a
সংগৃহীত ছবি । স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক
করোনায় (কোভিড-১৯) আক্রান্ত রোগীতে হাসপাতাল ভরে গেছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘হাসপাতালগুলো আর রোগী সংকুলান করতে পারছে না। তবে সরকার সাধ্যমতো চেষ্টা করছে, পরিস্থিতি সামাল দিতে।’
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীতে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘করোনা ও ডেঙ্গু মোকাবিলার চ্যালেঞ্জ’ নিয়ে এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সোসাইটি অব মেডিসিন এবং সিডিডি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সংক্রমণ কমে আসছে। এ ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। সরকার বয়স্কদের টিকার আওতায় আনতে সব ধরনের উদ্যোগ হাতে নিয়েছে। অল্প দিনেই আমাদের চার থেকে পাঁচ হাজার টেকনিশিয়ান নিয়োগ হয়ে যাবে, যেটা খুবই প্রয়োজন। আমরা ফিল্ড হাসপাতাল বানাচ্ছি। এসবের পাশাপাশি ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রমও চলমান।’
হাসপাতালে শয্যা আর বাড়ানো সম্ভব নয় জানিয়ে অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ বি এম খুরশীদ আলম বলেন, ‘হাসপাতালে আর শয্যা বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। তাই সংক্রমণ কমিয়ে আনা ছাড়া গতি নেই।’ সূত্র: বিডি প্রতিদিন
করোনাভাইরাস
গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ৩৪ জন। এ নিয়ে করোনাভাইরাসে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ১২ হাজার ৬৯৪ জন।
এদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়েছে ১৯৮৮ জন। এ নিয়ে দেশে মোট করোনাভাইরাসে শনাক্তের সংখ্যা ৮ লাখ ৪ হাজার ২৯৩ জন।
আজ বুধবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে আরও জানানো হয়, গত ১ দিনে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ১৯১৪ জন করোনারোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৪৪ হাজার ৬৫ জন।
এবার পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ১৯.৯২ শতাংশ বাড়ানো হল। সোমবার দুপুরে অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) দাম বাড়ানোর এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানির মূল্য নিয়ন্ত্রক এ সংস্থার কাছে গত জানুয়ারি মাসে দাম বাড়ানোর আবেদন করেছিল বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। তখন সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল তারা। সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এক মাসের মাথায় আপিল করে পিডিবি। এ আবেদন বিইআরসি বিবেচনায় নিয়ে পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিল।
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্র বলছে, পাইকারি বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার পর গ্রাহক পর্যায়ে দাম বাড়ানোর আবেদন করবে বিতরণ কোম্পানিগুলো।
সরকারি-বেসরকারি সব বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র থেকে প্রথমে বিদ্যুৎ কিনে নেয় পিডিবি। এরপর পিডিবি সেই বিদ্যুৎ পাইকারি মূল্যে বিতরণ কোম্পানিগুলোর কাছে বিক্রি করে। পরে বিতরণ কোম্পানিগুলো খুচরা মূল্যে গ্রাহকের কাছে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়।
গত ১২ বছরে বিদ্যুতের দাম ৯ বার বেড়েছে। এ সময় পাইকারি পর্যায়ে ১১৮ শতাংশ ও গ্রাহক পর্যায়ে ৯০ শতাংশ বেড়েছে বিদ্যুতের দাম। সবশেষ দাম বাড়ানো হয় ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে, যা ওই বছরের মার্চ থেকে কার্যকর হয়। তখন পাইকারি পর্যায়ে ৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ বাড়ানো হয় দাম। একই সময়ে খুচরা পর্যায়ে দাম বাড়ানো হয় ৫ দশমিক ৩ শতাংশ। সূত্র: যুগান্তর