a
ফাইল ছবি
আমেরিকার ওকল্যান্ড বন্দরের শ্রমিকরা ইহুদিবাদী ইসরাইলের একটি কার্গো জাহাজের মালামাল খালাস করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
ফিলিস্তিনিদের ওপর বর্বরতার বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী ইহুদিবাদীদেরকে বয়কটের যে ডাক দেয়া হয়েছে, তার সাথে একাত্বতা ঘোষণা করে ওকল্যান্ড বন্দর শ্রমিকরা ওই পদক্ষেপ নেন। খবর এবিসি নিউজের।
ফিলিস্তিনপন্থী আমেরিকার বিক্ষোভকারীরা অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ওপর ইহুদিবাদী ইসরায়েলের বর্বর আগ্রাসনের প্রতিবাদ হিসেবে ওকল্যান্ড বন্দরে ইসরাইলি জাহাজ নোঙ্গর ও খালাস করা নিষিদ্ধ করেন। পরবর্তীতে জাহাজটি ওকল্যান্ড বন্দর ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়।
এ সময় বন্দর শ্রমিকরা এবং অন্য বিক্ষোভকারীরা মিলে সেখানে ইসরাইলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করতে থাকেন।
বিক্ষোভ আয়োজনকারীদের মুখপাত্র ওয়াসিম হেজ সাংবাদিকদের বলেন, আজ আমরা ওকল্যান্ড শহরের পক্ষ থেকে একথা প্রমাণ করে দিলাম যে, আমরা বর্ণবাদী ইসরাইলের সঙ্গে বাণিজ্য করতে চাই না।
ফাইল ছবি
‘প্রায় ভেঙে পড়া’ বৈশ্বিক নিরাপত্তা স্থাপত্যকে ঠিক করার জন্য নতুন নিরাপত্তা নিশ্চয়তা চান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। কারণ হিসেবে জানান, দেশটির পূর্বাঞ্চলে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে পশ্চিমাদের কাছে মস্কোর উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন।
শনিবার জার্মানির মিউনিখে অনুষ্ঠিত নিরাপত্তা সম্মেলনে ভাষণ দেয়ার সময় জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেনের নতুন নিরাপত্তা গ্যারান্টির জন্য জাতিসঙ্ঘের স্থায়ী সদস্যদের একটি বৈঠক প্রস্তাব করতে চেয়েছিলাম। যেখানে রাশিয়া, জার্মানি ও তুরস্কের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন।
শনিবার পারমাণবিক সামরিক অনুশীলন শুরু করেছে রাশিয়া। এই পদক্ষেপকে রাশিয়ার ‘তুষ্টির নীতি’ উল্লেখ করে নিন্দা করেছেন জেলেনস্কি।
তিনি এমন এক সময় মিউনিখে ভ্রমন করেছেন যখন ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে সংঘাত শুরু হয়েছে এবং গোলাবর্ষণে ইতিমধ্যে ২ ইউক্রেনীয় সৈন্য নিহত হয়েছে। বিষয়টি উল্লেক করে জেলেনস্কি বলেন, গত আট বছর ধরে বিশ্বের অন্যতম সেরা সেনাবাহিনী ইউক্রেন ঘিরে রেখেছে।’
জেলেনস্কি ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ন্যাটো সামরিক জোটে যোগদানের জন্য ‘স্পষ্ট, সম্ভাব্য সময়সীমা’ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। মস্কো বলেছে যে এটি তার নিরাপত্তার জন্য একটি বিপজ্জনক।
তবে ইউক্রেনের নেতা এও বলেছেন যে, রুশ প্রেসিডেন্ট কী চান তা জানতে ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে তিনি দেখা করতে ইচ্ছুক।
ফাইল ছবি
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, সরকার পর্যাপ্ত টিকা সংগ্রহ না করেই গণটিকার নামে গণপ্রতারণা শুরু করেছে। চরম অব্যবস্থাপনা এবং দলীয়করণের কারণে এই লোক দেখানো গণটিকা অভিযান গণসংক্রমণ অভিযানে পরিণত হয়েছে।
আজ রোববার দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি সরকারকে দলীয়করণের প্রক্রিয়া থেকে বেরিয়ে এসে সর্বজনীন টিকা প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, সারা দেশে সরকার গণটিকার নামে গণতামাশা শুরু করেছে। সরকারের হাতে টিকা এসেছে ১ কোটি ৬০ লাখ। ৭০ ভাগ মানুষকে টিকা দিতে হলে প্রয়োজন হবে ২৬ কোটি টিকা। সরকার টিকা প্রদানেও ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, টিকার বিষয়ে সরকারের মন্ত্রী ও দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য দিয়েছেন। এসবের মধ্য দিয়ে সরকারের সমন্বয়হীনতা ও দায়িত্বহীতার পরিচয় স্পষ্ট হয়েছে। সূত্র: প্রথম আলো