a
ফাইল ছবি
সম্প্রতি ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলার হুমকি দিয়েছেন ইসরায়েলের বেশ কিছু কর্মকর্তারা। এবার সেই হুমকির দাঁতভাঙা জবাব দেওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করলেন ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মাদ রেজা আশতিয়ানি।
তিনি বলেছেন, ইরান সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সামরিক ক্ষেত্রে যে উন্নতি ও প্রযুক্তিগত উন্নয়ন সাধন করেছে তা জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষা এবং বাইরের যে কোনও আগ্রাসন মোকাবেলার জন্য ব্যবহার করা হবে।
রেজা আশতিয়ানি বলেন, “শত্রুর যেকোনও পাগলামি ও ধৃষ্টতাপূর্ণ পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ইরানি জাতি নিশ্চিতভাবে দাঁতভাঙা জবাব দেবে এবং শত্রুকে চরম মূল্য দিতে হবে।” তিনি আরও বলেন, ইরান শত্রুর বিরুদ্ধে যেকোনও ক্ষেত্রে লড়াই করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ইসরায়েলের উদ্দেশে জেনারেল আশতিয়ানি আরও বলেন, হতাশা থেকেই ইসরায়েলের কর্মকর্তারা ইরানকে অভিযুক্ত এবং বাগাড়ম্বর করছে। তিনি বলেন, সামরিক খাতে ইরান তার উন্নয়ন ও অগ্রগতি অব্যাহত রাখবে।
সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম দিকে ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়ায়ির লাপিদ মস্কো সফরে গিয়ে বলেন- ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে যেকোনও মূল্যে তা ঠেকাতে হবে। অন্যথায় ইসরায়েল একাই ব্যবস্থা নেবে। এর আগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেটও ইরানের ওপর হামলার হুমকি দিয়েছিলেন। সূত্র: প্রেস টিভি
ফাইল ছবি
সৌদি সাংবাদিক এবং মার্কিন বাসিন্দা জামাল খাসোগি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অভিযুক্ত সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে ‘দায়মুক্তি’ দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন।
শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) সংবাদমাধ্যম রয়টার্স ও ওয়াশিংটন পোস্ট পৃথক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।
ওয়াশিংটনের আদালতে জামাল খাগোসি হত্যা নিয়ে চলমান মামলায় অভিযুক্তদের তালিকা থেকে প্রিন্স সালমানের নাম বাদ দেওয়া হবে।
২০১৮ সালের অক্টোবরে ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে হত্যা করা হয় খাসোগিকে। এজেন্টদের দিয়ে এই হত্যা স্বয়ং সৌদি যুবরাজ করিয়েছেন বলে মনে করেন মার্কিন গোয়েন্দারা।
এদিকে, হত্যা থেকে সৌদি যুবরাজকে দায়মুক্তির খবরে জামাল খাসোগির বাগদত্তা হেতিস চেঙ্গিস টুইটারে লিখেছেন, 'আজ জামালের আবারও মৃত্যু হলো!'
তিনি টুইটারে লিখেছেন, 'আমরা ভেবেছিলাম হয়তো যুক্তরাষ্ট্র থেকে ন্যায়বিচারের একটি আলো আসবে, কিন্তু আবারও অর্থেরই জয় হলো। জামাল এই বিশ্বকে জানে না এবং আমি...!'
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের একজন মুখপাত্র লিখিত বিবৃতিতে বলেছেন, আন্তর্জাতিক আইনের দীর্ঘস্থায়ী এবং সুপ্রতিষ্ঠিত নীতির অধীনে স্টেট ডিপার্টমেন্ট এই আইনগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
প্রসঙ্গত, জামাল খাগোসি সৌদি আরবের শাসকগোষ্ঠীর তীব্র সমালোচক ছিলেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টে আরবের শাসকগোষ্ঠী নিয়ে কলাম লিখতেন। সূত্র: ইত্তেফাক
ফাইল ছবি: যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস
ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে তার পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের নীতির প্রতিবাদে তিনি পদত্যাগ করেছেন।
একজন বাংলাদেশী কূটনীতিক দ্য মিরর এশিয়া (টিএমএ) কে জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর ‘বাংলাদেশ নীতি’র প্রতিক্রিয়ায় তিনি পদত্যাগ করেছেন।
গত ৭ জানুয়ারি, বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের আগে পিটার হাস বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে খোলামেলা বক্তব্য দিয়েছিলেন। এই সময় জোরপূর্বক গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্বজনদের সংগঠন ‘মায়ের ডাক’ এর একটি অনুষ্ঠানে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দ্বারা তিনি আক্রান্ত হয়েছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে।
কিন্তু ডিসেম্বরে পরিস্থিতি বদলে যায়। তখন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ নিয়ে তার ‘নীতি’ পরিবর্তন করে। সূত্রের খবর, যুক্তরাষ্ট্র ইন্দো-প্যাসিফিকে তার ঘনিষ্ঠ মিত্র ভারতের বিরক্তির কারণ হতে চায়নি। ফলস্বরূপ, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতন্ত্র সংস্কার নিয়ে তার কর্মকাণ্ডে লাগাম টানে।
শাসক দল আওয়ামী লীগ নির্বাচনে কারচুপি করেছে এমন অভিযোগ উঠলেও বাংলাদেশ কিংবা কোনো ব্যক্তির ওপর যুক্তরাষ্ট্র উল্লেখযোগ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেনি। যুক্তরাষ্ট্রের এই নীতি পরিবর্তনের কারণে কিছু ভারতীয় কূটনীতিকের ঠাট্টা এবং সমালোচনার শিকার হন পিটার ডি হাস।
দ্য মিরর এশিয়ার খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশি নীতি পরিবর্তনের কারণে দেশটির কূটনীতিকদের পদত্যাগের ঘটনা নতুন নয়। উদাহরণস্বরূপ, মার্চ মাসে ইউক্রেন সম্পর্কিত আমেরিকান নীতির প্রতিবাদে রাজনীতি বিষয়ক মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড তার পদ থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে পদত্যাগ করেন। গত এপ্রিলে ইসরায়েলের প্রতি মার্কিন নীতির প্রতিবাদে পদত্যাগ করা পররাষ্ট্র দপ্তরের সাবেক আরব ভাষার মুখপাত্র হালা হারারিট আরেকটি উদাহরণ। কংগ্রেসের শুনানি শেষে শিগগিরই ঢাকায় নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দেওয়া হবে। সূত্র : দ্য মিরর এশিয়া