a
ফাইল ছবি । স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক
আগামী সোমবার থেকে সারা দেশ কঠোর লকডাউনে যাচ্ছে। এর মধ্যেই করোনা ভ্যাকসিন আসবে দেশে। এমন তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন। তিনি জানিয়েছেন, কারোনা টিকার বৈশ্বিক উদ্যোগ 'কোড্যাক্স' থেকে আগামী সাত থেকে দশ দিনের মধ্যে থেকে ২৫ লাখ ডোজ মর্ডানার টিকা পাওয়া যাবে।
শুক্রবার রাতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, 'আমরা কোভ্যাক্স থেকে টিকা পেতে গত জুনে চিঠি পাঠিয়েছিলাম। সে হিসাবে কোভ্যাক্স আমাদেরকে পর্যায়ক্রমে প্রায় ৭ কোটি ডোজ টিকা দিতে চেয়েছিল। আজকে আমারা চিঠি পেয়েছি। সেখানে উনারা (কোভ্যাক্স) আমাদেরকে ২৫ লাখ ডোজ মর্ডানার টিকা দেওয়ার কথা বলেছে।
আগামী ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে টিকা বুঝিয়ে নিতে যে সব ব্যবস্থা নেওয়ার সেটা আমাদেরকে নিতে বলেছে। একটা কনসার্ন লেটার পাঠাতে বলেছে, সেটা (কনসার্ন (লেটার) আমারা পাঠিয়ে দিচ্ছি।
তিনি বলেন, চীনের টিকার জন্য এর আগে চুক্তি হয়েছে। আশা করছি আগামি কিছু দিনের মধ্যে তারা (চীন) একটা লট আমাদেরকে দেবে। তবে কখন দেবে ওরা কত ডোজ দিবে সেটা পরে জানিয়ে দেবে বলে জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ৩১ মে কোভ্যাক্সের আওতায় ফাইজার বায়োএনটেকের এক লাখ ৬০২ ডোজ টিকা দেশে পৌঁছায়।
করোনাভাইরাস
গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ৮৩ জন। এ নিয়ে করোনাভাইরাসে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ১০ হাজার ৯৫২ জন।
এদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়েছে ২৬৯৭ জন। এ নিয়ে দেশে মোট করোনাভাইরাসে শনাক্তের সংখ্যা ৭ লাখ ৪২ হাজার ৪০০ জন।
আজ শনিবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে আরও জানানো হয়, গত ১ দিনে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৫৪৭৭ জন করোনারোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট ৬ লাখ ৫৩ হাজার ১৫১ জন করোনারোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
ফাইল ছবি
সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজামের পদত্যাগ বিষয়ে সংগঠনের সভাপতি ও ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম গণমাধ্যমে বক্তব্য পাঠিয়েছেন।
অপরদিকে, নিজের পদত্যাগের কারণ জানিয়ে আরেকটি বক্তব্য দিয়েছেন নঈম নিজামও। বুধবার তারা পৃথকভাবে গণমাধ্যমে বক্তব্য পাঠান। নিচে দু’জনের বক্তব্য হুবহু তুলে ধরা হলো।
মাহফুজ আনাম তার বক্তব্যে বলেন, 'সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে নঈম নিজামের পদত্যাগের সংবাদে আমি বিস্মিত ও মর্মাহত। মঙ্গলবার রাতে তিনি নিউইয়র্ক থেকে টেলিফোনে আমাকে বিষয়টি জানিয়েছিলেন। কিন্তু তার পদত্যাগপত্র আমি এখনও পাইনি। সম্পাদক পরিষদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে এ বিষয়ে পরিষদের অবস্থান জানানো হবে। উল্লেখ্য, সম্পাদক পরিষদের যে কোনো সিদ্ধান্ত সদস্যদের মধ্যে আলোচনা ও ঐকমত্যের ভিত্তিতেই নেওয়া হয়। কখনোই এর ব্যত্যয় ঘটেনি। আমি জোর দিয়ে বলতে চাই, নঈম নিজামের সঙ্গে আমার কর্মক্ষেত্রের সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার এবং পরিষদ পরিচালনার বিষয়ে তার সঙ্গে আমার কখনোই কোনো মতানৈক্য হয়নি।'
অন্যদিকে, নঈম নিজাম তার বক্তব্যে বলেন, 'আমরা পরস্পর ঐক্য ধরে রেখে একটি ইতিবাচক অবস্থান নিয়ে কাজ করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু কিছু কঠিন বাস্তবতা হলো, সরকারের বিরুদ্ধে মাঝে মাঝে বিবৃতি প্রদান ছাড়া সম্পাদক পরিষদ আর কোনো কিছু নিয়ে কাজ করছে না। সম্পাদকদের একটি প্রতিষ্ঠান শুধু সরকারবিরোধী ভাব নিয়ে চলতে পারে না। পরিষদ পেশার মান উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারছে না। শুধু সভাপতির ব্যক্তিগত ইচ্ছায় প্রতিষ্ঠান চলছে। প্রথম আলো, ডেইলি স্টারের স্বার্থ রক্ষা সম্পাদক পরিষদের কাজ হতে পারে না। এসব তৎপরতা মিডিয়ার জন্য মঙ্গল বয়ে আনতে পারে না। কোনো অপরাধ প্রমাণের আগে কোনো মিডিয়া মালিকের বিরুদ্ধে সংবাদ পরিবেশন কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। এ ব্যাপারে বারবার বলার পরও তিনি নিজের অবস্থান থেকে সরেননি বিধায় সম্পাদক পরিষদ থেকে আমার সরে দাঁড়ানো ছাড়া বিকল্প ছিল না।'
সূত্র: সমকাল