a
ফাইল ছবি
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনার প্রথম ডোজ টিকা নিয়ে যারা নির্ধারিত সময়ে দ্বিতীয় ডোজ পাননি, তাদের দ্রুত যেকোনো কেন্দ্র থেকে ওই ডোজ দিতে নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
আজ মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) টিকা ব্যবস্থাপনা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য সচিব ও অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. শামসুল হকের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, গত ৭ ফেব্রুয়ারি কোভিড-১৯ (অ্যাস্ট্রাজেনেকা) টিকাদান শুরুর পর, সরবরাহের স্বল্পতার জন্য রেজিস্ট্রেশনকৃত জনগণের একটি অংশ প্রথম ডোজ টিকা নিয়ে দ্বিতীয় ডোজের জন্য দীর্ঘদিন অপেক্ষা করছেন।
বর্তমানে এ টিকার পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায়, দ্বিতীয় ডোজের জন্য অপেক্ষমাণদের দ্রুত টিকাদানের জন্য পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। প্রথম ডোজ টিকা (অ্যাস্ট্রাজেনেকা) নেওয়াদের টিকা কার্ড প্রদর্শনপূর্বক, প্রাপ্যতা সাপেক্ষে যে কোনো কেন্দ্র থেকেই অক্সফোর্ডের দ্বিতীয় ডোজ টিকা দিতে হবে এবং কিউআর কোড স্ক্যান করে উক্ত তথ্য হালনাগাদ করতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, এইচআই, এএইচআই, স্বাস্থ্য সহকারী এবং পরিবার কল্যাণ সহকারীরা বাড়ি পরিদর্শনের সময় দ্বিতীয় ডোজ টিকা থেকে বাদ পড়া ব্যক্তিদের টিকা দেওয়ার কথা জানাবেন, দ্রুত টিকা নিতে উৎসাহিত করবেন। সরবরাহকৃত কোভিড-১৯ (অ্যাস্ট্রাজেনেকা) টিকা থেকে দ্বিতীয় ডোজের পাশাপাশি প্রথম ডোজ দিতে হবে।
আগামী ৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অবশ্যই অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রথম ডোজ দেওয়া শেষ করতে হবে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সব পর্যায়ে, প্রতিদিন ভিএলএমআইএসের মাধ্যমে টিকা পাওয়া, টিকা দেওয়া এবং বর্তমান মজুদের তথ্য নিয়মিত ও সঠিকভাবে হালনাগাদ করতে হবে। জরুরি ভিত্তিতে এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়নের ব্যবস্থা জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
করোনাভাইরাস
গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ৫১ জন। এ নিয়ে করোনাভাইরাসে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ২৬ হাজার ৯৩১ জন।
এদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়েছে ১,৮৭১ জন। এ নিয়ে দেশে মোট করোনাভাইরাসে শনাক্তের সংখ্যা ১৫ লাখ ৩০ হাজার ৪১৩ জন।
আজ রবিবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে আরও জানানো হয়, গত ১ দিনে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৩,৫৮৬ জন করোনারোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৪ লাখ ৭৮ হাজার ৮২১ জন।
উল্লেখ্য, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৫ হাজার ৭৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ৭ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
সবকিছু ঠিকঠাক এগুচ্ছিল। বাংলাদেশের বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের সঙ্গে চুক্তি হয় ভারতের ওষুধ উৎপাদনকারী কোম্পানি সিরাম ইনস্টিটিউটের। চুক্তি মোতাবেক চলতি জানুয়ারিতেই ভ্যাকসিন পাওয়ার আশার কথা শুনিয়েছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। কিন্তু হঠাৎ বেঁকে বসে ভারত সরকার। এ নিয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশ প্রতারণার শিকার হয়েছে।
আজ (সোমবার) দিনভর চলে এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা। নড়েচড়ে বসে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। উদ্বেগ তৈরি হয় সাধারণ মানুষের মধ্যেও। এমতাবস্থায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, নিষেধাজ্ঞার খবর শোনার পর আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঢাকায় তাদের (ভারত) হাইকমিশন এবং ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করেছে। চুক্তি ব্যাহত হবে না বলে আশ্বস্ত করেছে ভারত।
সংবাদ সম্মেলনে জাহিদ মালেক আরো বলেন, ভারত সরকার তাদের দেশে এমার্জেন্সি ভিত্তিতে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করবে। আমরা শুনেছি, এ জন্য তারা আপাতত বিক্রি বন্ধ রাখবে। এর পরপরই আমরা বিষয়টি নিয়ে আলাপ করেছি। আলোচনা অব্যাহত থাকবে।আমাদের ভালো সম্পর্ক রয়েছে ভারতের সঙ্গে। আশাকরি এ নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না।
চুক্তি অনুযায়ী, সিরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে ৩ কোটি ভ্যাকসিন আমদানি করার কথা বাংলাদেশের। প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ করে ৬ মাসের মধ্যে এই ভ্যাকসিন আনার কথা ছিল।