a
ফাইল ছবি
গাজার উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর একটি বাসে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। সংবাদ মাধ্যম হারেৎজ সূত্রে এ খবর নিশ্চিত করেছে।
তবে হামলার বিষয়টি স্বীকার করে ইসরাইল প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বলছে, বাসে ট্যাংক বিধ্বংসী গোলা দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। এতে এক সেনা সদস্য সামান্য আহত হয়েছে। ওই বাসটিতে সেনা বাহিনীর কোন সদস্য ছিল না।
সেনা সূত্র জানিয়েছে, বাসটির ওপর গোলা নিক্ষেপের সময় একজন সেনা সদস্য বাসটির কাছে দাঁড়িয়ে ছিল। বিস্ফোরণের পর একটি অংশ এসে ওই সেনার শরীরে লাগে। এতেই তিনি কিছুটা আহত হন।
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরাইলের বর্বরতা এখনও চলছে । ইসরাইলি আগ্রাসনে গেল ১১ দিনে মৃত্যু সংখ্যা বৃদ্ধি হয়ে দাঁড়িয়েছে ২৩০ জনে, এরমধ্যে ৬৩ জনই শিশু। গাজায় এখন পর্যন্ত ৫২ হাজারের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। মাটির সাথে মিশে গেছে প্রায় ৮শর বেশি ঘরবাড়ি। অপরদিকে হামাসের হামলায় এ পর্যন্ত ইসরাইলের ১২ জন নিহত হয়েছেন।
এদিকে ফিলিস্তিনিদের জন্য মানবিক সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের প্রধান অ্যান্তনিও গুতেরেস। আন্তর্জাতিক সংগঠন সেভ দ্য চিলড্রেনের মতে, গাজার ৫০টি স্কুল ধ্বংস করেছে ইসরাইলি বাহিনী। এতে প্রায় ৪২ হাজার শিক্ষার্থীর স্কুলজীবন হুমকির মুখে পড়েছে।
জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ওআইসিসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং বিশ্ব নেতাদের যুদ্ধবিরতির আহ্বান কানে তুলছে না ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
এদিকে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ফিলিস্তিনিদের সাহায্য করার ঘোষণা দিয়েছন প্রধানমন্ত্রী। তরুন প্রজন্মের নেতা ফারাজ করিম চৌধুরির প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ থেকে প্রায় অর্ধকোটি টাকার ঔষধ পাঠানো হচ্ছে ফিলিস্তিনিদের জন্য।
ফাইল ছবি
ইরান এবার চুক্তি ভেঙে আণবিক বোমা তৈরির পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল। আজ শনিবার আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ বাড়িয়ে তেজস্ক্রিয় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার কাজ শুরু করেছে দেশটি।
জানা গেছে, নাতাঞ্জ পারমাণবিক কেন্দ্রে ‘164 IR-6 centrifuge’-এর বাক্সগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে বিজ্ঞানীদের হাতে তুলে দিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। এই পদার্থ ও ইউরেনিয়ামের সংযোগে বিদ্যুৎ তৈরি করা যাবে, পাশাপাশি আণবিক হাতিয়ারও বানানো যাবে।
এদিকে, ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার কাজ শুরু করায় তেহরানের উদ্দেশ্য নিয়ে রীতিমতো বিপদের আশঙ্কা প্রকাশ করছে গোটা বিশ্ব। ইসলামিক দেশটি আণবিক অস্ত্রের কাতারে দাঁড়ালে মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ বদলে যাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ফাইল ছবি
সম্প্রতি আমেরিকার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ চীনের মধ্যস্থতায় সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছে। এর অধীনে দেশ দুইটি আগামী দুই মাসের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে সম্মত হয়। এ নিয়ে বিশ্ব জুড়ে শুরু হয় আলোচনা। এবার সৌদি আরবের অর্থমন্ত্রী জানালেন, শিগিগরই ইরানে বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে তার দেশ।
সৌদির অর্থমন্ত্রী মোহাম্মাদ আল-জ্যাদান বলেন, ইরানে বিনিয়োগ করার জন্য ব্যাপক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে সৌদির। এক্ষেত্রে চুক্তির মেয়াদ কোনো বাধা হতে পারবে না বলে জানান।
আল-জ্যাদান বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও দেশের জনগণের জন্য স্থিতিশীলতা প্রয়োজন। ইরানে সৌদি আরবের সুবিধার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সৌদি আরবও দেশটিকে সুবিধা দেবে। প্রায় সাত বছর বন্ধ থাকার পর কয়েক দিন আগে আবারও কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে সম্মত হয়েছে সৌদি আরব ও ইরান।
চীনের মধ্যস্থতায় অতি গোপনে কয়েক দিনের আলোচনার পর অবশেষে দূতাবাস ফের চালু করতে রাজি হয়েছে দুই দেশ। সৌদি ও ইরানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে আমেরিকা ও ইসরাইল দুটি দেশের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিগত দিনে দুটি দেশের মধ্যে বৈরি সম্পর্কের পেছনে আমেরিকা-ইসরায়েলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল বলেই বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।
পশ্চিমা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে একে অপরের সাথে যুদ্ধ লাগিয়ে প্রাকৃতিক সম্পদ পাচার করছিল। ইরান-সৌদির নতুন সম্পর্ক এসব দেশগুলোর অনৈতিক স্বার্থ হাসিল অনেকাংশে কমে আসবে। মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিমপ্রধান ও তেলসমৃদ্ধ দুই দেশের এই পুনর্মিলন বিশ্ব ব্যবস্থায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে তা বলাই বাহুল্য। সূত্র: ইত্তেফাক