a
ফাইল ছবি
চীনের মধ্যস্থতায় মধ্যপ্রাচ্যের দুই প্রভাবশালী দেশ ও পরস্পরেরর চিরশত্রু গণ্যকারী সৌদি আরব-ইরান সমঝোতা চুক্তি করেছিল। সেই সমঝোতা চুক্তির রহস্য জানালেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং-ই।
ওয়াং-ই বলেছেন, অসংখ্য বিষয়ে আপসের অঙ্গীকারে চালিত হয়ে ওই চুক্তি হয়েছিল। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমিরআব্দুল্লাহিয়ানের সঙ্গে এক টেলিফোন বার্তায় চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই মন্তব্য করেন।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং-ই আরও বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের নিজস্ব স্বার্থ বজায় রাখার স্বার্থে চীন বিবাদমান দেশগুলোকে নিয়ে বসতে এবং তাদের মধ্যে মধ্যস্থতা করতে আগ্রহী।
ইরানের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দেশটির পাশে দাঁড়ানোরও অঙ্গীকার করেন ওয়াং-ই।
চলতি বছরের মার্চে চীনের মধ্যস্থতায় ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে আকস্মিক বৈরিতার অবসান হয়। এই দুই দেশের মধ্যে বৈরিতার কারণে ইরাক, সিরিয়া, লেবানন, ইয়েমেন ও বাহরাইনসহ মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশকে অস্থিতিশীল করে রেখেছিল। সূত্র: আল জাজিরা
ফাইল ছবি
ইউরোপজুড়ে একাধিক তেল পরিবহণ ও মজুদকারী প্রতিষ্ঠান সাইবার আক্রমণের মুখে পড়েছে। খবর বিবিসি জার্মানির ‘অয়েলট্যাঙ্কিং’, বেলজিয়ামে ‘এসইএ-ইনভেস্ট’ এবং নেদারল্যান্ডসের ‘ইভোস’ কোম্পানির তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবস্থা সাইবার হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বিবিসি জানায়, বিশ্বজুড়ে তেল মজুদকারী, পরিবহণ প্রতিষ্ঠানসহ কয়েক ডজন টার্মিনাল সাইবার হামলার শিকার হয়েছে। ভুক্তভোগী প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে—সপ্তাহ শেষে এসব হামলার ঘটনা ঘটেছে।
বিবিসি বলছে—উল্লিখিত তিনটি প্রতিষ্ঠানের তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেছে বা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে বলে তাদের কাছে তথ্য রয়েছে।
বেলজিয়ামের কৌঁসুলিরা বলছেন—তাঁরা ‘এসইএ-ইনভেস্ট’-এর টার্মিনালগুলোকে বাধাগ্রস্ত করা সাইবার-আক্রমণের তদন্ত করছেন।
‘এসইএ-ইনভেস্ট’-এর একজন মুখপাত্র বলেছেন, গত রোববার ইউরোপ ও আফ্রিকায় তাদের প্রতিটি পোর্ট সাইবার-হামলার শিকার হয় এবং ক্ষতিগ্রসথ হয়। প্রতিষ্ঠানটি অনলাইনে বিকল্প তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবস্থা চালু করার চেষ্টা করে যাচ্ছে।
‘এসইএ-ইনভেস্ট’-এর মুখপাত্র আরও জানান, তাঁদের প্রতিষ্ঠান অন্যান্য কোম্পানিতেও সাইবার-আক্রমণের বিষয়ে অবহিত। তবে, সেসব হামলার সঙ্গে ‘এসইএ-ইনভেস্ট’-এ হামলার কোনো যোগসূত্র রয়েছে কি না, তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
অন্যদিকে, নেদারল্যান্ডসের ‘ইভোস’-এর এক মুখপাত্র বিবিসিকে জানায়—সাইবার-হামলায় টারনিউজেন, ঘেন্ট ও মাল্টার টার্মিনালগুলোতে তাঁদের তথ্যপ্রযুক্তি পরিষেবা ‘দিতে কিছুটা সময় লাগছে। সূত্র: নয়া দিগন্ত
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিল (ডিএসইসি)। একইসঙ্গে রোজিনাকে হেনস্থার ঘটনায় স্বাধীন নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানানো হয়েছে।
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে সাংবাদিক রোজিনার মুক্তি, মামলা প্রত্যাহার ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে এসব দাবি জানান সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সংগঠনের সভাপতি মামুন ফরাজীর সভাপতিত্বে ও দফতর সম্পাদক মনির আহমাদ জারিফ পরিচালনায় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি মোল্লা জালাল, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আবদুল মজিদ, মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন, কোষাধ্যক্ষ দীপ আজাদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, কাদের গণি চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম তপু, শহিদুল ইসলাম, ডিইউজের কোষাধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলাম, ডিইউজের যুগ্ম সম্পাদক খাইরুল আলম, দফতর সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস, নাসিমা সোমা, আল মামুন প্রমুখ।
মানববন্ধনে বিএফইউজে’র সভাপতি মোল্লা জালাল বলেন, আমরা আশা করি, রোববার সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে নিঃশর্তভাবে মুক্তি দেওয়া হবে। তা না হলে নো রিটার্ন হোম আন্দোলন শুরু করা ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না। আমাদের আর পেছনে ফেরার কোনো সুযোগ নেই।
ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের সভাপতি মামুন ফরাজী বলেন, সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। সচিবালয়ের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা যারা রোজিনাকে হেনস্ত করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
মানববন্ধনে সব ভেদাভেদ ভুলে অধিকার আদায়ে সাংবাদিকদের জাতীয় ঐক্যের উপর গুরুত্বারোপ করা হয়। এ ছাড়া সাংবাদিক নিপীড়ন-নির্যাতনে ব্যবহার হওয়া সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টসহ সকল কালাকানুন বাতিলের দাবি করা হয়।