a
মাইকেল কলিন্স।ফাইল ছবি
মরণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে গতকাল ২৮ এপ্রিল বুধবার যুক্তরাষ্ট্রে নিজ বাড়িতে মৃত্যু বরণ করেন নভোচারী মাইকেল কলিন্স। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। কলিন্সের পরিবার টুইটারে সূত্রে তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে।
এ সময় পরিবারের সদস্যরা তার পাশে ছিলেন। তিনি জীবনের সব বাধা একাগ্রতা ও আন্তরিকতার সঙ্গে মোকাবিলা করেছেন। কলিন্সের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে নাসা। নাসার প্রশাসক স্টিভ জুরিক এক বিবৃতিতে বলেন, নাসা গভীর শোকের সঙ্গে বলছি নাসা এবং বিশ্ব একজন মহান পাইলট ও নভোচারীকে হারালো তার শুন্যস্থান চিরকাল অপূরনীয় হয়ে থাকবে।
১৯৬৯ সালে চাঁদের বুকে প্রথম পা রেখেছিল নাসার অ্যাপোলো-১১। মাইকেল কলিন্স ছিলেন সেই চন্দ্রাভিযানের কমান্ড মডিউল পাইলট। অভিযানে নিল আর্মস্ট্রং এবং এডউইন অলড্রিনের চাঁদের বুকে পা রাখেন। তবে কলিন্স চাঁদে নামেননি। এ কারণে তাকে ‘বিস্মৃত নভোচারী’ বলা হয়।
এ তিনজনের মধ্যে আর্মস্ট্রং মারা যান ২০১২ সালে। এখন শুধু বেঁচে আছেন অলড্রিন।
মাইকেল কলিন্স ১৯৩০ সালে ইতালিতে জন্ম নেন। তার বাবা যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীতে মেজর জেনারেল ছিলেন। কলিন্স যুক্তরাষ্ট্রের মিলিটারি একাডেমি থেকে গ্র্যাজুয়েট করেন। তারপর বিমানবাহিনীতে যোগ দেন। এরপর ১৯৬৩ সালে পাইলট হিসেবে নাসাতে যোগ দেন।
ছবি সংগৃহীত
নিউজ ডেস্ক: স্মার্টফোন এখন সবারই নিত্যসঙ্গী। যেখানেই যাওয়া হয় এবং কোন কাজ করা হয় তা প্রায় সবই ফ্রেমবন্দি করা হয়।
পছন্দের ছবির পাশাপাশি মোবাইল ভরে উঠছে অপ্রয়োজনীয় ছবি ও ভিডিও। ফোনের স্টোরেজ ভরে গিয়ে হ্যাং হয়ে যাচ্ছে। জরুরি মুহূর্তে কোনো ছবি রাখা যায় না। এমতাবস্থায় কোন ছবি রাখব, আর কোন ছবি ডিলিট করা হবে তা নিয়েও দোটানা। এ পরিস্থিতিতে জেনে নেওয়া যাক— কীভাবে ফোনকে ঠিক রেখে হাজার হাজার অপ্রয়োজনীয় ছবি ডিলিট করা যায়।
মোবাইলের ছবি নিরাপদে গুছিয়ে রাখার সহজ উপায় হলো— ফটো স্টোরেজ সফটওয়্যারের ব্যবহার। আইফোন হলে অ্যাপল ফটো এবং অ্যান্ড্রয়েডের জন্য গুগল ফটোঅ্যাপ। দুই অ্যাপেই ছবি সুরক্ষিত রাখা যায় এবং অনলাইনে আদানপ্রদানও করা যায়। ফলে ফোনে থাকা ছবি অনায়াসে মুছে ফেলতে পারা যাবে এবং এখানে জমা করা যাবে। এক্ষেত্রে অ্যাপেলে ৫ জিবি আইক্লাউড স্পেস থাকে বিনামূল্যে, এরপরে বাড়তি জায়গার প্রয়োজন হলে টাকা দিয়ে তা কিনতে হয়। গুগল ড্রাইভে ১৫ জিবি ফটো জমিয়েও রাখা যায়।
এ ছাড়া বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের পাশাপাশি হোয়াটসঅ্যাপ থেকে মোবাইলে অটো ডাউনলোড হতে থাকে অপ্রয়োজনীয় ছবি ভিডিও। ফলে ফোনের সেটিংসে গিয়ে ‘অটো-ডাউনলোড’ অপশন বন্ধ করে এই ধরনের সব অপ্রয়োজনীয় ছবি ভিডিও মুছে ফেলা যায়।
ক্যামেরা, ডাউনলোড, হোয়াটসঅ্যাপ ইমেজে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ছবিগুলো বিভিন্ন অ্যালবাম তৈরি করে রাখলে, তাতে অপ্রয়োজনীয় ছবিগুলো ডিলিট করা সহজ হবে। আর ছবিও খুঁজে পাওয়া সহজ হবে। সূত্র: যুগান্তর
ফাইল ছবি
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) গুলশান বিভাগের এডিসি গোলাম সাকলায়েনকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। শনিবার (৭ আগস্ট) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রধান) এ কে এম হাফিজ আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বিষয়টি আমরা শুনেছি। যেহেতু একটি অভিযোগ এসেছে, তাকে আমরা আর ডিবিতে রাখছি না। এ বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। তিনি আরও বলেন, 'এ বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তর একটি তদন্ত করবে। তদন্তের পর তার বিরুদ্ধে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশন নেওয়া হবে কি না, এটা পরের বিষয়।
এর আগে চিত্রনায়িকা পরীমণির সঙ্গে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) গুলশান বিভাগের এডিসি গোলাম সাকলায়েনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠার কথা এরই মধ্যে গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সম্প্রতি ঢাকার অদূরে তুরাগতীরে বহুল আলোচিত বোট ক্লাব মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন সাকলায়েন। ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে করা মামলার তদন্ত চলার সময় নায়িকা পরীমণির সঙ্গে সখ্য গড়ে ওঠে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
র্যাবের হাতে পরীমণি গ্রেফতারের পর গোয়েন্দা পুলিশের ঊর্ধ্বতন এ কর্মকর্তার সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতার বিষয়টি আলোচনায় উঠে আসে। তাদের অন্তরঙ্গ সম্পর্ক নিয়ে চলছে নানা গুঞ্জন। পরীমণির গাড়ি চালক নাজির হোসেন গণমাধ্যমের কাছে ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন।
এছাড়া এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট পরীমণি-সাকলায়েনকে নিয়ে একটি সিসিটিভি ফুটেজ ফাঁস হয়েছে। সেখানে দেখা যায়, রাজারবাগ পুলিশ অফিসার্স কলোনির মধুমতি ভবনের গেটের সামনে ১ আগস্ট সকাল ৮ টা ১৫ মিনিটে একটি সাদা গাড়ি এসে থামে। লাল রংয়ের টি-শার্ট পরিহিত একজন প্রথমে নামেন। এরপর কোলে একটি কুকুরসহ সাদা রংয়ের জামা পরে নামেন নায়িকা পরীমণি।
বুধবার (৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় রাজধানীর বনানীতে পরীমণির বাসায় প্রায় চার ঘণ্টার অভিযান শেষে তাকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এ সময় তার বাসা থেকে বিভিন্ন মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। পরীমণি ও প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজের মামলা ডিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মামলার তদন্তের স্বার্থে ডিবি যে কাউকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর ডিবির (উত্তর) যুগ্ম-কমিশনার হারুন-অর-রশিদ। সূত্র: ইত্তেফাক