a
ফাইল ছবি: পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি আরিফ আলভি
পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি আরিফ আলভি ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী পারভেজ খাত্তাকও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সোমবার এক টুইট বার্তায় করোনা আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন রাষ্ট্রপতি নিজেই।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে তিনি লিখেন, ‘আমি কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়েছি। আল্লাহ সকল আক্রান্তদের প্রতি দয়া বর্ষণ করুক। আমি গেল করোনার টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছি। তবে দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর অ্যান্টিবডি তৈরি শুরু হবে। যেটা আরও এক সপ্তাহ পর নিবো। দয়া করে সবাই সতর্ক থাকুন।’
প্রতিরক্ষামন্ত্রীর করোনা আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিন্ধু প্রদেশের গভর্নর ইমরান ইসমাইল।
চলতি মাসের শুরুতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তার স্ত্রী করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। এবার রাষ্ট্রপতি ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীও আক্রান্ত হলেন।
ফাইল ছবি
ইতালি উপকূলে একটি নৌকা থেকে পাঁচ শতাধিক অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে দেশটির কোস্টগার্ড। ইতালির দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ লাম্পেদুসা উপকূলে একটি জরাজীর্ণ মাছ ধরার নৌকা থেকে বাংলাদেশিসহ ৫৩৯ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করা হয়েছে। আজ রোববার অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যম দ্য সিডনি মর্নিং হেরাল্ডের প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়েছে।
চিকিৎসকদের আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডারসের নার্স আলিদা সেরাচিয়েরি জানান, নৌকায় গাদাগাদি করে থাকা লোকজনের মধ্যে তিন জন নারী ও কয়েকটি শিশু ছিল। অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মধ্যে উত্তর ও পশ্চিম আফ্রিকার লোকজন রয়েছে। তবে, তাদের সঙ্গে কত জন বাংলাদেশি রয়েছে, তা জানা যায়নি। উদ্ধার হওয়াদের মধ্যে লিবিয়ায় বন্দি হওয়া কিছু লোকও রয়েছে বলে ইতালির স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে।
ভাগ্য বদলের আশায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ইউরোপে ঢুকতে লিবিয়া উপকূল থেকে রওনা দিয়ে অভিবাসনপ্রত্যাশীরা সমুদ্রপথে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে ইতালির লাম্পেদুসা উপকূলে পৌছায়। ইতালির কোস্টগার্ড তাদের উদ্ধার করে। পাঁচ শতাধিক উদ্ধার হওয়া লোকজনের মধ্যে অন্তত ২০ জনের শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন দেখা গেছে বলে জানান নার্স আলিদা সেরাচিয়েরি। তাদের শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়েছে।
সেরাচিয়েরি বলেন, তাদের শরীরে পোড়ার ক্ষত এবং আগ্নেয়াস্ত্রের ক্ষত রয়েছে। কয়েকজন পানিশূন্যতায় চরম দুর্বল হয়ে পড়েছেন।
শীলা ঘটক । ফাইল ছবি
ঠাকুরবাড়ির বাজার সরকার শ্যাম গাঙ্গুলীর তিন নম্বর মেয়ে__
রবির আদরের নতুন বৌঠান।
রবি ডাকতোও খুব মিষ্টি করে, নতুন-বৌ-ঠান ___
কথায় বলে জন্মদিনে বিয়ে দিতে নেই___
নয় বছরে জ্যোতির সঙ্গে বিয়ে হলো ঐ তারিখেই___
বিধাতা হয়তো এটাই চেয়েছিলেন!
আমি কাদম্বরী_____
কোন ছেলেপুলে হলো না____
‘বাঁজা’ বলে ঠাকুরবাড়ির মানুষের দুচোখের বিষ,
সারাক্ষণ আমায় নিয়ে চলত ফিসফাস।
আমার বাবাকে পাঠিয়ে দেওয়া হলো গাজীপুরের জামিদারি দেখতে।
বেয়াইমশাই মেয়ের বাড়িতে থাকবে!
সেটা আবার হয় নাকি!
নয় বছর থেকে একেবারে একা!
আমি কাদম্বরী____
ঊর্মিলা আমার ননদ স্বর্ণকুমারীর মেয়ে
দু বছর বয়স ওর
আমার বড় আদরের
ওকে খাওয়ানো, স্নান করানো, ঘুম পাড়ানো __
সব করতুম আমি।
বাড়ির পেছনের ঘোরানো লোহার সিঁড়ি দিয়ে
পড়ে গেল একদিন___
বাঁচলো না___চলে গেল চিরতরে।
আমার ভালোবাসার প্রান পাখীটি চলে গেল___
আমি একেবারে একা......
জ্যোতির উপযুক্ত বউ হতে পারিনি আমি!
বাজার সরকার শ্যাম গাঙ্গুলীর তিন নম্বর মেয়ে আমি।
শ্বশুরমশায়ের ইচ্ছেতে বিয়েটা হয়েছিল,
মেজজা-ভাসুর কারোর ভালো লাগেনি আমায়......
গায়ের রঙ কালো ......
জ্যোতির মতো রাজপুত্তুরের এই বৌ!
ঠাকুরবাড়ির দমবন্ধ ঘরে____
খোলা জানালা দিয়ে দক্ষিণা বাতাসের মতো___
রবি আসতো আমার ঘরে।
আমার রবি।
যাকে আমি খুব ভালোবাসতুম খু-ব।
রবি আমার চেয়ে দুবছরের ছোটো।
রবির এই আসা-যাওয়া নিয়েও অ-নে-ক খোঁটা!
আমি কাদম্বরী ____
কবিতা লিখতুম, একা থাকতে থাকতে
লিখে ফেলেছিলুম অনেকগুলো কবিতা।
রবি তা নিয়ে হাসিঠাট্টা করতও খুব।
দুজনে মিলে ঘরের সামনে গড়েছিলুম নন্দনকানন।
রবির বিয়ে হয়ে গেল___
আবার আমি একা।
অবসাদে ভ’রে থাকতো মন___
বেশ কদিন হলো রবি আর আসে না।
নতুন বৌ এসেছে যে, তার ঘরে......
আমাকে সময় দেবার সময় কই তার!
আমি কাদম্বরী___
একদিন জ্যোতিকে বললুম, আজকের রাত টা আমার কাছে থাকো না......
জ্যোতি চলে গেল_____
শুনলে না আমার কথা।
বেঁচে থাকার ইচ্ছে গুলো এক এক করে শেষ হয়ে গেল
এই বিশাল বাড়িতে আমি একেবারে একা।
মা কে মনে পড়ে না____
মা থাকলে হয়তো জন্মের তারিখে বিয়ে দিত না আমায়......
আমি তো সত্যিই সুখী হলুম না,
চারদিকটা অন্ধকার---ঘন অন্ধকার___
চোখের জল আর কবিতা লেখা____
একদিন জ্যোতির পকেট থেকে পেলুম একটা চিঠি____
প্রেমের চিঠি, ভালোবাসার চিঠি, সোহাগের চিঠি...
গোপন কিছু কথার চিঠি________ এক নটীর চিঠি!
জ্যোতির জীবনে আমি একেবারেই শূন্য____
বুঝলুম সেইদিন___ খুব বেশী করে ......
বেঁচে থাকার শেষ ইচ্ছেটুকুও রইল না আর ___
বাজার সরকার শ্যাম গাঙ্গুলীর তিন নম্বর মেয়ে
আমি কাদম্বরী।
------শীলা ঘটক, এফবি/দেশ পত্রিকা, কোচবিহার