a
ফাইল ছবি
আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতা নেওয়ার পর কাজ থেকে অব্যাহত থাকে সে দেশের পুলিশ বাহিনী। অবশেষে কাবুল বিমানবন্দরে তালেবানের পাশাপাশি কাজে ফিরেছে আফগানিস্তানের পুলিশ। কাবুল বিমানবন্দরে তালেবানের পাশাপাশি দায়িত্ব পালন করছেন তারা। তালেবান কমান্ডারদের কাছ থেকে টেলিফোন পাওয়ার পর তারা কাজে যোগ দিয়েছেন বলে জানানো হয়েছে।
ফ্রান্স ২৪ জানায় আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ তালেবানের হাতে চলে যাওয়ায় দেশটির পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়েছিলেন। কিন্তু তালেবান সাবেক সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের সবাইকে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পর এসব পুলিশ আবার কাজে ফিরলেন। বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা গত রোববার জানান, কাবুল বিমানবন্দরের চেকপয়েন্ট পরিচালনার কাজে ফিরেছে আফগান পুলিশ। তালেবানদের সঙ্গে কাজ করছেন তারা।
গত মাসে পদত্যাগ করে চলে যাওয়া অনেকের কাছে তালেবান কমান্ডারের ফোনকল পৌঁছার পর কাজে ফিরেছেন তারা। আফগান পুলিশের দুই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) তালেবান কমান্ডারদের কাছ থেকে টেলিফোন পাওয়ার পর তারা কাজে যোগ দিয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পুলিশ অফিসার বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, দুই সপ্তাহ পর তিনি আবার কাজে ফিরলেন। তিনি বলেন, দেশের সেবায় আবার ফিরতে পেরে তিনি খুবই খুশি। অন্য একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘গতকাল (শনিবার) ছিল দুর্দান্ত, আবার কাজে ফিরতে পেরে দারুণ লাগছে।’
গত সপ্তাহে তালেবান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করে। এর আগে গতকাল শনিবার আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে নিজেদের পতাকা উত্তোলন করে তালেবান। এর মাধ্যমে আফগানিস্তানে তাদের শাসন শুরু হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ফাইল ছবি
ইসরাইলের সেনা গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক পরিচালক মেজর জেনারেল আমোস ইয়াদলিন বলেছেন, সামরিক হামলা চালিয়ে ইরানের পরমাণু স্থাপনা ধ্বংস করা অত্যন্ত কঠিন কাজ।
তিনি মার্কিন একটি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন। এতে তিনি আরও বলেন, ইসরাইল যেভাবে ১৯৮১ সালে ইরাকের এবং ২০০৭ সালে সিরিয়ার পরমাণু স্থাপনা মাত্র একবার হামলা চালিয়ে ধ্বংস করেছিল, ইরানের পরমাণু স্থাপনা সেভাবে ধ্বংস করা যাবেনা। খবর সিএনবিসির।
ইসরাইলের এই সাবেক জেনারেল ও তেলআবিব ন্যাশনাল সিকিউরিটি স্টাডিজ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ইরানের পরমাণু কর্মসূচির সঙ্গে ইরাক ও সিরিয়ার পরমাণু কর্মসূচির পার্থক্যসমূহ তুলে ধরেন।
তিনি আরও বলেন, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি অনেক বেশি সমৃদ্ধশালী ও বিভিন্ন স্থানে ছড়ানো-ছিটানো কিন্তু ইরাক ও সিরিয়ার পরমাণু কর্মসূচি নির্দিষ্ট স্থানে সীমাবদ্ধ।
ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলো বহু স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং এগুলোর বেশিরভাগ পাহাড়ের নিচে ভূগর্ভে স্থাপন করা হয়েছে। ইসরাইলের বা পশ্চিমা দেশগুলোর পক্ষে ইরানের পরমাণু কর্মসূচির সার্বিক চিত্র সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা লাভ করতে পেরেছে কিনা তা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেন।
জেনারেল ইয়াদলিন বলেন, ইসরাইল আকস্মিক হামলা চালিয়ে ১৯৮১ সালে ইরাকের সাদ্দাম সরকারকে এবং ২০০৭ সালে সিরিয়ার বাশার আসাদ সরকারকে হতভম্ভ করে দিয়েছিল। কিন্তু ইরানের ক্ষেত্রে অনুরূপ ঘটনা ঘটানো সম্ভব নয়। কারণ ইরান গত ২০ বছর যাবত এ রকম হামলা মোকাবিলায় নিজেদের সক্ষম করে তুলেছে।
ইসরাইল বহুবার ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলো বোমা মেরে ধ্বংস করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল। ইরানের ভূগর্ভস্থ পরমাণু স্থাপনাগুলো কীভাবে বাঙ্কার ব্লাস্টার বোমা দিয়ে ধ্বংস করা যায় সে সংক্রান্ত বহু বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদন পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলোতে প্রকাশ করা হয়েছিল।
ফাইল ছবি: ডোনাল্ড ট্রাম্প
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সাময়িকভাবে প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকারের দায়িত্ব নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম বৃহস্পতিবার এ কথা জানায়। এই সপ্তাহে নিজ দলের অতি-ডান সদস্যরা রিপাবলিকান কেভিন ম্যাককার্থির বিরুদ্ধে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের অভিযোগ আনে এবং ডেমোক্র্যাটদের সাথে তার সহযোগিতায় ক্ষুব্ধ হয়ে একটি নৃশংস, ঐতিহাসিক বিদ্রোহের মাধ্যমে স্পিকার পদ থেকে অপসারিত করা হয়। খবর এএফপি’র।
ট্রাম্প ফক্স নিউজকে বলেন, ‘আমাকে সমন্বয়কারী হিসেবে কথা বলতে বলা হয়েছে কারণ কংগ্রেসে আমার অনেক বন্ধু রয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘তারা আমাকে জিজ্ঞাসা করেছে যে যদি তারা ভোট না পায়, সেক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদী কাউকে না পাওয়া পর্যন্ত আমি স্পিকার থাকার কথা বিবেচনা করব কিনা, কারণ আমি প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি।’
তবে সাবেক রিপাবলিকান কংগ্রেসওম্যান বারবারা কমস্টক সিএনএনকে বলেন, ট্রাম্প এই ভূমিকার জন্য যোগ্য হবেন না কারণ তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। কমস্টক বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত তিনি হাউসের নিয়মাবলী জানেন না। নিয়মানুযায়ী অভিযুক্ত ব্যক্তি হাউসের নেতৃত্বে থাকতে পারবেন না।’
২০২৪ সালের রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট মনোনয়নের জন্য অগ্রগামী ট্রাম্প, ২০২০ সালের নভেম্বরে বিজয়ী ডেমোক্র্যাট জো বাইডেনের নির্বাচনের ফলাফলকে নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে আগামী মার্চে ওয়াশিংটনে বিচারের মুখোমুখি হতে চলেছেন।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অন্যান্য ফৌজদারি মামলাগুলোর মধ্যে রয়েছে জর্জিয়ায় দক্ষিণ রাজ্যে নির্বাচনী ফলাফলগুলোকে বানচাল করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এবং ফ্লোরিডায় গোপন সরকারী নথিগুলোকে অব্যবস্থাপনার অভিযোগে ২০২৪ সালের মে মাসে ট্রায়ালের মুখোমুখি হবেন।
ট্রাম্প ও তার দুই ছেলেও বর্তমানে নিউইয়র্কে তাদের রিয়েল এস্টেট সম্পদের মূল্য বৃদ্ধির জন্য আরও অনুকূল ব্যাংক ঋণ ও বীমা শর্তাবলী পাওয়ার জন্য একটি নাগরিক জালিয়াতির বিচারের মুখোমুখি হচ্ছেন। সূত্র: ইত্তেফাক