a
ফাইল ছবি: পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি আরিফ আলভি
পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি আরিফ আলভি ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী পারভেজ খাত্তাকও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সোমবার এক টুইট বার্তায় করোনা আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন রাষ্ট্রপতি নিজেই।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে তিনি লিখেন, ‘আমি কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়েছি। আল্লাহ সকল আক্রান্তদের প্রতি দয়া বর্ষণ করুক। আমি গেল করোনার টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছি। তবে দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর অ্যান্টিবডি তৈরি শুরু হবে। যেটা আরও এক সপ্তাহ পর নিবো। দয়া করে সবাই সতর্ক থাকুন।’
প্রতিরক্ষামন্ত্রীর করোনা আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিন্ধু প্রদেশের গভর্নর ইমরান ইসমাইল।
চলতি মাসের শুরুতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তার স্ত্রী করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। এবার রাষ্ট্রপতি ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীও আক্রান্ত হলেন।
ফাইল ছবি
মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেন, জবাবদিহির আওতায় না আনা পর্যন্ত র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এবং এর সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানে একটি হোটেলে সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ ও জার্মান থিংক ট্যাঙ্ক ফ্রেডরিখ এবার্ট স্টিফটাং আয়োজিত 'মিট দ্য অ্যাম্বাসেডর' অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
পিটার হাস বলেন, নিষেধাজ্ঞাগুলো শাস্তি দেওয়ার উদ্দেশ্যে নয় বরং আচরণ পরিবর্তন ও তাদের জবাবদিহির আওতায় আনার জন্য। গত বছরের ডিসেম্বরে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। এটা খুব ভালো সংকেত। আমরা আশা করছি, র্যাবের আচরণ পরিবর্তন হবে।
এক প্রশ্নের উত্তরে পিটার হাস বলেন, ইন্দো প্যাসিফিক কৌশল- আইপিএসে বাংলাদেশের যোগ দেওয়া না দেওয়াটা কোনো বিষয় নয়। এটা একটি নীতি। এটা বাংলাদেশ কীভাবে নেয়, সেটাই দেখার বিষয়।
তিনি বলেন, বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ- বিআরআইয়ে যোগ দেওয়াটা বাংলাদেশের নিজস্ব সিদ্ধান্ত। বাংলাদেশ কোন জোটে যোগ দেবে, সেটা তাদের বিষয়।
অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক দলের নেতা, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক ও সাবেক কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন। সূত্র: সমকাল
ফাইল ছবি
বারবার চেষ্টার পরেও আবার ব্যর্থ হলো ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা, ইসরোর মহাকাশ অভিযান। গত বৃহস্পতিবার ভোর ৫টা ৪৩ মিনিটে ভারতের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ন স্পেস সেন্টার থেকে ইওএস-০৩ নামের স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণ করা হয়। এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ব্যর্থ হলো ভারতের স্যাটেলাইট যাত্রা। ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই এমনটি হয়েছে। ইসরোর চেয়ারম্যান কে সিভান জানিয়েছেন, ক্রায়োজেনিক স্তরে ত্রুটি ছিল। যার ফলে উপগ্রহটিকে কক্ষপথে বসানো যায়নি। খুব শীঘ্রই আবারো এ উপগ্রহ পাঠানোর চেষ্টা করা হবে।
জিএসএলভি-এফ-১০ রকেটে করে জিও ইমেজিং স্যাটেলাইটটি মহাকাশে পাঠানো হয়। পৃথিবীর বুকে বন্যা, ভূমিকম্প, সুনামিসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের পূর্বাভাস পেতে স্যাটেলাইটটি মহাকাশে পাঠানোর পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এ ধরনের স্যাটেলাইট রিয়েল টাইম মনিটরিং করতে সক্ষম।
ইসরো জানায়, উৎক্ষেপণের পর প্রথম দুটি পর্যায় ঠিকঠাকই ছিল। চারটি স্ট্র্যাপ অন বুস্টারও কাজ করছিল। কিন্তু, সমস্যা দেখা দেয় তারপর। উৎক্ষেপণের ৪ মিনিট ৫৫ সেকেন্ড পর দ্বিতীয় স্টেজটি আলাদা হয়ে যায়। তার এক সেকেন্ড পরেই তৃতীয় স্টেজ অর্থাৎ, ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিন চালু হয়। এটিই মহাকাশে উৎক্ষেপণকারী যানের শেষ ধাপ।
অত্যন্ত জটিল এই ইঞ্জিনটি ঠিকমতো কাজ করেনি। ফলে, রকেটটি গতি ও উচ্চতা হারিয়ে ক্রমে পূর্ব নির্ধারিত পথ থেকে সরতে শুরু করে। কয়েক মিনিটের নীরবতার পর ব্যর্থতা সম্পর্কে নিশ্চিত হয় ইসরো। এরপরই কন্ট্রোল রুম থেকে ‘কিল সুইচ’ ব্যবহার করে মাঝ আকাশেই রকেটটি ধ্বংস করে দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় হতাশ ইসরোর সাবেক চেয়ারম্যান জি মাধবন নায়ার বলেছেন, এই নিয়ে দুটি ক্ষেত্রে ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিনের সমস্যার কারণে মিশন ব্যর্থ হল।কিন্তু আমরা আমাদের লক্ষে না পৌছানো পর্যন্ত চেস্টা চালিয়ে যাবো।