a
ফাইল ছবি
গুগলের ভিডিও কনফারেন্সিং সেবা ‘গুগল মিট’ ব্যবহারকারীদের জন্য সুখবর! এখন থেকে বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান চাইলেই গুগল মিটে করা অনলাইন বৈঠকের ভিডিও সরাসরি নির্দিষ্ট ইউটিউব চ্যানেলে দেখাতে পারবে। ফলে প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন তথ্য কর্মী বা আগ্রহী ব্যক্তিরা সরাসরি জানার সুযোগ পাবেন। নতুন এ সুযোগ দিতে গুগল মিট অ্যাপে ‘লাইভ স্ট্রিম’ সুবিধাও চালু করেছে গুগল।
অনলাইন বৈঠকের ভিডিও সরাসরি দেখাতে হলে গ্রুপের প্রশাসকদের অবশ্যই ইউটিউব চ্যানেল নির্বাচন করে গুগল মিটের অনুমোদন নিতে হবে। অনুমোদনের পর অ্যাকটিভিটিস প্যানেল থেকে ‘লাইভ স্ট্রিমিং’ সুবিধা চালু করলেই ইউটিউব চ্যানেলটিতে সরাসরি ভিডিও দেখা যাবে।
প্রাথমিকভাবে গুগল ওয়ার্কস স্পেস ব্যবহারকারীরা গুগল মিট অ্যাপের ‘লাইভ স্ট্রিম’ সুবিধা কাজে লাগিয়ে অনলাইন বৈঠকের ভিডিও ইউটিউবে সরাসরি সম্প্রচার করতে পারবেন। ইতিমধ্যে নির্দিষ্ট দেশের গুগল ওয়ার্কস স্পেস ব্যবহারকারীদের জন্য এটি চালু করা হয়েছে। সূত্র: দ্য চার্জ/প্রথম আলো
ফাইল ছবি
গৃহস্থালীর বর্জ্য থেকে জ্বালানি তেল ও গ্যাস উৎপাদনের প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন ও ক্যামিকৌশল বিভাগের দুই শিক্ষার্থী। তরুণ এই দুই গবেষক হলেন এইচএম রঞ্জু ও পীযুষ দত্ত। গত ২৭ মার্চ থেকে তাদের যন্ত্রটি তেল ও গ্যাস উৎপাদন শুরু করে। এতে লাভের পরিমাণ খরচের ২৫ শতাংশ বলে জানিয়েছেন তারা। রাজধানীর মাতুয়াইলে তুষারধারা এলাকায় প্রায় সাত কাঠা জমির ওপর বানানো প্ল্যান্টটি থেকে পাওয়া যাচ্ছে গ্যাস ও জ্বালানি তেল।
এ ছাড়াও এতে আরও সাত প্রকারের দ্রব্য উৎপাদন করা সম্ভব বলে জানান তারা। পাশাপাশি প্রয়োজনীয় উপকরণ যুক্ত করে যন্ত্রটির মাধ্যমে বিদ্যুৎও উৎপাদন করা যাবে। এতে প্রতি ইউনিটের খরচ পড়বে সাড়ে ৫ টাকা থেকে পৌনে ৬ টাকা।
গতবছরের ১৪ নভেম্বর প্ল্যান্টটি স্থাপনের কাজ শুরু হয়। শেষ হয় চলতি বছরের ১৭ মার্চ। উৎপাদন শুরু হয় ২৭ মার্চ। এতে এ পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ২৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।
বর্জ্য থেকে তেল ও গ্যাস উৎপাদনের জন্য দুই তরুণ বিজ্ঞানী ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত গবেষণা পরিচালনা করেন। তাদের গবেষণার সার্বিক তদারকি করেছেন একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তসলিম-উর-রশিদ, প্রভাষক সাজিদুল ইসলাম ও বাংলাদেশ অ্যাডভান্স রোবটিক রিসার্চ সেন্টারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জিমি মজুমদার।
ফাইল ছবি
কয়েক দিন ধরে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চলছে টানা বৃষ্টি। আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, সোমবার থেকে বৃষ্টিপাত কমতে পারে। সেই সঙ্গে বাড়তে পারে গরম। গতকাল রাজধানীতে মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। সকালে বৃষ্টির মাত্রা কম থাকলেও আকাশে ছিল মেঘ। দুপুরের পর আকাশ অন্ধকার করে নামে মুষলধারে বৃষ্টি; যা প্রায় দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা স্থায়ী ছিল। টানা বৃষ্টির কারণে তলিয়ে গেছে রাজধানীর অলিগলি থেকে শুরু করে প্রধান সড়কও।
বিভিন্ন অঞ্চলের অলিগলিতে জমে যায় হাঁটুপানি। অনেক বাসার সামনে পানি জমে থাকায় ঘর থেকে বের হওয়া কষ্টকর হয়ে পড়ে। ফলে ঈদের ছুটিতে যারা পরিবার নিয়ে ঘুরতে বের হওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন, তাদের অনেককেই সেই পরিকল্পনা ভেস্তে যায়।
এদিকে টানা ছুটি শেষে রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছেন চাকরিজীবীরা। পরিবার নিয়ে ঢাকায় ফেরা কর্মব্যস্ত মানুষের অনেকেই বৃষ্টিতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। মুষলধারে বৃষ্টি হওয়ায় ঢাকামুখী যাত্রীর অনেককে ভিজেই বিভিন্ন পরিবহনে ওঠানামা করতে দেখা যায়।
গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় ৯১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। এ বৃষ্টির ফলে রামপুরা অঞ্চলের অধিকাংশ গলিতেই প্রায় হাঁটুসমান পানি জমে রয়েছে। এমনকি বেশ কিছু বাসাবাড়িতেও বৃষ্টির পানি ঢুকে যেতে দেখা গেছে। মিরপুর অঞ্চলের বিভিন্ন গলিতেও পানি জমে থাকতে দেখা গেছে। গলিতে পানি জমে থাকতে দেখা গেছে বাড্ডা, মালিবাগ, খিলগাঁও, রাজারবাগ অঞ্চলেও।
জানা গেছে, টানা বৃষ্টির কারণে পুরান ঢাকার বংশাল, নাজিমুদ্দিন রোড পানির নিচে তলিয়ে গেছে। জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে ধানমন্ডি, মিরপুর ১৩, হাতিরঝিলের কিছু অংশে। আগারগাঁও থেকে জাহাঙ্গীর গেট যেতে নতুন রাস্তায়, খামারবাড়ি থেকে ফার্মগেট, ফার্মগেট-তেজগাঁও ট্রাকস্ট্যান্ডসংলগ্ন এলাকা, মোহাম্মদপুরের কিছু অংশ, মেরুল বাড্ডা, ডিআইটি প্রজেক্ট এলাকা, গুলশান লেকপাড় এলাকার সংযোগ সড়কের কয়েকটি স্থানে বৃষ্টির পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
পুরান ঢাকার বংশাল, নাজিমুদ্দিন রোডের জলাবদ্ধতা ছিল বলে জানান গাড়িচালক জাকির হোসেন। তিনি বলেন, গাড়ি নিয়ে পুরান ঢাকায় গিয়েছিলাম। ফেরার পথে পুরো সড়ক-অলিগলিতে জলাবদ্ধতা দেখেছি। কোথাও কোথাও আবার হাঁটুপানিও জমে ছিল। গতকাল আবহাওয়াবিদ শাহীনুর রহমান জানিয়েছেন, সোমবার থেকে বৃষ্টিপাত কমতে পারে। সেই সঙ্গে বাড়তে পারে তুলনামূলক গরম। সূত্র: বিডি প্রতিদিন