a
করোনাভাইরাস
গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ৪৩ জন। এ নিয়ে করোনাভাইরাসে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ২৭ হাজার ২২৫ জন।
এদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়েছে ১,৩৮৩ জন। এ নিয়ে দেশে মোট করোনাভাইরাসে শনাক্তের সংখ্যা ১৫ লাখ ৪২ হাজার ৬৮৩ জন।
আজ রবিবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে আরও জানানো হয়, গত ১ দিনে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ২,৮৮৭ জন করোনারোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ১ হাজার ৫৪১ জন।
উল্লেখ্য, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয় ২৪ হাজার ৬২৩ জনের। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৫ দশমিক ৬২ শতাংশ।
ছবি সংগৃহীত: বেগম খালেদা জিয়া
নিউজ ডেস্ক: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শীঘ্রই বিদেশে নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন। মঙ্গলবার গণমাধ্যমকে জানান, খালেদা জিয়াকে প্রথমে ‘লং ডিসেটেন্স স্পেশালাইজড এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে লন্ডন নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর সেখানে থেকে তাকে তৃতীয় একটি দেশে মাল্টি ডিসিপ্ল্যানারি মেডিকেল সেন্টারে নেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) শারীরিক সুস্থতা ওপর নির্ভর করে আমরা যাতে অতি দ্রুত উনাকে বিদেশে মাল্টি ডিসিপ্ল্যানারি হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারি সেই প্রক্রিয়া আমরা শুরু করেছি। তারই অংশ হিসেবে আমরা ‘লং ডিসটেন্স স্পেশালাইজড এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে’র ভাড়া করার জন্য কাজ শুরু করেছি। তাদের সঙ্গে যোগাযোগও চলছে।
গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পরের দিন ৬ আগস্ট খালেদা জিয়াকে নির্বাহী আদেশে মুক্তি প্রদান করা হয়। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় দুর্নীতির দুই মামলায় তাকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। তিনি সেখান থেকে মুক্তি পান।
এরই মাঝে বিভিন্ন জটিল রোগে অসুস্থ খালেদা জিয়াকে একাধিকবার হাসপাতালেও ভর্তি করা হয় এবং তিনি দীর্ঘ সময় ধরে হাসপাতালেই কাটিয়ে দেন। স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার তাকে কোন ভাবেই উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি না দেওয়ায় বাধ্য হয়ে তার পরিবার ও দল থেকে বিশেষ উদ্যোগে দেশেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে খালেদা জিয়ার অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল।
৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া আর্থ্রাইটিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিল রোগে দীর্ঘদিন ধরে ভুগছেন। তিনি রাজধানীর বেসরকারি এভারকেয়ার হাসপাতালেই নিয়মিত চিকিৎসা নিচ্ছেন।
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ (এপিএসসিএল) এর বিরুদ্ধে মেঘনা নদীতে বালু ভরাট করে নদী তীর দখলে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের অভিমত এভাবে তীর দখল করলে নদীপথের গতি বাধাগ্রস্থ হতে পারে। নৌ-বন্দর নগরী তিলোত্তমা বাণিজ্যিক এলাকা পড়তে পারে নদী ভাঙ্গনের কবলে।
সোহাগপুর গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা হাজী মোঃ নাছির মিয়া নদী রক্ষা কমিশমন চেয়ারম্যান বরাবরে এক লিখিত অভিযোগে উল্লেখ্য, সরকারি ও মালিকানাধীন এপিএসসিএল কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি বাহাদুরপুর, সোহাগপুর মৌজায় মেঘনার পার্শ্ববর্তী নদীর তীরে ৩শ’ একর ফসলী জমি অধিগ্রগহণের চেষ্টা করে স্থানীয় এলাকাবাসীর প্রতিরোধের মুখে ভূমি অধিগ্রহণে ব্যর্থ হয়ে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্মকর্তারা বিকল্প ভাবনায় মেঘনা নদীর পাড়ের কয়েকশত একর জায়গা অবৈধভাবে বালু দিয়ে ভরাট করে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সীমানা বর্ধিত করছে।
উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য অভিযোগকারী নাছির মিয়া আশুগঞ্জ বন্দরে ধান চালের ব্যবসায়ী ও একজন কৃষক। নাছির মিয়া এ প্রতিবেদককে বলেন, বালু ভরাট অংশের পশ্চিম-উত্তর পাশ দিয়ে সোহাগপুর গ্রামের দিকে বড় খাল আছে এই খাল দিয়ে একসময় মানুষ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরে যাতায়াত করতো। বর্তমানে সিলেট, জামালপুর, ময়মনসিংহ, বরিশাল, গোপালগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলা থেকে বন্দরে আসা ধান চালের নৌকা এই খালে রাখা হয়। তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ মেঘনা নদীর পাড় ভরাটের সাথে ওই খালও দখলে নিয়েছে। অবৈধভাবে মেঘনা তীর দখলের কারণে নদীর গতিপথ পরিবর্তিত হয়ে আশুগঞ্জ নৌবন্দর এলাকায় ব্যাপক নদী ভাঙ্গন দেখা দেবে। মেঘনা নদীতে জেগে উঠা চরসোনারামপুর গ্রামটি নদীতে বিলীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে এলাকাবাসীর অভিমত।
এই গ্রামের ২ হাজারেরও বেশি জেলে পরিবারের বসবাস। তাদের বাড়িঘর সহায়-সম্ভল আশুগঞ্জ এলাকার একমাত্র শ্মশান ও চরে অবস্থিত ২৩০ কেভি ক্ষমতা সম্পন্ন আশুগঞ্জ-সিরাজগঞ্জ জাতীয় গ্রিডের বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের টাওয়ার নদীতে বিলীন হতে পারে বলে সাধারণ মানুষদের ধারণা। বিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ কৌশলে কেন্দ্রের রেষ্ট হাউজের পেছনে তাদের সীমানা প্রাচীরের বাইরে মেঘনা নদীর পাড়ে এক থেকে দেড় কিলোমিটারেরও বেশি এলাকাজুড়ে নতুন করে প্রতিরক্ষা দেয়াল নির্মাণ করছে।
মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলন করে প্রাচীরের ভিতরে ফেলে জায়গা দখলে নিয়েছে। জনা যায়, স্থানীয় জনৈক একজন ঠি^কাদার সেখানে সাড়ে সাত কোটি টাকার বালু ভরাটের কাজ পেয়েছেন। মেঘনাপাড়ে এপিএসসিএলের কোনও জায়গা নেই বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়।
সরেজমিন ঘটনাস্থল ঘুরে দেখা যায়, আশুগঞ্জ বন্দর থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার উত্তর দিকে এপিএসসিএলের রেষ্ট হাউজের পেছনে সীমানা প্রাচীর থেকে ১শ’ থেকে ২শ’ ফুট প্রস্থের দুই থেকে আড়াই হাজার ফুট দৈর্ঘ্যরে নতুন করে দেয়াল নির্মাণ করে বালু ভরাট করা হয়েছে।
সোহাগপুর এলাকার নদীপাড়ের ফসলী জমি নদীর মাঝে জেগে উঠা চরসোনারামপুর গ্রাম সেখানে কয়েক জেলার বিদ্যুৎ সঞ্চালন টাওয়ার ও আশুগঞ্জ বন্দর ব্যাপকভাবে ভাঙ্গনের কবলে পড়বে। এ মন্তব্য পরিবেশবাদী সংগঠন নোঙরের আশুগঞ্জ উপজেলার আহবায়ক ইকরামুল ইসলাম চৌধুরী। আশুগঞ্জ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি জহিরুল ইসলাম (জারু মিয়া) জানায়, আমরা অনেকেই তাদের সাথে ২/৩বার নদীর তীর ও খাল ভরাটের ব্যাপারে বৈঠক করেছি। কিন্তু কোন সুরাহা হয়নি। তারা বলে একটা করে আরেকটা।
আমরা জেলা প্রশাসকের কাছেও ডকুমেন্টারি জমা দিয়েছি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সুপারেন্টেন ইঞ্জিনিয়ার মোঃ সাইফুল ইসলাম জানায়, ১৯৯৬ সালে নদীর তীরেই একোয়ার করা জমি ছিল এবং আগে বিদ্যুৎ ঘাটতি ছিল না এখন চাহিদা বেশি, কিছু বিদ্যুৎ ঘাটতিও আছে। আমরা সরকারি নির্দেশনাতেই ভরাট করছি।
আশুগঞ্জ বিআইডব্লিউডি এর উপপরিচালকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন একটা কমিটি গঠন করেছিলাম কিন্তু এসিল্যান্ড সাহেব আমাকে বাদ দিয়ে সার্ভে করেছে। উনাকে একথা বলার পরে উনি বলেন, পুনরায় আপনাদেরকে নিয়ে সার্ভে করবো। আশুগঞ্জ ইউএনও অরবিন্দ বিশ্বাস বলেন, বর্তমানে নদীর তীর ও খাল ভরাটের কাজ বন্ধ রয়েছে। এসিল্যান্ড ফিরোজা পারভীনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি।