a
ফাইল ছবি
হাতে আর মাত্র দু’মাস সময়, এরপরই একাধিক স্মার্টফোনে আর কাজ করবে না হোয়াটসঅ্যাপ। হোয়াটসঅ্যাপ এর নতুন নিয়ম চালু হলেই ওইসব ফোনে আর চলবে না হোয়াটসঅ্যাপ। জানা গেছে, পয়লা নভেম্বর থেকেই ৪৩টি ফোনে বন্ধ হয়ে যাবে এই মেসেজিং অ্যাপটি। এই তালিকায় রয়েছে পুরনো অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস ফোনগুলো।
হোয়াটসঅ্যাপ এর পক্ষ থেকে নিশ্চিত করে একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, অ্যান্ড্রয়েড ৪.০.৪ বা তার আগের অপারেটিং সিস্টেমে থাকা ফোন এবং আইওএস ৯ বা তার থেকে আগের অপারেটিং সিস্টেম থাকা ফোনে আর কাজ করবে না হোয়াটসঅ্যাপ। এই সব ফোন প্রস্তুতকারক সংস্থার পক্ষ থেকেও পাওয়া গেছে নিশ্চয়তা, ফলে কয়েকদিনের মধ্যেই নতুন ফোন কিনতে হতে পারে ব্যবহারকারীদের।
এ বার একনজরে দেখে নিন, ঠিক কোন কোন ফোনগুলোতে দু’মাস পর থেকে আর কাজ করবে না হোয়াটসঅ্যাপ। স্যামসাং গ্যালাক্সি এস৩ মিনি, ট্রেন্ড টু, ট্রেন্ড লাইট, এস ২ এলজি অপটিমাস এফ সেভেন, এফ ফাইভ, এলথ্রি টু ডুয়াল, এফ সেভেন টু, এফ ফাইভ টু সোনি এক্সপিরিয়া হুয়েই অ্যাসেন্ড মেট ও অ্যাসেন্ট ডি টু অ্যাপল আইফোন এসই, সিক্স এস ও সিক্স এস প্লাস।
গত বছর থেকে হোয়্যাটসঅ্যাপ এর নিরাপত্তা নিয়ে নানারকম জটিলতা চলছে। এর ফলে ব্যবহারকারীর সংখ্যা কমেছে বলেই খবর। যদিও হোয়্যাটসঅ্যাপ সবসময়েই দাবি করেছে, অ্যাপে নিরাপত্তার কোনও অভাব নেই। এখানে দেওয়া বার্তা ও ছবি সব সময়েই নিরাপদ। সূত্র: আনন্দবাজার
ফাইল ছবি
খুব সকালে যখন ঘুম থেকে উঠি, তখন আমরা সবাই দেখে থাকি যে সূর্যের রঙ হলুদ বর্ণের। ধীরে ধীরে যখন বেলা বাড়তে থাকলে সূর্যের রঙ পরিবর্তন হয়ে কমলা রং ধারণ করে। আর দিনের শেষসময়ে সূর্য হয়ে উঠে একদম টাটকা লাল।
সূর্যের এ রঙ বদলানো নিয়ে আমরা কি চিন্তা করেছি কখনো? কেন এমনটা হয়? সূর্য আসলে কোন রঙের- লাল, হলুদ নাকি কমলা, নাকি অন্য কোনো রঙের! আমরা জানি সূর্য একটা নক্ষত্র, আর সব নক্ষত্রেরই কোনো না কোনো রঙ আছে। রঙগুলো হলো রেড জায়ান্ট, রেড ডোয়ার্ফ, ব্লু জায়ান্ট, সুপার জায়ান্ট ইত্যাদি।
নক্ষত্রের রঙ কেমন হবে তা সাধারণত তার তাপমাত্রার উপর নির্ভর করে থাকে। একটি নক্ষত্রের ভেতর থেকে ফোটন বের হয়ে তা মহাশূন্যে হারিয়ে যায়, ফলে ফোটন থেকে বের হওয়া শক্তির পরিমান আলাদা আলাদা হয়ে থাকে। এসব কারণে দেখা যায় একটি নক্ষত্র ইনফ্রারেড, আল্ট্রাভায়োলেট, লাল অথবা নীল রঙের আলোকরশ্মির বিকিরণ ঘটাচ্ছে একই সময়ে। এমনকি সেখানে বিদ্যমান থাকতে পারে এক্স ও গামা রশ্মিও।
নক্ষত্রের রঙের বিভিন্ন পরিবর্তন এর জন্য বিশেষ কিছু কারণ রয়েছে,একটি নক্ষত্রের তাপমাত্রা যদি হয় সাড়ে পঁয়ত্রিশ হাজার কেলভিনের কম হয় তবে তার রঙ হবে লাল। আবার কোনো নক্ষত্রের তাপমাত্রা যদি দশ হাজার কেলভিনের উপরে হয় তবে তা নীল রঙের হবে। সূর্যের তাপমাত্রার পরিমাণ প্রায় ছয় হাজার কেলভিনের মতো। এ তাপমাত্রার নক্ষত্রগুলো সাধারণত হয়ে থাকে সাদা রঙের। সেক্ষেত্রে সূর্যের আসল রঙ হলো সাদা।
কি অবাক হচ্ছেন? হ্যাঁ, সূর্যের রং আসলেই সাদা রঙের। আসলে মহাশূন্যে গিয়ে যদি আমরা সূর্যকে স্বচক্ষে দেখে আসতে সক্ষম হতাম, তবে ১০০ ভাগ নিশ্চিত হোমার যে সূর্যের রঙ আসলে একেবারে সাদা। সূর্য ও সূর্যলোকের রঙ সাদা। তাহলে প্রশ্ন হলো সূর্যকে বিভিন্ন সময় লাল, হলুদ বা কমলারঙে দেখি কেনো? এর পিছনে বিশেষ কারণ হলো বায়ুমণ্ডলে সূর্যরশ্মির বিচ্ছুরণ ঘটে। ছোট ছোট তরঙ্গদৈর্ঘের নীল ও বেগুনি আলোকরশ্মি অপসারিত হয়ে যায়। সূর্য থেকে আসা আলোক বর্ণালির এ দুটো রঙ সরে গেলে তা অনেকটা হলুদের মতো হয়ে যায়। সূর্যকে আমরা তখন হলুদ দেখি। অন্যান্য রঙের বেলায়ও এ ঘটনা ঘটে।
এভাবে সূর্যের আলো যখন বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন ধাপ অতিক্রম করে পৃথিবীতে আসে তখন তার রঙ বদলে হলুদ, কমলা বা ম্যাজেন্টা রঙ ধারণ করে। তবে আরেকটি প্রশ্ন হলো সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময় সূর্যের রঙ লাল হয়ে যায় কেন? সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময় ভাসমান ধূলিকণা ও বাতাসের অন্যান্য উপাদান সূর্যরশ্মির নীল প্রান্তের কম তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের বর্ণকে বেশি বিক্ষিপ্ত করে ও লাল প্রান্তের বেশি তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের বর্ণকে কম বিক্ষিপ্ত করে। ফলে সূর্য লাল বর্ণ ধারণ করে থাকে।
বাশার আল আসাদ
আগামী ২৬ মে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। তাই আবারও দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য নাম রেজিস্ট্রেশন করেছেন।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিরিয়ার জাতীয় সংসদের স্পিকার হামুদা সাবাকাহ। জানা গেছে, গতকাল বুধবার সিরিয়ার সুপ্রীম সাংবিধানিক আদালতের মাধ্যমে বাশার আল আসাদ নিজের প্রার্থীতার জন্য অনুরোধ পাঠান।
উল্লেখ্য, ২০০০ সালে পিতা আসাদের পর বাশার আল-আসাদ প্রথম সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন এবং পরবর্তী সব নির্বাচনেই তিনি বিজয়ী হয়ে সিরিয়া শাসন করে আসছেন। ২০১৪ সালে সিরিয়ায় সর্বশেষ প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সূত্র : পার্সটুডে