a
ফাইল ছবি
পারমাণবিক সংকট এড়াতেই একটি চুক্তিতে পৌঁছেছেন জাতিসংঘের সংস্থা আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) প্রধান এবং ইরানের পারমাণবিক প্রধান।
আশা করা হচ্ছে ২০১৫ সালে পি ফাইভ প্লাস ওয়ানের সঙ্গে ইরানের করা পারমাণবিক চুক্তির পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে এই চুক্তি সহায়তা করবে।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে করা পারমাণবিক চুক্তি থেকে সরে গিয়েছিলেন। কিন্তু বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আবার সেই চুক্তিতে ফেরার উদ্যোগ নিয়েছেন।
আইএইএ এর মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রোসি শনিবার তেহরানে পৌঁছান। স্থানীয় সময় রবিবার( ১২ সেপ্টেম্বর) সকালে তিনি ইরানের আণবিক শক্তি সংগঠনের প্রধান মোহাম্মদ ইসলামির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে ইসলামি বলেন, ‘বিশ্বাস স্থাপনে আমাদের কাছে যে বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ আইএইএও সেই বিষয়গুলোর উপর গুরুত্ব আরোপ করেছে।’
আইএইএ এবং ইরান দুই পক্ষই এই আলোচনাকে ‘গঠনমূলক’ বলে উল্লেখ করেছেন। উভয় পক্ষই এই আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য সম্মত হয়েছে। চলতি মাসের শেষের দিকে ভিয়েনায় আইএইএ এর সাধারণ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে ইরানের সঙ্গে সাইডলাইন বৈঠক করবে আইএইএ। সূত্র: ইত্তেফাক
এক ইসরায়েলি সাবেক সেনা কমান্ডার দাবি করেছেন, হামাসের বিপক্ষে এরইমধ্যে ইসরায়েল হেরে গেছে। আইজ্যাক ব্রিক নামের ওই ইসরাইলি মেজর জেনারেল হিব্রু সংবাদমাধ্যম মারিভে একটি কলাম লিখেছেন। সেখানে তিনি ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের উদ্দেশ্যে বলেছেন, ‘আপনি দীর্ঘ সময় ধরে অসংখ্য সাধারণ মানুষের সাথে মিথ্যাচার করতে পারেন না।’
ওই জেনারেল লিখেছেন, ‘গাজায় এবং হিজবুল্লাহর বিপক্ষে কী ঘটছে, তা অচিরেই কিংবা কিছুটা পরে আমাদের মুখে চুনকালি মেখে দেবেই। এটা হবে ইসরায়েলি সেনা বাহিনীর সবচেয়ে কলঙ্কজনক অধ্যায়। আমরা এরই মধ্যে হামাসের সাথে হেরে গেছি। আমরা এই যুদ্ধ যুদ্ধ খেলায় আমাদের বিশ্ব মিত্রদেরও হারিয়ে দিয়েছি।’
আইজ্যক আরো বলেছেন, ইসরাইলি বাহিনী আঞ্চলিক যুদ্ধের জন্য কোনো রকম প্রস্তুতই ছিলো না। সামনে তাদের জন্য আরো হাাজারো কঠিন পরিস্থিতি আসন্ন। আর তা হবে গাজা যুদ্ধের চেয়েও ভয়ংকর। এই সাবেক সেনা কর্মকর্তা আরো বলেছেন, ‘যদি আমরা হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের জীবিত ফিরিয়ে আনতে না পারি, তবে এটা জনগণের কাছে ইসরায়েলের বড় পরাজয় হিসেবেই গণ্য হবে।’ তার মতে ৭ অক্টোবরের পর থেকেই পদে পদে ব্যর্থ হয়েছে ইসরাইলের সামরিক বাহিনী। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি
রাজধানীর অন্তত ১৯টি থানা কোভিড-১৯ সংক্রমণের ক্ষেত্রে উচ্চ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এসব থানায় শনাক্তের হার ৩০ শতাংশের উপরে। এরমধ্যে রূপনগর ও আদাবরে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমের (আইএসএস) করোনা ভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার তথ্য বিশ্লেষণ করে শনিবার গণমাধ্যমকে বিষয়টি জানিয়েছে আইইডিসিআর।
আইইডিসিআর বলছে, উত্তর সিটি করপোরেশনের রূপনগর থানা এলাকায় শনাক্তের হার ৪৬ শতাংশ এবং আদাবর থানা এলাকায় শনাক্তের হার ৪৪ শতাংশ। তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় সংক্রমণের হার উত্তরের চেয়ে বেশি।
সারাদেশে সংক্রমণের গড় হার ১৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ হলেও রাজধানীর অন্তত ১৭টি স্থানে সংক্রমণের হার ৩০ শতাংশেরও বেশি পাওয়া গিয়েছে। রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আরও ২৩টি এলাকায় সংক্রমণের হার ২০ শতাংশেরও বেশি।
ঢাকার ১৭টি থানায় শনাক্তের হার ৩০ শতাংশের ওপরে। ২৩টি থানা এলাকায় ২০ শতাংশের ওপরে। ৭টি থানা এলাকায় সংক্রমণের হার ১১ শতাংশের বেশি।
করোনায় উচ্চ ঝুঁকিতে রাজধানীর নিম্নের থানাগুলোতে:
সারাদেশের শনাক্তের হারের সঙ্গে তুলনা করলে ঢাকায় শনাক্তের হার অনেক বেশি। রূপনগর ও আদাবর ছাড়া যেখানে সংক্রমণের হার ৩০ শতাংশের বেশি, সেই থানাগুলো হল- শাহ আলী, রামপুরা, তুরাগ, মিরপুর, কলাবাগান, তেজগাঁও, মোহাম্মদপুর, মুগদা, গেণ্ডারিয়া, ধানমণ্ডি, হাজারীবাগ, নিউমার্কেট, চকবাজার, সবুজবাগ, মতিঝিল, দারুসসালাম ও খিলগাঁও।
সংক্রমণের হার ২১ থেকে ৩০ শতাংশের মধ্যে আছে এমন থানাগুলো হচ্ছে- শাহবাগ, বংশাল, লালবাগ, শাহজাহানপুর, রমনা, কামরাঙ্গীরচর, শ্যামপুর, বাড্ডা, বনানী, উত্তরখান, শেরে বাংলা নগর, সূত্রাপুর, যাত্রাবাড়ী, পল্লবী, কাফরুল, ডেমরা, ওয়ারী, ভাটারা, দক্ষিণখান, খিলক্ষেত, কদমতলী, উত্তরা পূর্ব ও পল্টন থানা এলাকা।
শনাক্তের হার ১১ থেকে ২০ শতাংশের মধ্যে পাওয়া গেছে তেজগাঁও, উত্তরা পশ্চিম, ভাষানটেক, গুলশান, ক্যান্টনমেন্ট, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এবং বিমানবন্দর থানা এলাকা।