a চীনের উপহারের ১৭ লাখ ডোজ টিকা ঢাকায় পৌঁছেছে
ঢাকা সোমবার, ৭ পৌষ ১৪৩২, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

চীনের উপহারের ১৭ লাখ ডোজ টিকা ঢাকায় পৌঁছেছে


স্বাস্থ্য ডেস্ক: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
মঙ্গলবার, ১০ আগষ্ট, ২০২১, ০৯:৫৪
চীনের উপহারের ১৭ লাখ ডোজ টিকা ঢাকায় পৌঁছেছে

ফাইল ছবি

বাংলাদেশকে দেওয়া চীনের উপহারের আরও ১৭ লাখ ডোজ টিকা ঢাকায় পৌঁছেছে। ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটিজের মাধ্যমে এসব টিকা এসেছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম প্রধান এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, আজ সন্ধ্যা ৭ টা ১৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটিজের মাধ্যমে চীনের সিনোফার্মের ১৭ লাখ ডোজ ভ্যাক্সিন দেশে পৌছেছে।

বৈশ্বিক উদ্যোগ কোভ্যাক্সের আওতায় এবার বাংলাদেশকে ১৭ লাখ সিনোফার্মের টিকা উপহার দিচ্ছে চীন। মঙ্গলবার ভোরে করোনাভাইরাসের এই টিকা নিয়ে বেইজিং বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করে। 

এর আগে সোমবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, ১৫ আগস্টের মধ্যে দেশে আরও ৫৪ লাখ টিকা আসবে। এরমধ্যে কোভ্যাক্স থেকে আরও ৩৪ লাখ এবং চীন থেকে কেনা ১০ লাখ টিকা ১৫ আগস্টের মধ্যে দেশে পৌঁছাবে। 

এ ছাড়া আরও ১০ লাখ টিকা চীন উপহার হিসেবে দেবে। মোট ৫৪ লাখ টিকা আসবে। এ ছাড়া চীন থেকে কেনা আরও ৫০ লাখ টিকা চলতি মাসে পাওয়া যাবে বলে জানান তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ছয় কোটি ডোজ টিকার মধ্যে দুই কোটি ডোজ করে আগামী অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে ৪ কোটি ডোজ আসবে। 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

অপরিচ্ছন মাস্ক ব্যবহারেও হতে পারে ব্লাক ফাঙ্গাস


এম.এস প্রতিদিন ডেস্ক
রবিবার, ২৩ মে, ২০২১, ০২:৫৫
অপরিচ্ছন মাস্ক ব্যবহারেও হতে পারে ব্লাক ফাঙ্গাস

ফাইল ছবি

ভারতে ইতোমধ্যে করোনা ভাইরাসের নতুনরুপ হিসেবে ব্লাক এবং হোয়াইট ফাঙ্গাসের দেখা মিলেছে। এসব ফাঙ্গাস হওয়ার পিছনে বিশেষ কিছু কারণ রয়েছে ভারতীয় একদল চিকিৎসকের দাবি ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা কালো ছত্রাক সংক্রমণের জন্য অপরিচ্ছন্নতা নোংরা মাস্ক ব্যবহার একটি বড় কারণ বলে দাবি তাদের। কেউ যদি মাস্ক না ধুয়ে টানা দুই/তিন সপ্তাহ ব্যবহার করে তাহলে এই সংক্রমণ আশংকা রয়েছে।

রবিবার (২৩ মে) ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজারের বরাত দিয়ে এক ভারতীয় চিকিৎসক বলেছেন, অপরিচ্ছন্ন মাস্ক ব্যবহারের পাশাপাশি স্টেরয়েড ব্যবহারকেও কালো ছত্রাক সংক্রমণের জন্য দায়ী করেছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, স্নায়ুবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক, চিকিৎসক পি শরৎ চন্দ্র সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, অপরিচ্ছন্নতা ছত্রাক জাতীয় সংক্রমণের পিছনে বড় কারণ। তাঁর কথায়, ‘অনেকেই আছে যারা ২-৩ সপ্তাহের বেশি সময় না ধুয়ে একই মাস্ক ব্যবহার করে থাকেন'প্রতিরোধে নিয়মিত মাস্ক পরিবর্তন বা সেটিকে সাবান দিয়ে ভাল করে ধুয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি।

যদিও তার এসব কথার পিছনে এখনও যথেষ্ট পরিমাণে প্রমাণ নেই। তাছাড়া স্বাভাবিকভাবেই বুঝা যায় অপরিচ্ছন্ন যেকোন পদার্থ থেকেও রোগ ছড়াতে পারে।

ভারতীয় আরেক নামতরা বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক সুরেশ সিংহ নারুকা সংবাদমাধ্যম পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে উল্লেখ করেছেন ব্লাক বা হোয়াইট ফাঙ্গাস সংক্রমণের পিছনে যেমন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ বিশাল ভূমিকা রাখতে পারে তেমনি আলোবাতাস ঢুকে না এমন ঘরে বসবাস কারীদেরও এই ফাঙ্গাসে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / khurshedalm@msprotidin.com

আরও পড়ুন

বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতি: ড. শেখ আকরাম আলী


আরাফাত, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
মঙ্গলবার, ০৮ এপ্রিল, ২০২৫, ০৪:৪১
বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতি ড শেখ আকরাম আলী

ছবিঃ সংগৃহীত

 

নিউজ ডেস্ক: ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতি আমাদের সমাজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং এর সূচনা ঘটে অবিভক্ত ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির জন্মের মাধ্যমে ব্রিটিশ শাসনের শেষভাগে। যদিও সে সময় ভারতের সমাজে এটি খুব বেশি অগ্রসর হতে পারেনি, তবে একটি শ্রেণিবিহীন সমাজের ধারণা নিয়ে মধ্যবিত্ত শ্রেণিকে জাগ্রত করতে এর গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল। একটি বুদ্ধিজীবী গোষ্ঠী কমিউনিজমের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে উঠেছিল এবং এটি সমাজের শ্রমজীবী শ্রেণির মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।

যদিও পাকিস্তানের মানুষ কমিউনিজম পছন্দ করত না, তথাপি পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালি মুসলিম সমাজের মধ্যে এক শ্রেণির মানুষ গোপনে এটির প্রচার চালিয়ে যেত। সেই সময়ে কিছু কমিউনিস্ট চুপিচুপি আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে নতুন এই রাজনৈতিক দলের ভিতরে থেকে গোপন উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ শুরু করেন।

কিন্তু অচিরেই কমিউনিস্টরা প্রকাশ্যে এসে 'ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (NAP, প্রো-মস্কো)' নামে নিজেদের রাজনৈতিক দল গঠন করেন। এর আগেই মওলানা ভাসানী চীনপন্থী একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেছিলেন, যার নামও ছিল NAP। উভয় দলের ছাত্র সংগঠনসমূহ পাকিস্তানের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের মধ্যে মাতৃসংগঠনের চেয়ে বেশি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।

প্রথমদিকে আওয়ামী লীগ ছিল একটি উদার গণতান্ত্রিক দল, যাকে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন দিত। কিন্তু দ্রুতই এই দলটি স্থানীয় pro-Indian এবং pro-Moscow গোষ্ঠীর আশ্রয়স্থলে পরিণত হয়। এদের একটি অংশ দলীয় ভেতরে থেকেই ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতির এজেন্ডা বাস্তবায়নে সক্রিয় হয়ে ওঠে।

ভাষা আন্দোলন তাদেরকে পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালি মুসলিম সমাজে মুক্তভাবে কাজ করার সুযোগ এনে দেয়। এই সময়ে, তথাকথিত কিছু প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবী, বিশেষত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা, ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতি শুরু করেন 'বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির' নামে। তারা সমাজে pro-Moscow বুদ্ধিজীবী হিসেবে পরিচিতি লাভ করে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তাদের কার্যক্রমের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়।

১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর ভাষাভিত্তিক বাঙালি জাতীয়তাবাদ যুক্ত পাকিস্তানের কাঠামোর ভেতরে ধীরে ধীরে ভিত্তি গড়ে তোলে। কিন্তু ১৯৬৬ সালে ঘোষিত ছয় দফা দাবির পর এই জাতীয়তাবাদ গতি পায় এবং কিছুদিনের মধ্যেই এটি পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালিদের জন্য এক ম্যাগনা কার্টা হয়ে ওঠে। এর মাধ্যমে শেখ মুজিব পূর্ব পাকিস্তানের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতায় পরিণত হন। 

১৯৭০ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে এই জাতীয়তাবাদ তার প্রাথমিক বিজয় লাভ করে এবং শেখ মুজিব পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা হন। কিন্তু পাকিস্তানের রাজনৈতিক ও সামরিক নেতৃত্ব ক্ষমতা হস্তান্তরের পরিবর্তে ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নিয়ে সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণ করে, যা শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান ভেঙে যায়।

ভারত যুদ্ধের নায়ক হিসেবে আবির্ভূত হয় এবং বাংলাদেশের জনগণের ওপর প্রভুত্ব স্থাপন করে, যদিও স্বাধীনতার জন্য আমরা নিজেরাই যুদ্ধ করে লাখো প্রাণ বিসর্জন দিয়েছি। অনেকেই বলেন, ১৯৭১ সালে ইসলাম পরাজিত হয়েছে আর ধর্মনিরপেক্ষ বাঙালি জাতীয়তাবাদ বিজয়ী হয়েছে। কিন্তু তারা হয়তো জানেন না, ইসলাম চিরস্থায়ীভাবে টিকে থাকার জন্য এসেছে।

বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে তার যাত্রা শুরু করে একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে, যা সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ছিল। কিন্তু অচিরেই শেখ মুজিবের পতনের পর দৃশ্যপট দ্রুত পাল্টে যায় এবং সংবিধানে সংশোধনের মাধ্যমে ধর্মনিরপেক্ষতাকে সরিয়ে আল্লাহ'র উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস পুনঃস্থাপন করা হয়। শুধু তাই নয়, বাঙালি জাতীয়তাবাদের পরিবর্তে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ চালু হয়। ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতির দ্রুত পতন ঘটে এবং বিএনপির মাধ্যমে একটি মধ্যপন্থী রাজনৈতিক সংস্কৃতির সূচনা ঘটে।

আওয়ামী লীগ ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতি অব্যাহত রাখে, তবে জাতীয় পরিচয় হিসেবে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ মেনে নেয়। তবে ২০০৮ সালে ভারতের ও আমেরিকার আশীর্বাদে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতি আবার ফিরে আসে।

আওয়ামী লীগ এখন ইসলামকে চ্যালেঞ্জ করে ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতি সামনে আনে, যাতে ভারত ও পশ্চিমা বিশ্বের সমর্থন পাওয়া যায়, যদিও বাংলাদেশের জনগণের বড় অংশ মুসলমান। ইসলাম ও মুসলমানদের রাজনীতি থেকে সরিয়ে বিশ্রামে পাঠানো হয়, যদিও ইসলাম শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে সমাজের গভীরে প্রোথিত।

বিএনপি, যদিও একটি মধ্যপন্থী দল, তাকে মৌলবাদ ও প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির পৃষ্ঠপোষক হিসেবে আখ্যা দিয়ে ব্যাপক নিপীড়নের শিকার করা হয়। ইসলামি রাজনৈতিক দলগুলো, বিশেষ করে জামায়াতে ইসলামি, শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনের সময়কালজুড়ে অকথনীয় নির্যাতনের শিকার হয়। জামায়াতের নেতাকর্মীরা এমনভাবে টার্গেট করা হয়, যা সাম্প্রতিক ইতিহাসে নজিরবিহীন।

দেশটি ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতিতে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে এবং জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে সমাজের সর্বত্র ধর্মনিরপেক্ষতার বিস্তার ঘটে। জনগণ আশা হারিয়ে ফেলে যে এই পরিস্থিতির পরিবর্তন হবে।

কিন্তু মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা তাঁর প্রিয় বান্দাদের জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ পরিকল্পনাকারী, এবং তিনি রাতারাতি পরিস্থিতি পাল্টে দেন, যা কেউ কল্পনাও করতে পারেনি। ধর্মনিরপেক্ষতা এখন স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করেছে, কিন্তু এখনও বহু প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি সক্রিয় রয়েছেন যারা ধর্মনিরপেক্ষ পরিবেশ টিকিয়ে রাখতে কাজ করছেন। এই প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে, যাতে তারা জুলাই বিপ্লব ২০২৪–এর চেতনার বিরুদ্ধে আর কাজ করতে না পারে। সমাজ এখন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে একটি প্রকৃত ইসলামি মূল্যবোধ ও চেতনার যাত্রা দেখার জন্য। ইসলামই বাংলাদেশের সমাজের ভিত্তি ও প্রধান শক্তি।

এখন রাজনৈতিক দলগুলোর দায়িত্ব একত্রে থাকা, যাতে এই বিপ্লবের চেতনা স্থায়ী হয়। বিএনপি ও জামায়াত, যারা প্রধান অংশীদার, তাদের আরও বেশি দায়িত্ব নিয়ে প্রজ্ঞা ও পরিপক্বতার সঙ্গে একযোগে কাজ করতে হবে। এর থেকে বিচ্যুতি জাতির জন্য দুর্যোগ ডেকে আনবে। 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - স্বাস্থ্য