a ফ্রি ফায়ার পাবজি টিকটক লাইকি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট
ঢাকা রবিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩২, ২৭ এপ্রিল, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

ফ্রি ফায়ার পাবজি টিকটক লাইকি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট


এম.এস প্রতিদিন ডেস্ক:
মঙ্গলবার, ১৭ আগষ্ট, ২০২১, ১২:৩৯
ফ্রি ফায়ার পাবজি টিকটক লাইকি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট

ফাইল ছবি

অনলাইন গেম ফ্রি ফায়ার ও পাবজি তরুন সমাজ বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের মাঝে বেশ জনপ্রিয়। কিন্তু এসব গেম বিপজ্জনক হয়ে যাচ্ছে দিন দিন তাই অনলাইন এই গেম বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল সোমবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ফ্রি ফায়ার পাবজির মতো তরুন সমাজকে বিপদগামী করা টিকটক, ভিগো লাইভ ও লাইকির মতো সব ধরনের অ্যাপস বন্ধের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।

গত ২৪ জুন হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় মানবাধিকার সংগঠন ‘ল অ্যান্ড লাইফ’ ফাউন্ডেশনের পক্ষে গেম এবং অ্যাপগুলোর ক্ষতিকারক দিক তুলে জনস্বার্থে একটি রিটটি করেন সুপ্রিমকোর্টের দুই আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব ও মোহাম্মদ কাউছার। গত ১ জুলাই এ বিষয়ে শুনানি নিয়ে আদেশের জন্য কঠোর লকডাউনের পর পরবর্তী শুনানি হয় গত সোমবার সেখানে এই আদেশ দেন হাইকোর্ট। এর আগে ফ্রি ফায়ার ও পাবজির আসক্তি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে এটি বন্ধে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে সুপারিশ করেছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তারও আগে পাবজি সাময়িকভাবে বন্ধ করা হলেও পরে আবার চালু করা হয়েছিল।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় ওই সময় জানিয়েছিল, ওই দুটি গেম কিশোর-কিশোরী ও তরুণদের মধ্যে আসক্তি তৈরি করেছে।  কিন্তু হঠাৎ করে বন্ধ করতে গেলে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করবে। তাই ধীরে সুস্থে বিকল্প পদ্ধতিতে গেম দুটি বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া হবে। বন্ধ করলেও তরুণরা ভিপিএন দিয়ে গেমটি খেলবে এমন প্রশ্নে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় জানিয়েছিলেন, যারা এ ধরনের গেমে আসক্ত তারা ভিপিএনসহ নানা বিকল্প উপায়ে গেমটি খেলতে পারে। আমরা সেসবও বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা করব। সম্প্রতি নেপালে পাবজি নিষিদ্ধ করে দেশটির আদালত। একই কারণে ভারতের গুজরাটেও এ গেম খেলার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল। এমনকি গেমটি খেলার জন্য কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছিল।

দক্ষিণ কোরিয়ার গেম ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান ব্লু হোয়েলের অনলাইন ভিডিও ২০১৭ সালে চালু হয়। এরপর থেকে এই গেমটি দ্রুত বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ২০১৮ সালে অ্যাঙ্গরি বার্ড, টেম্পল রান, ক্যান্ডি ক্রাশের মতো গেমগুলোকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে জনপ্রিয় অনলাইন গেমের তালিকায় শীর্ষে জায়গা করে নেয় পাবজি। অন্যদিকে চায়না প্রতিষ্ঠান ২০১৯ সালে তৈরি করা যুদ্ধ গেম ফ্রি ফায়ার একইভাবে তরুণ প্রজন্মের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। বিশেষ করে করোনা মহামারির ফলে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকার ফলে শিক্ষার্থীরা এসব গেমে আসক্ত হচ্ছে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / khurshedalm@msprotidin.com

হোয়াটসঅ্যাপ ২ মাস পর কিছু ফোনে আর চলবে না


এম.এস প্রতিদিন ডেস্ক:
শনিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১০:৩৯
হোয়াটসঅ্যাপ ২ মাস পর কিছু ফোনে আর চলবে না

ফাইল ছবি

হাতে আর মাত্র দু’মাস সময়, এরপরই একাধিক স্মার্টফোনে আর কাজ করবে না হোয়াটসঅ্যাপ। হোয়াটসঅ্যাপ এর নতুন নিয়ম চালু হলেই ওইসব ফোনে আর চলবে না হোয়াটসঅ্যাপ। জানা গেছে, পয়লা নভেম্বর থেকেই ৪৩টি ফোনে বন্ধ হয়ে যাবে এই মেসেজিং অ্যাপটি। এই তালিকায় রয়েছে পুরনো অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস ফোনগুলো।

হোয়াটসঅ্যাপ এর পক্ষ থেকে নিশ্চিত করে একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, অ্যান্ড্রয়েড ৪.০.৪ বা তার আগের অপারেটিং সিস্টেমে থাকা ফোন এবং আইওএস ৯ বা তার থেকে আগের অপারেটিং সিস্টেম থাকা ফোনে আর কাজ করবে না হোয়াটসঅ্যাপ। এই সব ফোন প্রস্তুতকারক সংস্থার পক্ষ থেকেও পাওয়া গেছে নিশ্চয়তা, ফলে কয়েকদিনের মধ্যেই নতুন ফোন কিনতে হতে পারে ব্যবহারকারীদের।

এ বার একনজরে দেখে নিন, ঠিক কোন কোন ফোনগুলোতে দু’মাস পর থেকে আর কাজ করবে না হোয়াটসঅ্যাপ। স্যামসাং গ্যালাক্সি এস৩ মিনি, ট্রেন্ড টু, ট্রেন্ড লাইট, এস ২ এলজি অপটিমাস এফ সেভেন, এফ ফাইভ, এলথ্রি টু ডুয়াল, এফ সেভেন টু, এফ ফাইভ টু সোনি এক্সপিরিয়া হুয়েই অ্যাসেন্ড মেট ও অ্যাসেন্ট ডি টু অ্যাপল আইফোন এসই, সিক্স এস ও সিক্স এস প্লাস। 

গত বছর থেকে হোয়্যাটসঅ্যাপ এর নিরাপত্তা নিয়ে নানারকম জটিলতা চলছে। এর ফলে ব্যবহারকারীর সংখ্যা কমেছে বলেই খবর। যদিও হোয়্যাটসঅ্যাপ সবসময়েই দাবি করেছে, অ্যাপে নিরাপত্তার কোনও অভাব নেই। এখানে দেওয়া বার্তা ও ছবি সব সময়েই নিরাপদ। সূত্র: আনন্দবাজার

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / khurshedalm@msprotidin.com

আজ মহান স্বাধীনতা দিবস


আরাফাত, বিশেষ প্রতিনিধি, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বুধবার, ২৬ মার্চ, ২০২৫, ০৪:৫৬
আজ মহান স্বাধীনতা দিবস

ছবি সংগৃহীত

 

আজ ২৬ মার্চ, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ৫৪তম বার্ষিকী। ১৯৭১ সালের এই দিনে বিশ্ব মানচিত্রে আত্মপ্রকাশ ঘটে নতুন রাষ্ট্র স্বাধীন বাংলাদেশ। একাত্তরের অগ্নিঝরা মার্চে পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে অসহযোগ আন্দোলন চলাকালে ২৫ মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী নিরস্ত্র জনগণের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ অবস্থায় ২৬ মার্চ চট্টগ্রামের কালুরঘাট স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে মেজর জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। শুরু হয় স্বাধীনতার যুদ্ধ, মহান মুক্তিযুদ্ধ।

পাকিস্তানের পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠী তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের (বাংলাদেশের) জনগণের স্বাধিকারের দাবি কখনো মেনে নিতে পারেনি। ব্রিটিশ শাসনের অবসানে দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিতর দিয়ে ১৯৪৭ সালে প্রতিষ্ঠা হয় পাকিস্তান রাষ্ট্র। শুরু থেকেই পশ্চিম পাকিস্তানিরা সংখ্যাগরিষ্ঠ পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের ওপর শোষণ ও দমনপীড়ন চালাতে থাকে। তাদের নীলনকশার প্রথম আঘাত আসে বাঙালির মাতৃভাষা বাংলার ওপর। ১৯৫২ সালে বুকের রক্ত দিয়ে জাতির বীরসন্তানরা মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁদের এ আত্মদানের ভিতর দিয়ে জাতি উদ্বুদ্ধ হয়ে ওঠে স্বাধিকারের চেতনায়। ক্রমে ক্রমে তা রূপ নেয় স্বাধীনতাসংগ্রামে।

মুক্তিকামী বাঙালিকে চিরতরে দমনের ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে মেতে ওঠে পশ্চিম পাকিস্তানের কিছু রাজনীতিবিদ ও সেনাবাহিনী। ১৯৭০-এর সাধারণ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয়লাভ করা সত্ত্বেও বাঙালির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে ছলচাতুরী করে পাকিস্তানি সামরিক জান্তা। এর প্রতিবাদে ১৯৭১ সালের মার্চে পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অসহযোগ আন্দোলন শুরু করে বাংলাদেশের মানুষ। ২৫ মার্চ দিবাগত রাতে গণহত্যা শুরু করে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। লাখো শহীদের আত্মদানের পথ ধরে দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে আমরা অর্জন করি কাক্সিক্ষত স্বাধীনতা।

আজ জাতি সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করছে মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর শহীদদের, যাঁদের সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি কাঙ্খিত স্বাধীনতা। এবার এক ভিন্ন প্রেক্ষাপটে উদযাপন করা হচ্ছে মহান স্বাধীনতার ৫৪তম বার্ষিকী। গত বছর জুলাই গণ অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার বীরত্বে জাতি স্বৈরাচারের অত্যাচার-নিপীড়নের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছে। জাতি একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণ ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই গণ অভ্যুত্থানের চেতনা ধারণ করে এগিয়ে যাওয়ার সংকল্পে উদ্যাপন করছে স্বাধীনতা দিবস।

মহান স্বাধীনতা দিবসে জাতি মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহীদদের অমর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করবে। প্রত্যুষে সূর্যোদয়ের লগ্নে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি জাতির পক্ষে শ্রদ্ধা জানাবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শ্রদ্ধা জানাবেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা, বিদেশি কূটনীতি­ রাজনীতিবিদসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।

এর পরই জাতির গৌরব আর অহংকারের এ দিনটিতে স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে ঢল নামবে লাখো মানুষের। তাদের শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় ফুলে ফুলে ভরে উঠবে জাতীয় স্মৃতিসৌধ।

 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

সর্বশেষ - তথ্য ও প্রযুক্তি