a বেগম খালেদা জিয়া ওমরাহ পালন শেষে বিদেশে চিকিৎসা নিতে যাবেন
ঢাকা মঙ্গলবার, ২০ কার্তিক ১৪৩২, ০৪ নভেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

বেগম খালেদা জিয়া ওমরাহ পালন শেষে বিদেশে চিকিৎসা নিতে যাবেন


স্বাস্থ ডেস্ক: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৪, ০৬:০০
বেগম খালেদা জিয়া ওমরাহ পালন শেষে বিদেশে চিকিৎসা নিতে যাবেন

ফাইল ছবি:বেগম খালেদা জিয়া

 

নিউজ ডেস্ক: বেগম খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য ডিসেম্বরের মাঝামাঝিতে বিদেশে যেতে পারেন। পবিত্র ওমরাহ পালন শেষে প্রথমে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে এবং পরে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার কথা রয়েছে। এজন্য যাবতীয় প্রস্তুতিও নেওয়া হচ্ছে। গতকাল ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসে গিয়েছিলেন ‘বায়োমেট্রিক ফিঙ্গার প্রিন্ট’ দেয়ার জন্যে।

বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা জানান, উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে দু-তিনটি দেশে নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। তাকে যুক্তরাষ্ট্রেও নেওয়া হতে পারে। সে জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ১২ অথবা ১৩ ডিসেম্বর তিনি যাত্রা শুরু করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তার সঙ্গে চিকিৎসকসহ ১৭ জন সফরসঙ্গী থাকবেন। যাওয়ার পথে সৌদি আরবে ওমরাহ পালন করার কথা রয়েছে। সর্বশেষ ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে হজ পালন করেছিলেন তিনি। ইতিপূর্বে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে ওমরাহ করার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে সৌদি সরকার।

খালেদা জিয়ার চিকিৎসকরা জানান, বর্তমানে বিমানে ভ্রমণের মতো শারীরিক ফিটনেস খালেদা জিয়ার রয়েছে। তবে ঝুঁকি এড়াতে তার সফরে ছয়জন চিকিৎসক থাকবেন। যুক্তরাজ্যের ভিসা ইতোমধ্যে পাওয়া গেছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার কাজ এখনও শেষ হয়নি।

 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

করোনায় (৩০ এপ্রিল) মৃত্যু ৫৭, শনাক্ত ২১৭৭, সুস্থ ৪৩২৫


স্বাস্থ্য ডেস্ক:
শুক্রবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২১, ০৪:৪৯
করোনাভাইরাসের সর্বশেষ তথ্য

করোনাভাইরাস

গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ৫৭ জন। এ নিয়ে করোনাভাইরাসে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ১১ হাজার ৪৫০ জন।
 
এদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়েছে ২১৭৭ জন। এ নিয়ে দেশে মোট করোনাভাইরাসে শনাক্তের সংখ্যা ৭ লাখ ৫৯ হাজার ১৩২ জন।
 
আজ শুক্রবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে আরও জানানো হয়, গত ১ দিনে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৪৩২৫ জন করোনারোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট ৬ লাখ ৮১ হাজার ৪২৬ জন করোনারোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

একজন দেশপ্রেমিক চৌধুরী ডা. জাফরুল্লাহ একটা ইতিহাস


আরাফাত আলম, বিশেষ প্রতিনিধি, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
শুক্রবার, ১১ জুলাই, ২০২৫, ০৯:২২
একজন দেশপ্রেমিক চৌধুরী ডা. জাফরুল্লাহ একটা ইতিহাস

ছবি সংগৃহীত

কয়েক বছর ধরে পরেন একটা শার্ট, ওপরের বোতাম তার ছেঁড়া। কেউ একজন জিজ্ঞাসা করতে বলেছিলেন, "নষ্ট না হলে আমি কি করব, ফেলে তো দিতে পারি না !"

অথচ বাবা তার রাউজানের জমিদার। লন্ডনে পড়তে গিয়ে তার যে গাড়ি ছিল, দেশ থেকে  বড়ো কেউ গেলে সে গাড়িই ধার দেয়া হতো তাদের। তিনি যে দর্জির কাছে কাপড় সেলাই করতেন, সে দর্জি ছিলেন ব্রিটিশ রাজপুত্র প্রিন্স চার্লসের ব্যক্তিগত দর্জি৷ দেশে ফিরে দেশের মানুষের জীবদ্দশা দেখে সেই বিলাসী জীবন ত্যাগের প্রতিজ্ঞা করেছিলেন জাফরুল্লাহ, আমৃত্যু তাই পালন করেছেন। 

লন্ডনের প্রকাশ্য রাস্তায় নিজেদের পাসপোর্টে আ'গুন ধরিয়ে দিলো কয়েকজন বন্ধু। এরা সবাই এবারের এফআরসিএস পরীক্ষার্থী৷ পরীক্ষা আর দেয়া হলো না, রাষ্ট্রহীন নাগরিক হিসেবে লন্ডন থেকে ফেরত পাঠানো হলো ভারতে৷ দেশের মুক্তিযুদ্ধকে সমর্থন দিয়ে পাকিস্তানের পাসপোর্ট পোড়ানো সে বন্ধুদের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন ডা.জাফরুল্লাহ চৌধুরী। 

ভারতে এসে আগরতলা ক্যাম্পের একপাশে চট-বেড়া দিয়ে গড়ে তুললেন ৪৮০ শয্যার ফিল্ড হাসপাতাল। দিনরাত এক করে হাজার হাজার মানুষের জীবন বাঁচানোর কাজ চলল তাতে। যুদ্ধ শেষ হলে এ হাসপাতালই হয়ে উঠল গরিবের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র৷ 

 আজ ৫০ বছর পরেও, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের নর্মাল ডেলিভারি বা ডায়ালাইসিস খরচ ২৫০০ টাকা৷ করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর ভদ্রলোকের জন্য ভিআইপি কেবিনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল, আনা হচ্ছিল দামী ওষুধ৷ দুটোকেই 'না' করে জাফরুল্লাহ বললেন, ' নিজের হাসপাতালের ওপর নিজে ভরসা না রাখলে মানুষ কি করে রাখবে? যে ওষুধ গরীবে কিনে খেতে পারবে না, সে ওষুধ আমি নেব না।'

১৯৮২ সালে জাতীয় ওষুধ নীতির নেতৃত্ব দিয়েছেন জাফরুল্লাহ। স্বপ্নবাজ এ লোকটির হাত ধরেই ৯০ শতাংশ ওষুধ আজ দেশেই তৈরি হয়। বিনামূল্যে বিলি হয় গণস্বাস্থ্যের ওষুধ। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রই আবিষ্কার করেছিল বাংলাদেশের করোনা টিকা বঙ্গভ্যাক্স, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পেয়েছিল যে টিকা, পায়নি কেবল বাংলাদেশে। 

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে চাকরির কয়েকটা বাঁধাধরা নিয়ম তিনি করেছিলেন। কর্মরতদের ধূ'মপান নিষিদ্ধ । প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী ড. ওয়াজেদ মিঞার চাকরির ব্যাপারে ১৯৯৬ সালে নেত্রী নিজেই ফোন করেন জাফরুল্লাহকে। তিনি  শেখ হাসিনাকে তখনই সাফ জানিয়েছিলেন, ' ধূ'মপান ছাড়তে না পারলে চাকরি হবে না। ' বাধ্য হয়ে একমাসেই ধূ'মপান ছাড়েন ডা. ওয়াজেদ। 

দোর্দণ্ড প্রতাপে যখন ক্ষমতায় এসেছেন জিয়াউর রহমান, জাফরুল্লাহকে মেজর জিয়া হাতে একটা ফাঁকা চেক ধরিয়ে আদেশ দিলেন, মন্ত্রী হও৷ সেদিন গরিবের ডাক্তার ৪ পৃষ্ঠার চিঠি লিখে জবাব দিয়েছিলেন, একজনও স্বাধীনতাবিরোধী থাকলে সে মন্ত্রীসভায় তিনি যাবেন না৷ ৮-১৮'র তরুণরা যখন নির্লিপ্ত, তখন ৮০ বছর বয়সেও হুইল চেয়ারে রাজপথ দাপিয়ে বেড়িয়েছেন এই মানুষটি৷ দাঁড়িয়েছেন বিচারের কাঠগড়ায়,পেয়েছেন অর্থদন্ডও। 

নিজ প্রতিষ্ঠান গণস্বাস্থ্যের সম্পদ আছে কয়েক হাজার কোটি টাকার।পেয়েছেন ম্যাগসেসে পদকের মতো অসংখ্য আন্তর্জাতিক সম্মাননা। অথচ সমস্ত জীবন দেশের জন্য উৎসর্গ করে কপর্দকহীন হয়ে চলে গেলেন একগুঁয়ে মানুষটি। একেকটা হাসপাতাল যখন হয়ে উঠছে মানুষ মারার কল, তখন গরিব যাতে কম খরচে ক্যানসার চিকিৎসা পায়, ওষুধ পায়,  তার বন্দোবস্ত করে গণস্বাস্থ্য হাসপাতাল গড়েছেন মানুষটি।  

জীবন-মরণের মাঝখানে দাঁড়িয়ে শেষবার জাফরুল্লাহ বলেছিলেন, কিছু হলে দেশেই হোক, বিদেশে চিকিৎসা তিনি কিছুতেই নেবেন না।
সারাজীবনের মতো একবারই এই মৃত্যু সাজ,
এতদিন প্রাণ ছিলো, অমরত্ব শুরু হলো আজ.. 

এই জেদ, এই উদ্যম,এই দেশপ্রেমকে কুর্নিশ। আপনি জিতে গেছেন ১৬ কোটি হৃদয়৷ অভিবাদন, মহামানব জাফরুল্লাহ চৌধুরী!

  -ফেসবুক থেকে সংগ্রহীত

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - স্বাস্থ্য