a
ফাইল ছবি
ইসরাইলি প্রতিষ্ঠান এনএসও গ্রুপের তৈরি করা স্পাইওয়্যার পেগাসাসের কেলেঙ্কারি ঠেকাতে ‘টাস্ক ফোর্স’ গঠন করেছে দেশটি।
বিশ্বজুড়ে মানবাধিকারকর্মী, সাংবাদিক, আইনজীবী, রাজনীতিকদের ফোনে নজরদারি চালানোর ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর তা সামাল দিতে এ পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছে ইসরায়েল। খবর রয়টার্সের।
ইসরাইলের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের বরাত দিয়ে বুধবার রয়টার্স জানায়, দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, বিচার মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সামরিক গোয়েন্দা বিভাগ ও জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে এই টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে।
ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ানসহ ১৬টি সংবাদপত্রের অনুসন্ধানের মধ্য দিয়ে পেগাসাস কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে এসেছে। বলা হচ্ছে, এনএসও গ্রুপ থেকে এই স্পাইওয়্যার কিনে নিজের দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ওপর নজরদারি চালিয়ে আসছে ‘কর্তৃত্ববাদী’ সরকারগুলো।
ইসরাইলের সংবাদ মাধ্যমগুলো মঙ্গলবার রাতে জানায়, এই টাস্ক ফোর্স খাতিয়ে দেখবে স্পর্শকাতর সাইবার সরঞ্জামাদি বিক্রির ক্ষেত্রে কোনো ধরনের ‘নীতি পরিবর্তন’ দরকার আছে কিনা।
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘কর্তৃত্ববাদী’ সরকারগুলোর কাছে পেগাসাস স্পাইওয়্যার বিক্রির খবর ফাঁসের পর ইসরাইলের ওপর কূটনৈতিক চাপ বেড়েছে।
তাছাড়া এনএসওর গ্রাহকদের সংগ্রহ করা তথ্যে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থার প্রবেশাধিকার আছে কি না, সে প্রশ্নও উঠেছে, যদিও ইসরাইল এবং এই নজরদারি প্রতিষ্ঠান উভয়ই এ ধরনের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গানৎজ বলেন, এনএসওর পেগাসাস প্রকল্পের কথা জানাজানি হওয়ার পর তাদের সরকার বিষয়টি ‘খতিয়ে’ দেখছে।
আমরা সাইবার পণ্য রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছি শুধু বিভিন্ন দেশের সরকারের কাছে বিক্রি করতে এবং শুধু আইনসম্মতভাবে তা ব্যবহারের জন্য।
পেগাসাস স্পাইওয়্যার কোথাও বিক্রির ক্ষেত্রে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তথা সরকারের অনুমোদন নিতে হয়।
অপরাধীদের ওপর নজরদারি চালাতে তা শুধু সরকারি কোনো সংস্থার কাছেই বিক্রি করা হয়। আর তার আগে সংশ্লিষ্ট দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে ইসরাইল সরকার।
ফাইল ছবি: বিলাওয়াল ও নওয়াজ
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী অনেক আগে থেকেই হতে চান পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) চেয়ারপারসন ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো। এবার হয়তো সেই স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে। আড়াই বছর করে প্রধানমন্ত্রীর পদে থাকবেন নওয়াজ শরিফ ও বিলাওয়াল ভুট্টো, এমন শর্তে পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) সঙ্গে জোট সরকার গঠনে রাজি হয়েছে পিপিপি। জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদে জোট সরকার গঠনের চেষ্টায় রোববার দুই দলের মধ্যে প্রথম আনুষ্ঠানিক বৈঠক হয়। ওই বৈঠকেই প্রধানমন্ত্রিত্ব ভাগাভাগির ধারণা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর আগে ২০১৩ সালে বেলুচিস্তানে পিএমএল-এন এবং ন্যাশনাল পার্টি (এনপি) একই পদ্ধতিতে ক্ষমতা ভাগাভাগি করেছিল। সেসময় দুই দলের দুই মুখ্যমন্ত্রী পাঁচ বছরের মেয়াদ ভাগাভাগি করে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। লাহোরের বিলাওয়াল হাউসে রোববারের বৈঠকে পিপিপি-পিএমএলএন উভয় পক্ষই সাধারণ নির্বাচনের পর দেশটির রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য সহযোগিতা করতে নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে। বৈঠকে পিপিপি-পার্লামেন্টারিয়ান প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি, পিপিপি চেয়ারপারসন বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি এবং পিএমএল-এন থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফসহ বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা উপস্থিত ছিলেন। ভেতরের খবর বলছে, বৈঠকে পিএমএল-এন আনুষ্ঠানিকভাবে পিপিপি’কে জোট সরকারে অংশীদার হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। এ সময় পিপিপি’কে স্বতন্ত্র বিজয়ী প্রার্থী এবং এমকিউএম-পাকিস্তানের সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়েও অবহিত করেছে নওয়াজ শরিফের দল। বৈঠকের শুরুতে পিএমএল-এন নেতারা দাবি করেন, তারাই প্রধানমন্ত্রীর পদ ধরে রাখবেন। অন্যদিকে, সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি দাবি করেন, পিপিপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি (সিইসি) এরই মধ্যে বিলাওয়ালকে প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য মনোনীত করেছে। এরপর দুই দলের নেতারা পাঁচ বছরের মেয়াদ অর্ধেক করে নিজ নিজ দল থেকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের সিদ্ধান্তে একমত হন। সূত্র: যুগান্তর
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সাইফুল আলম, ঢাকা: ফ্যাসিবাদ উৎখাত আন্দোলন চট্টগ্রাম উত্তর-দক্ষিণ মহানগর আয়োজিত ইফতার পূর্ব আলোচনা সভায় মোহাম্মদ শাহজাহান চৌধুরী বলেন, জুলাই-আগস্টের গণহত্যাকারীদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের আমীর মোহাম্মদ শাহজাহান চৌধুরী বলেন, গত ১৬ বছর ধরে দেশের অর্থনীতি, ভোটাধিকার, গণতন্ত্র, মানবাধিকার, আইনের সু-শাসন, গণতান্ত্রিক ইনস্টিটিউট কাঠামোগুলো শেখ হাসিনা সরকার ধ্বংস করে দিয়েছে। খুনী হাসিনা পালিয়ে গেলেও দেশে এখনো স্বৈরাচারের দোসর, ফ্যাসিবাদীরা রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় উৎ পেতে আছে। যতদিন পর্যন্ত শেখ হাসিনা সরকারের ফ্যাসিবাদী, জুলাই-আগস্টের গণহত্যাকারীদের বিচার না হবে, ততদিন পর্যন্ত আমাদের এই ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন দেশের মাটিতে অব্যাহত থাকবে। তিনি গত ২২ মার্চ বিকাল ৩টায় নগরীর হাফিজ পার্কে ফ্যাসিবাদ উৎখাত আন্দোলন চট্টগ্রাম উত্তর-দক্ষিণ মহানগর আয়োজিত ইফতার পূর্ব আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে উপরোক্ত মন্তব্য করেন।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ফ্যাসিবাদ উৎখাত আন্দোলন কেন্দ্রীয় প্রধান সমন্বয়ক এম. হাশেম রাজুর সভাপতিত্বে ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক, ফ্যাসিবাদ উৎখাত আন্দোলন কেন্দ্রীয় যুগ্ম সমন্বয়ক, ২৪-এর আন্দোলনে চোখ হারানো যোদ্ধা সাইফুদ্দিন মোহাম্মদ এমদাদ বাবুর পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ফ্যাসিবাদ উৎখাত আন্দোলন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম সমন্বয়ক প্রফেসর ড. ইসমাইল হোসেন।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি, সাবেক কাউন্সিলর মো. নাজিম উদ্দিন চৌধুরী, কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনার ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা লায়ন মো. মুজিবুর রহমান, নাগরিক ঐক্য চট্টগ্রাম মহানগরীর আহ্বায়ক মো. রফিকুল ইসলাম, জাতীয় নাগরিক পার্টি এন.সি.পি-র কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব শাগুপ্তা বোসরা মিসমা, হেফাজত নেতা শওকত নুর, ফ্যাসিবাদ উৎখাত আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগর শাখার যুগ্ম সমন্বয়ক মো. এহেসানুল হক, মো. জাহেদ তালুকদার, মো. রাশেদ, মো. ওসমান সরোয়ার খান, মো. মিজানুর রহমান, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার যুগ্ম সমন্বয়ক এড. মো. জসিম উদ্দিন, ফ্যাসিবাদ উৎখাত ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রামের সমন্বয়ক মো. ফয়সাল উদ্দিন সালমান, উত্তর জেলার যুগ্ম সমন্বয়ক ইঞ্জিনিয়ার মো. নেওয়াজ উদ্দিন শাহীন, কক্সবাজার জেলার যুগ্ম সমন্বয়ক সেলিম কায়ছার, মো. ইসমাইল প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে ফ্যাসিবাদ উৎখাত আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক এম এ হাশেম রাজু বলেন, আওয়ামী খুনী ফ্যাসিবাদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত পুনর্বাসনের আওয়াজ গণতন্ত্রকামী ছাত্রজনতা গ্রহণ করবে না। বাংলাদেশের মানচিত্রে হাজার হাজার মায়ের সন্তানের রক্তের দাগ এখনো শুকায়নি, এর মধ্যেই সেনাবাহিনী প্রধান আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের বাংলাদেশে ফিরিয়ে এনে পুর্নবানের পায়তারায় করছেন। তা কোনভাবে এদেশের জনগণ মেনে নিবে না। আমরা ফ্যাসিবাদ উৎখাত আন্দোলনের পক্ষ থেকে ফ্যাসিস্ট খুনী সরকারের মন্ত্রী এমপিদের বিরুদ্ধে ৬৪টি জেলায় মামলা করবো।