a
সংগৃহীত ছবি
পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের সামরিক বিমানবন্দরগুলো হামাসের ক্ষেপণাস্ত্রের আওতায় এসেছে। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ইসরায়েলের বিমান বাহিনীর প্রধান জেনারেল আমিকাম নুরকিন। সম্প্রতি স্থানীয় এক গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এমন উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
জেনারেল আমিকাম নুরকিন জানান, মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে ইসরায়েলের সামরিক বিমানবন্দরগুলো। কারণ এ বিমানবন্দরগুলো হামাসের ক্ষেপণাস্ত্রের আওতার মধ্যেই রয়েছে।
বিমান বাহিনী প্রধান আরও জানান, হামাসের ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর যে পাল্লা রয়েছে তাতে খুব সহজেই সেগুলো ইসরায়েলের সামরিক বিমানবন্দরগুলোতে পৌঁছাতে সক্ষম। ফলে অনেক ঝুঁকিতে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ এই বিমানবন্দরগুলো।
সাক্ষাৎকারে গাজা যুদ্ধে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগ্রামীদের সুসংহত অবস্থানের কথাও স্বীকার করেছেন তিনি।
গত মাসে গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ শুরু হলে বর্বর ইসরায়েলি বাহিনী সেখানকার বেসামরিক ভবন ও ঘরবাড়িতে ব্যাপক বিমান হামলা চালায়। এ সময় ফিলিস্তিনিদের পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় শেষ পর্যন্ত আমেরিকা ও মিশরের সহযোগিতায় যুদ্ধবিরতিতে আসতে বাধ্য হয় ইসরায়েল। তবে ইসরায়েলি আগ্রাসনে নারী-শিশুসহ দুই শতাধিক ফিলিস্তিনির মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। অপরপক্ষে, ১২ জন ইসরায়েলের মৃত্যু ও আহত হয় অনেকে এবং ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হলেও ইসরায়েল সরাসরি তা প্রকাশ করেনি।
ফাইল ছবি
যুদ্ধবিধ্বস্ত দোনেৎস্কের বাখমুত শহর থেকে দ্রুত পিছু হটার ইঙ্গিত দিয়েছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। কয়েক মাস ধরে বাখমুতে রাশিয়া ও ইউক্রেনীয় সেনাদের মধ্যে তীব্র লড়াই চললেও গত দুই সপ্তাহে রুশ বাহিনীর হামলার তীব্রতা এতটাই বেড়েছে যে, সেখান থেকে কৌশলগত কারণে পিছু হটতে বাধ্য হচ্ছে ইউক্রেনের সেনারা।
বুধবার প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপদেষ্টা আলেক্সান্ডার রোদনেয়ানস্কি যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন। খবর এবিসির। তিনি বলেন, যদি প্রয়োজন হয় তা হলে ইউক্রেনীয় সেনারা সেখান থেকে সরে যাবেন।
জেলেনস্কির অর্থনীতিবিষয়ক এ উপদেষ্টা বলেন, আমাদের সেনাবাহিনী অবশ্যই সব বিকল্প বিবেচনা করবে। তারা এখন পর্যন্ত শহরের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখলেও, প্রয়োজনে কৌশলগত কারণে তারা সরে যাবে। আমরা কোনো কারণ ছাড়া আমাদের সব সেনাকে বলি দিতে পারব না।
বাখমুত শহরটি দোনেৎস্কে অবস্থিত। গত বছর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের যে চারটি অঞ্চল অধিগ্রহণ করেন, এর মধ্যে দোনেৎস্ক একটি। বর্তমানে দোনেৎস্কের অর্ধেক অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে রুশ সেনাদের হাতে। পুরো নিয়ন্ত্রণ নিতে হলে তাদের অবশ্যই বাখমুত দখল করতে হবে। এরফলে দোনেৎস্কের অন্য শহরগুলোর দখলও নেয়া সহজ হবে। সূত্র:যুগান্তর
ফাইল ছবি
লিওনেল মেসি যৌথভাবে আসরের সর্বোচ্চ পাঁচ গোল করেছেন। যৌথভাবে সর্বোচ্চ তিন গোলে সহায়তা দিয়েছেন। একমাত্র ফুটবলার হিসেবে একই আসরে সর্বোচ্চ গোল ও সর্বোচ্চ অ্যাসিস্ট দেওয়ার রেকর্ডের সুযোগ তার। পাঁচটি বিশ্বকাপে খেলার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন, সাতটি ব্যালন ডি’অর জয়ী সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার মেসিকে ‘আন মার্ক’ রাখবেন না ফ্রান্স কোচ দিদিয়ের দেশম।
ডাচ কোচ ফন গাল বলেছিলেন, মেসি হেঁটে বেড়ান। দলটির ডিফেন্ডাররা বলেছিলেন, মেসিকে নিয়ে আলাদা পরিকল্পনা নেই তাদের। ক্রোয়াটদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, শুধু মেসি নয় পুরো আর্জেন্টিনার দলকে রুখে দেবেন তারা। তবে পারেননি। ওই চ্যালেঞ্জ এখন ফ্রান্সের সামনে এসে পড়েছে। খেলোয়াড় ও কোচ হিসেবে বিশ্বকাপ জেতা দেশম তাই বলেছেন, তাদের মেসির জন্য আলাদা প্রস্তুতি থাকবে।
মেসির আর্জেন্টিনার বিপক্ষে কাতার বিশ্বকাপের ফাইনাল নিয়ে দেশম আরও বলেছেন, ‘আমরা এরই মধ্যে তার মুখোমুখি হয়েছি। ২০১৮ সালের কথা নিশ্চয় মনে আছে। আমরা তাকে আটকানোর বিষয়ে ভাববো। অবশ্যই, ম্যাচে তার প্রভাব কমাতে প্রস্তুতি নেওয়া হবে।’
আর্জেন্টিনার এই দলে মেসি প্লে মেকার ভূমিকায় খেলছেন। আগের চেয়ে বেশি স্বাধীনতা, জায়গা নিয়ে খেলার সুযোগ পাচ্ছেন তিনি। সেজন্য তাকে আটকানো কঠিন হবে বলেও মন্তব্য করেছেন ফ্রান্সের এই কোচ, ‘চার বছর আগে ভেবেছিলাম তিনি রাইট উইঙ্গ ধরে বেশি খেলবেন। কিন্তু তিনি সেন্ট্রাল ফরোয়ার্ড (স্ট্রাইকার) পজিশনে খেলেছিলেন। এবার খেলছেন প্লে মেকার হিসেবে, স্বাধীনতা বেশি পাচ্ছেন। সুতরাং, তাকে মার্ক করা কঠিন হবে।’ সূত্র: সমকাল
এর আগে মরক্কোর বিপক্ষে জিতে ফাইনালে ওঠার পর ফ্রান্সের কোচ দেশম বলেছিলেন, মানুষ হিসেবে মেসিকে আটকাতে যা যা করা দরকার তারা করবেন। শুধু মেসি নয় দলটির অন্যদের নিয়ে ভাবতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। ফ্রান্স স্ট্রাইকার জিরুদে বলেছিলেন, মেসিকে উদযাপন করার রাত উপহার দিতে চান না তারা। সেজন্য মাঠে কঠোর পরিশ্রম করবেন।