a
ফাইল ছবি । রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন
ইসলাম ধর্ম এবং রাশিয়ায় বসবাসকারী মুসমানদের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
তিনি বলেছেন, “ইসলাম শান্তির ধর্ম, এ ধর্মের অনুসারীরা ঐতিহ্যগতভাবে সুশৃঙ্খল এবং রাষ্ট্রীয় নিয়ম-নীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। মুসলিমরা খুবই সামাজিক এবং তাদের শিষ্টাচার ও পারিবারিক বন্ধন অটুট।”
পবিত্র ইদুল আজহায় মুসলিম নেতাদের শুভেচ্ছা জানিয়ে ইসলামের শান্তি বাণী প্রচার করায় তাদের ধন্যবাদ জানান। খবর আনাদোলু এজেন্সির।
ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি ৩ কোটি মুসলমান বসবাস করছেন রাশিয়ায়। খ্রিস্টান প্রধান দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্ম বর্তমানে ইসলাম।
অপর এক পৃথক বিবৃতিতে রুশ প্রধানমন্ত্রী মিখাইল মিশুসতিনও মুসলিমদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, রাশিয়ার মুসলমানরা নিজ দেশের মূল্যবোধকে ধারণ করে এবং দেশের অগ্রগতিতে অবদান রাখছে। এ কারণে রাশিয়ায় দিন দিন দ্যূতি ছড়াচ্ছে এবং প্রসার ঘটছে ইসলামের।
ইদুল আজহা উপলক্ষে মস্কোর মেয়র সার্গে সোবিয়ানিনও পৃথক এক বাণীতে মুসলিমদের শুভেচ্ছা জানান।
ফাইল ছবি
ইরানের ভূগর্ভস্থ পারমাণবিক কেন্দ্রে সন্ত্রাসীরা হামলা ঘটিয়েছে বলে সন্দেহ করছে ইরান। দেশটির নাতাজ পারমাণবিক কমপ্লেক্সে এই হামলা করা হয়। ফলে বিদ্যুৎ বিপর্যয় ঘটে বলে জানা যায়। ইরান জানায়, ‘এর জবাব দেওয়ার অধিকার তাদের আছে’। খবর বিবিসি’র
ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংস্থার প্রধান আলি আকবর সালেহি বলেছেন, ‘নাতাজ পরমাণু সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রে হামলার মাধ্যমে ইরানবিরোধীদের অক্ষমতারই প্রকাশ ঘটেছে। এ ঘটনা তারাই ঘটিয়েছে, যারা ইরানের ওপর থেকে পরমাণু চুক্তির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা উঠে যাক, তা চায় না।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ হামলার জবাবে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর এবং আন্তর্জাতিক পরমাণু কমিশনের ভূমিকা দেখতে চায় ইরান।’
রবিবার ভোরের দিকে ইরানের এই পারমাণবিক স্থাপনার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এর আগে গত বছরের জুলাই মাসেও এই স্থাপনায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
রবিবার এ ঘটনার পরে ইরানের পরমাণু কমিশনের মুখপাত্র বেহরুজ কামালাফেন্দি গণমাধ্যমকে জানান, ‘এ ঘটনায় কোনও প্রাণহানি বা পরিবেশ বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটেনি।’
সংগৃহীত ছবি
আমেরিকার সীমান্তে মেক্সিকোর শহর রেনোসায় গালি চালিয়ে গুলি ছুড়তে ছুড়তে রাস্তার ১৮ পথচারীকে হত্যা করে। স্থানীয় সময় শনিবার বিকালে অনেকটা সিনেমার দৃশ্যের মতো ঘটনাটি ঘটে।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের রিপোর্ট অনুযায়ী, এখনো পর্যন্ত ১৮ জন নিহত হয়েছেন। আততায়ী পলাতক। বেশকিছু মানুষ আহত অবস্থায় হাসপাতালে। পুলিশ আততায়ীর খোঁজে চিরুনি অভিযান শুরু করেছে।
স্থানীয় সময় শনিবার বিকালে একটি এসইউভি গাড়ি চড়ে আততায়ী গুলি ছুড়তে ছুড়তে দ্রুত গতিতে পালিয়ে যায়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই রেনোসার একাধিক এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন সাধারণ মানুষ।
পুলিশ গাড়িটিকে ধাওয়া করেও ধরতে পারেনি। তবে সীমান্ত অঞ্চল সিল করে দেওয়া হয়েছে। বর্ডারগার্ড, সেনা ও পুলিশ গোটা এলাকায় চিরুনি অভিযান চালাচ্ছে। এর সঙ্গে ড্রাগ মাফিয়া বা কার্টেলদের সম্পর্ক আছে কি না, তাও খতিয়ে দেখছে স্থানীয় পুলিশ।
অন্য আরেক ঘটনায় আরও এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। তিনিও পুলিশের ওপর আক্রমণ চালিয়েছিল বলে প্রশাসনের দাবি। পুলিশের গুলিতেই তার মৃত্যু হয়েছে।
মেক্সিকো প্রশাসন জানিয়েছে, আততায়ীকে ধরার জন্য সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আশা করি, দ্রুতই তাকে গ্রেফতার করা হবে। তবে কেন, কে এভাবে গুলি ছুড়লো, তা এখনো স্পষ্ট নয়। সূত্র:বিডি প্রতিদিন