a
সংগৃহীত ছবি
আজ রবিবার ১৮ এপ্রিল, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছে দুইটি পিসিয়ার মেশিনসহ তিন কোটি টাকার গবেষণা সরঞ্জাম। বিশ্বিবিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, এশিয়ার মধ্যে একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ইনস্ট্রুমেন্টাল একসেস অ্যাওয়ার্ড ২০২০ পায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগ।
বাংলাদেশ থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রথমবারের মতো এই অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে। গত বছর ২৭ মে সিডিং ল্যাবের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ এওয়ার্ড ঘোষণা করা হয়। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ বিজ্ঞানীদের শিক্ষা ও গবেষণার জন্য স্বল্প খরচে উন্নত মানের বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের প্রধান ড. দিলারা ইসলাম শরীফ এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘গত বছর বিশ্বের ১০টি দেশের মোট ১৮টি বিশ্ববিদ্যালয় এই অ্যাওয়ার্ড অর্জন করে। বাংলাদেশের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে এওয়ার্ডটা পেয়েছি। যে গবেষণা সরঞ্জাম আমরা পেয়েছি, এতে করে একটি উচ্চ মানসম্পন্ন ল্যাব তৈরি করতে পারবো। যা বায়োটেকনোলজিক্যাল গবেষণার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এসব যন্ত্রপাতির মধ্যে রয়েছে ২ টি পিসিআর মেশিন, ল্যামিনার ফ্লো, মাইনাস ২০ ডিগ্রি ফ্রিজসহ প্রায় ৯৪ টি উচ্চতর গবেষণা ইকুয়েপমেন্ট।’
উনি আরো বলেন,"বর্তমান এ করোনা মহামারীর সময়ে হয়তো পর্যাপ্ত ব্যবস্থাপনার প প্রয়োজনীয় সকল সুযোগ না পাওয়ায় আমরা এখন করোনা টেস্ট করতে পারবে না।কিন্তু নতুন স্ট্রেন গুলো নির্ধারণ করে এর ভ্যাকসিন আবিষ্কার করা কিংবা এর প্রতিরোধ বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেয়া সম্ভব হবে। যা করোনা টেস্ট এর চেয়েও অধিক গুরুতর হবে বলে আমরা মনে করি।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ও বায়োটেকনোলজি বিভাগে উন্নতমানের এসব যন্ত্রপাতি বসিয়ে একটি আদর্শ ল্যাব তৈরি করতে পারলে ভবিষ্যতে আরো সুদূরপ্রসারী স্থানে পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমান ভয়াবহ পরিস্থিতিতে আমরা কাজ করতে সম্ভবপর না হলেও পরবর্তীতে আমরা এসব যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে হয়তো উন্নত বিশ্বের সামনে নতুন নতুন ভ্যাকসিন আবিষ্কার ও বিশ্লেষণমূলক কাজের দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারবো।"
উল্লেখ্য, আমেরিকার সিডিং ল্যাব নামের একটি বেসরকারি সংগঠন এই অ্যাওয়ার্ড দিয়ে থাকে। যার উদ্দেশ্য নিম্ন মধ্যবিত্ত দেশের তরুণ বিজ্ঞানীদের নতুন কিছু আবিষ্কার ও গবেষণায় উৎসাহিত করা। জানা যায়, এই অ্যাওয়ার্ডের মাধ্যমে গবেষণার যন্ত্রপাতি বিশ্বের ১০টি দেশের ১৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি বিভাগে সরবরাহ করবে। এছাড়া যারা মনোনীত হয় তাদেরকে বিশ্বব্যাপী সিডিং ল্যাবের অন্য বিজ্ঞানীদের সংস্পর্শে আসার সুযোগ থাকবে।
সংগৃহীত ছবি
বছরের প্রথম সূর্যগ্রহণ হতে যাচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার (১০ জুন)। এ গ্রহণ শুরু হবে বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টা ৭ মিনিটে। গ্রহণের পর এটি সর্বোচ্চ অবস্থায় পৌঁছবে বিকেল ৪টা ৩৬ মিনিটে। যা শেষ হবে সন্ধ্যা ৭টা ৬ মিনিটে।
জানা গেছে, বাংলাদেশ থেকে এ সূর্যগ্রহণ তিন মিনিট ৫১ সেকেন্ড ধরে দেখা যাবে। এ সময় সূর্যের প্রায় ৯৪.৩ শতাংশ অন্ধকারে ঢাকা পড়বে। কেবল একটি বলয় দৃশ্যমান থাকবে গ্রহণের সময়। যাকে বলে 'রিং অব ফায়ার'ও বলা হয়।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন সূর্যগ্রহণের ফলে আকাশের কোলে সৌন্দর্য বিচ্ছুরিত হবে।
রাশিয়া, কানাডা, গ্রিনল্যান্ড ও উত্তর মেরু থেকে এ আগুনের বলয় দেখা যাবে। তবে গ্রহণের চূড়ান্ত অবস্থা প্রত্যক্ষ করা যাবে গ্রিনল্যান্ড থেকে। এছাড়া ইউরোপ ও এশিয়ার উত্তরাংশ থেকেও সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে।
এ সূর্যগ্রহণের বিষয়ে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা জানিয়েছে, আজকের সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে কানাডা, গ্রিনল্যান্ড ও রাশিয়া থেকে। গ্রহণের কক্ষপথ কানাডার উত্তর অন্টারিও এবং সুপিরিয়র হ্রদের উত্তর দিয়ে পার করবে। কানাডায় এই গ্রহণ তিন মিনিট স্থায়ী হবে। তবে ভারতে সূর্যাস্তের আগে অরুণাচল প্রদেশ ও লাদাখের কিছু অংশে মাত্র কয়েক মিনিটের জন্য এই গ্রহণ দেখা যাবে।
নাসা আরো জানায়, বিকেল ৫টা ৫২ মিনিট নাগাদ অরুণাচলের দিবাং অভয়ারণ্য অঞ্চল এলাকা থেকে এই সূর্যগ্রহণের সামান্য একটা অংশ দেখতে পাওয়া যাবে। পাশাপাশি, লাদাখে সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে ৬টা ১৫ মিনিট নাগাদ। এছাড়া ভারতের আর কোনো জায়গা থেকেই দেখা যাবে না এই গ্রহণ।
ফাইল ছবি
১১ ঘণ্টার সংক্ষিপ্ত সফরে বাংলাদেশের আর্জেন্টিনা সমর্থকদের উন্মাদনা কাছ থেকে দেখা না হলেও অল্প যে কজনকে দেখেছেন, তাতেই মুগ্ধ এমিলিয়ানো মার্তিনেজ।
ঢাকায় সংক্ষিপ্ত সফর শেষে সোমবার বিকালে কলকাতার বিমান ধরার আগে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী গোলকিপার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানালেন, ভবিষ্যতে তিনি আবার বাংলাদেশে আসতে চান।
বাংলাদেশে হৃদয়ের একটি অংশ রেখে যাচ্ছেন জানিয়ে ইনস্টাগ্রাম বার্তায় মার্তিনেজ লিখেছেন, ‘নেক্সট ভেঞ্চার্স ও ফান্ডেডনেক্সটের সঙ্গে সম্পৃক্ততায় বাংলাদেশে অসাধারণ এক সফর কাটালাম। এখানকার মানুষ, তাদের ভালোবাসা, যত্ন এবং অতুলনীয় আতিথেয়তায় আমার হৃদয় সত্যিই বিগলিত। নিকট ভবিষ্যতে এই সুন্দর দেশটিতে আবারও আসতে চাই।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, পুলিশ, বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এবং আরও অনেকের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি, যাদের নামও হয়তো জানি না, কিন্তু তাদের প্রয়াসও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। বাংলাদেশের সঙ্গে আমার যে বিশেষ বন্ধনের জন্ম হলো, তা গড়ে তোলায় আপনাদের সবার ভূমিকা আছে। পরের সফরের আগপর্যন্ত আমি আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি। তবে হৃদয়ের একটি অংশ এদেশে রেখে যাচ্ছি। বাংলাদেশের বাজপাখি হয়ে আমি মুগ্ধ।’ সূত্র: যুগান্তর