a
ফাইল ছবি
ইউক্রেনে ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোমের প্রয়োজন নেই। কারণ রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্রের মুখে টিকতে পারবে না এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেকসি রেজনিকভ গত শনিবার ফোর্বস শীর্ষ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই আয়রন ডোম ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার নাম জানি কিন্তু এটি ১০০% সুরক্ষা দিতে সক্ষম নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে কি আমি ইসরায়েলে গিয়েছিলাম এবং তাদের অস্ত্র নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ও রাষ্ট্রীয় কোম্পানির সাথে কথা বলেছি। আয়রন ডোম তৈরি করা হয়েছে ধীর, কম উচ্চতার এবং কম ক্ষমতাসম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ করার জন্য এবং এটি মূলত গ্যারেজে তৈরি হয়েছে। আয়রন ডোম ক্রুজ এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের বিরুদ্ধে কার্যকর নয়।’
গত বছরের মে মাসে ইহুদিবাদী ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজার প্রতিরোধ যোদ্ধারা কয়েক হাজার ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়ে কিন্তু ইসরাইলের আয়রন ডোম ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা সে সমস্ত ক্ষেপণাস্ত্রের বেশিরভাগই ভূপাতিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। অথচ ইসরায়েল এসব ব্যবস্থা নিয়ে ব্যাপক গর্ব করে থাকে। সূত্র : জেরুজালেম পোস্ট
ফাইল ছবি
দিমোনা পরমাণু স্থাপনার কাছে সিরিয়ার একটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার পর দখলদার ইসরায়েল জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। দিমোনা পরমাণু কেন্দ্রে ক্ষেপণাস্ত্রটি আঘাত হানলে পরিণতি কী হতো তা নিয়ে আজ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ইসরায়েলি দৈনিক জেরুজালেম পোস্ট।
সেখানে বলা হয়েছে, গত রাতের ক্ষেপণাস্ত্রটির আঘাতের স্থানটি যদি দিমোনা পরমাণু স্থাপনা হতো, তাহলো আজকের ইসরায়েলের জনজীবন এই অবস্থায় থাকত না। একটা ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতই ইসরাইলের জন্য এক মহাবিপদের কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট বলে মন্তব্য করা হয়েছে।
পত্রিকাটিতে আরো লেখা হয়েছে যে, দিমোনা পারমাণবিক কেন্দ্রের কাছের এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র আঘাতের ঘটনা সব বিপদকে একসঙ্গে স্মরণ করে দিয়েছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর একজন মুখপাত্র বলেছেন, আজ (বৃহস্পতিবার) ভোরের দিকে ক্ষেপণাস্ত্রটি ইসরায়েলে আঘাত হানে। ওই মুখপাত্র জানান, সিরিয়ার দীর্ঘপাল্লার এসএ-৫ ক্ষেপণাস্ত্র ছিল এটি এবং রাশিয়ার এস-২০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে তা ছোঁড়া হয়।
দিমোনা পরমাণু স্থাপনার কাছে সিরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার পর ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কার্যকারিতা নিয়েও নতুন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। কারণ এবার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করে সিরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রটি সঠিক নিশানা আঘাত করতে সক্ষম হয়। সূত্র: পার্সটুডে
ফাইল ফটো
মিয়ানমারে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখল করার পর থেকেই আত্মগোপনে গেছেন দেশটির নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা। এবার আত্মগোপনে থেকে তারা দেশটির বৈধ সরকার হিসেবে ঘোষণা করেছে। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি রবিবার (১৪ মার্চ) এ তথ্য নিশ্চিত করে, অজ্ঞাতস্থানে লুকিয়ে থাকা এসব রাজনীতিবিদরা ঘোষণা করেন, সামরিক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তারা সংগ্রাম চালিয়ে যাবে।
প্রবাসী সরকারের ন্যায় কমিটি ফর রিপ্রেজেন্টিং পাইডুংসু হলত্তু (সিআরপিএইচ) নামে গঠন করা হয়েছে এই গোপন সরকার। এর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মাহন উইন খিয়াং থান। ফেসবুক বার্তায় সে জানায়, ‘এটা এমন একটা সময় যখন অন্ধকারের বিরুদ্ধে আমাদের নাগরিকদের লড়াই করার ক্ষমতার পরীক্ষা হচ্ছে। অতীতে আমাদের মধ্যে বিভেদ থাকলেও এখন অবশ্যই আমাদের হাতে হাত ধরে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে।’
সিআরপিএইচকে একটি অবৈধ গ্রুপ বলে জানিয়েছে জান্তা সরকার। তারা সতর্ক করেছে, এই কমিটিকে যারা সহায়তা করবে, তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হবে। মিয়ানমারে গত নভেম্বরের নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে বলে সামরিক বাহিনী দাবি করলেও তা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। পর্যবেক্ষকগণ জানান, ওই নির্বাচনে কোন কারচুপি হয়নি।
গত সপ্তাহেই অং সান সু চির বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ছয় লাখ ডলার আর ১১ কেজি স্বর্ণ গ্রহণের অভিযোগ আনলেও এর পক্ষে কোন প্রমাণ হাজির করা হয়নি। এই অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে এনএলডি আইন প্রণেতারা। এদিকে মিয়ানমারে সেনাশাসনবিরোধী বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে অন্তত আরও ১২ জন নিহত হওয়ায় নিহতের সংখ্যা ৯০ ছাড়িয়েছে