, ১০ শতাংশ ৫ কাপ বা তার চেয়ে বেশি এবং ১৮ শতাংশ মানুষ প্রতিদিন এক কাপ চা পান করে। কিন্তু উত্তরদাতাদের মধ্যে মাত্র ১ শতাংশ মানুষ ধারণা রাখে যে টি-ব্যাগে ভারী ধাতু থাকতে পারে।

বাংলাদেশ চা বোর্ডের গবেষণা কর্মকর্তা নাজমুল আলম বলেন, ‘গবেষণাটি আমাদের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক বার্তা দেয়। আমরা আগে জানতাম না টি-ব্যাগের প্যাকেজিং এত ঝুঁকি বহন করে। গবেষণার সময় সরকারি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদাররা সমন্বয় করলে ভালো হতো। ভবিষ্যতে উভয় পক্ষের অংশগ্রহণমূলক গবেষণা করা জরুরি।’ বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউট (বিএসটিআই)-এর সহকারী পরিচালক ইসমাত জাহান বলেন, ‘এমন যুগান্তকারী গবেষণাকে স্বাগত জানাই। আমরা দ্রুততম সময়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করব। তবে আমাদের অবশ্যই দেশীয় চাশিল্পকে টিকিয়ে রাখা ও বিকশিত করার চেষ্টা করতে হবে।’ বাংলাদেশ পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মারূফ মোহায়মেন বলেন, ‘এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাথমিক গবেষণা। এটি আমাদের আরও গবেষণা করার দরজা খুলে দিয়েছে।’

খাদ্য নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষের সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শোয়েব বলেন, ‘আমাদের আরও গবেষণার ক্ষেত্রে আরও সূক্ষ্ম বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে।’

এসডোর নির্বাহী পরিচালক সিদ্দীকা সুলতানা বলেন, ‘যদি আমরা চায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারি, তবে এটি মানুষের জন্য শারীরিক ঝুঁকি তো বটেই, মানসিক চাপও তৈরি করবে। আমরা সব স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে একযোগে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

এসডোর সিনিয়র টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার ড. শাহরিয়ার হোসেন বলেন, ‘গবেষণাটি আমাদের খাদ্যশৃঙ্খলে বিষাক্ত ভারী ধাতু প্রবেশ করার পথ রোধ করার একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচনা। আমাদের উদ্দেশ্য দোষারোপ নয়, বরং নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে যৌথভাবে সংকট মোকাবিলা করা।’

প্রতিবেদনে বেশকিছু সুপারিশ করা হয়। এগুলো হলো-বাগান, প্রক্রিয়াজাতকরণ, বিক্রয় পর্যায়ে নিয়মিত চা পরীক্ষা এবং এর ফলাফল স্বচ্ছভাবে প্রকাশ করা। মাটি ও বাগান ব্যবস্থাপনা উন্নত করা এবং কৃষিতে ভারী ধাতু আনতে পারে-এমন ক্ষতিকর রাসায়নিকের ব্যবহার কমানো। চা জাতীয় সব পণ্যের নিরাপত্তা লেবেল ও সার্টিফিকেশন বাধ্যতামূলক করা প্লাস্টিক ও পিইটি টি-ব্যাগ নিষিদ্ধ এবং নিরাপদ বিকল্প চালু করা। সূত্র: যুগান্তর

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

চীন তালেবান সরকারকে ২০০ মিলিয়ন ইউয়ান সহায়তা


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বৃহস্পতিবার, ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০১:৪৪
চীন তালেবান সরকারকে ২০০ মিলিয়ন ইউয়ান সহায়তা

ফাইল ছবি

গত ১৫ আগস্ট রাজধানী কাবুল দখল করে নেয় তালেবান। এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ২০ বছর পর আবারও আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেয় বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি।

তবে দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর দীর্ঘ তিন সপ্তাহ পর অবশেষে নানা জল্পনার অবসান ঘটিয়ে ২২ দিন পর মঙ্গলবার অন্তবর্তীকালীন সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভিন্ন মন্ত্রীদের নাম ঘোষণা দেন তালেবান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ।

এদিকে, সরকার গঠনের ঘোষণা দিতেই তালেবানকে ২০০ মিলিয়ন ইউয়ান (৩১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) প্রতিশ্রুতি দিল চীন। জরুরি খাদ্য সরবরাহ ও করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ভ্যাকসিনের ব্যবস্থাসহ অন্যান্য সহায়তায় অর্থায়ন করতে এই ঘোষণা দিয়েছে চীন।

বুধবার চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এক বৈঠকে এই সহায়তার ঘোষণা দেন। খবর বিবিসির।

এই সহায়তা দেওয়ার আগেই বেইজিংয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, আফগানিস্তানে সদ্য ঘোষিত তালেবান সরকারের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতে তারা প্রস্তুত।

নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠা আফগানিস্তানে ‘শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন‌্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ’ ছিল বলেও চীন মন্তব‌্য করে।

এদিকে, আফগানিস্তানের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, তালেবানকে স্বীকৃতি দেওয়া থেকে অনেক দূরে অবস্থান করছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী চীনের সিদ্ধান্ত আসছে দ্রুত।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর জনপ্রিয়

সর্বশেষ - স্বাস্থ্য