a আবারও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরে এলো, বাতিল দলীয় সরকাল
ঢাকা শুক্রবার, ৩০ কার্তিক ১৪৩২, ১৪ নভেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

আবারও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরে এলো, বাতিল দলীয় সরকাল


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০২:২৮
আবারও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরে এলো বাতিল দলীয় সরকাল

ফাইল ছবি: বাংলাদেশ হাইকোর্ট

 

আওয়ামী সরকার সংবিধানের পঞ্চদশ অধ্যাদেশ সংশোধনী করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে দলীয় সরকারের অধীনে যে ব্যবস্থা এনেছিল তা বাতিল ঘোষণা করেছে হাইকোর্ট।

হাইকোর্টের রায়ে আওয়ামী লীগ যে দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের বিধান করেছিল, তা আর বহাল থাকছে না। বাতিল হওয়া বিধানের পরিবর্তে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল করা হলো।

এক রিট মামলার রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাই কোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার এ রায় প্রদান করেন।

২০১১ সালে সংবিধানে আনা পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলোপের পাশাপাশি অসাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকে রাষ্ট্রদ্রোহ অপরাধ বিবেচনায় নিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধে দোষী করে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধানও যুক্ত করা হয়।

আগে মেয়াদ শেষ হওয়ার পরবর্তী ৯০ দিনে নির্বাচন করার বিধান থাকলেও ওই সংশোধনীতে পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার বিষয়টি সংযোজন করা হয়।

পঞ্চদশ সংশোধনী চ্যালেঞ্জ করে গত ১৮ অগাস্ট রিট আবেদন করেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ ব্যক্তি। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাই কোর্ট গত ১৯ অগাস্ট রুল দেয়। পঞ্চদশ সংশোধনী কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় রুলে।

পরে বিএনপি, গণফোরাম, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি সংগঠন এবং কয়েকজন ব্যক্তি এ রিট মামলায় পক্ষভুক্ত হয়, তাদের পক্ষে আইনজীবীরা শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন।

সূত্র: ইত্তেফাক

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

গুচ্ছ পরীক্ষায় প্রক্সিকান্ডে ঢাবি শিক্ষার্থী আকতারুলের রিমান্ড নামঞ্জুর


সিয়াম, জবি প্রতিনিধি, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
মঙ্গলবার, ১৬ আগষ্ট, ২০২২, ০৭:০৭
গুচ্ছ পরীক্ষায় প্রক্সিকান্ডে ঢাবি শিক্ষার্থী আকতারুলের রিমান্ড নামঞ্জুর

ছবি:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

গুচ্ছভুক্ত ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বি’ ইউনিটের (মানবিক শাখা) ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দেয়ার মামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. আকতারুল ইসলামের বিরুদ্ধে রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) আসামিকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক নাহিদুল ইসলাম। এসময় বিচারক ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে আসামি আকতারুল বলেন, 'আমি ছোট ভাইকে পরীক্ষা দিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে এসেছিলাম। নির্ধারিত সময়ের চেয়ে আসতে দেরি হওয়ায় ছোট ভাইকে ঢুকাতে গেলে গেট থেকে ধরে নিয়ে যায় প্রক্টর অফিস। তারপর তারা মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়।'

পরে বিচারক এজাহার পড়ে আসামিকে বলেন, 'আপনি মিথ্যা বলছেন কেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ডীন মামলাটি করেছেন। পরীক্ষা দেয়ার পর আপনাকে সন্দেহভাজন হিসেবে ধরে নেয়া হয় বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।' এসময় মিথ্যা বলার বিষয়টি স্বীকার করেন আসামির আইনজীবী ঢাকা বারের সাধারণ সম্পাদক ফিরোজুর রহমান মন্টু। তবে এ ঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িত নেই, তাই রিমান্ড নেয়ার প্রয়োজন নেই বলেন এই আইনজীবী। পরে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
 
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নাহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আসামি বড় চক্রের সদস্য। তাকে রিমান্ডে নিলে বাকি আসামিদের ধরা সহজ হতো। তবে আমাদের তদন্ত চলবে। প্রয়োজনে আবার রিমান্ড আবেদন করা হবে বলেন তিনি।

গত ১৩ আগস্ট জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদদীন বাদী হয়ে আসামি আকতারুলসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ মামলার বাকি আসামিরা হলেন- মূলহোতা মো. রাব্বি ও মূল শিক্ষার্থী সিজান মাহফুজ।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ১৩ আগস্ট জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছভুক্ত বি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ পরীক্ষায় অংশ নেয়া ছাত্র-ছাত্রীদের প্রবেশপত্রসহ অন্যান্য কাগজপত্র যাচাই করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মো. মহিউদ্দিনের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভবনের একটি কক্ষের পরীক্ষায় অংশ নেয়া পরিক্ষার্থীদের প্রবেশপত্রসহ অন্যান্য কাগজপত্র যাচাই করছিলেন।

এসময় আকতারুল ইসলাম নামে এক পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্র ও সংযুক্ত ছবির সঙ্গে তার চেহারার মিল না থাকার বিষয়টি পরিলক্ষিত হয়। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আটক শিক্ষার্থী জানায়, পলাতক আসামি সিজান মাহফুজ ও মূলহোতা রাব্বির পরামর্শ, প্ররোচনায় ও সহযোগীতায় এক লাখ ৪০ হাজার টাকার চুক্তিতে পরীক্ষায় অংশ নেয় বলে তিনি স্বীকার করেন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড.মোঃ ইমদাদুল হক বলেন, আমরা আজকে অবগত হলাম রিমান্ড না মঞ্জুর হয়েছে আবার এটাকে ডিফেন্ড করবে যাতে রিমান্ডে নেয়া ও এই চক্রকে ধরার জন্য কাজ চলছে, যদি পুলিশ প্রশাসন ব্যর্থ হয় তাহলে মামলা সিআইডির হাতে হস্তান্তর করা হবে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

জাতীয়তাবাদী শক্তি সঠিক পথেই আছে: প্রফেসর ড. আকরাম আলী


কর্ণেল আকরাম: লেখক ও কলামিস্ট: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৩:২৮
জাতীয়তাবাদী শক্তি সঠিক পথেই আছে: প্রফেসর ড. আকরাম আলী

ছবি সংগৃহীত: তারেক জিয়াসহ বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ নেতৃবৃন্দ

 

নিউজ: জাতীয়তাবাদী শক্তিগুলোর গুরুত্ব জাতির এই সংকটময় সময়ে অপরিসীম। ১৯৭৫ সালের পর থেকে জাতীয়তাবাদী শক্তির নেতৃত্বদানে বিএনপি বাংলাদেশের একমাত্র প্রধান রাজনৈতিক দল হিসেবে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে।  

সার্বভৌম বাংলাদেশের গঠনে বিএনপির ভূমিকা ইতিহাসে উজ্জ্বল অক্ষরে লিপিবদ্ধ থাকবে। বিএনপি কখনো জনগণের বা দেশের বিপক্ষে অবস্থান নেয়নি, যদিও কিছু ভুল-ত্রুটি ছিল। ইতিহাস সর্বদা জিয়াউর রহমান ও বিএনপির ঐতিহাসিক অবদানের কথা স্মরণ করবে।  

বিএনপি জনগণের প্রতি অনুগত ও জাতীয়তাবাদী শক্তি হিসেবে সাফল্যের নজির স্থাপন করেছে। জনগণের বিশ্বাস, বিএনপি বর্তমান জাতীয় সংকট মোকাবিলায় নেতৃত্ব দিতে সক্ষম।  

সম্প্রতি বিএনপির রিজভী আহমেদের একটি বিবৃতি সর্বস্তরের মানুষের প্রশংসা কুড়িয়েছে এবং এটি সময়োপযোগী ও যথাযথ প্রতিক্রিয়া হিসেবে গণ্য হয়েছে। এ বিবৃতি বিএনপির সত্যিকারের অবস্থানকে পরিষ্কার করেছে, বিশেষ করে ভারতের প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে যে বিভ্রান্তি ছিল, তা দূর করতে সহায়ক হয়েছে।  

এ বিবৃতি ষড়যন্ত্রমূলক প্রচারকে খণ্ডন করেছে এবং প্রমাণ করেছে যে বিএনপি দেশের সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য জাতীয়তাবাদী শক্তি। জনগণ আন্তরিকভাবে আশা করে, বিএনপি অতীতের মতোই বিচক্ষণতার সঙ্গে দেশকে সঠিক পথে পরিচালিত করবে।  

বর্তমান সময়ে বিএনপির ভুল করার কোনো সুযোগ নেই। পুরো জাতি তাদের নেতৃত্বে সাদরে অপেক্ষা করছে। এখন সবচেয়ে জরুরি কাজ হলো দেশের প্রতিভাবান জাতীয়তাবাদী মানুষদের খুঁজে বের করা, যেমন জিয়াউর রহমান করেছিলেন।  

১৯৭৫ সালের নভেম্বর বিপ্লবের সময় জিয়ার নেতৃত্বে যে কাজগুলো সম্ভব হয়েছিল, বর্তমান প্রেক্ষাপটে তা হয়তো সম্ভব নয়। কিন্তু তার কাজের চেতনা বর্তমান বিএনপি নেতৃত্বকে দিকনির্দেশনা দিতে পারে।  

২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট বিপ্লব বিভিন্ন কারণে ১৯৭৫ সালের নভেম্বর বিপ্লব থেকে ভিন্ন। সেই সময় ভারত ও আওয়ামী লীগ জিয়ার সরকারকে চ্যালেঞ্জ করার অবস্থানে ছিল না। জিয়া দ্রুতই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন এবং চীনকে কৌশলগত অংশীদার করে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছিলেন।  

তবে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সামনে চ্যালেঞ্জ অনেক বেশি। ভারত ও আওয়ামী লীগ উভয়ই বর্তমান সরকারকে অস্থিতিশীল করতে সক্ষম। আওয়ামী লীগ তাদের বিপুল অর্থ ব্যবহার করে দেশে অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। অন্যদিকে ভারত, যাদের ট্রাম্প প্রশাসনের মিত্র হিসেবে শক্তিশালী অবস্থান রয়েছে, বর্তমান সরকারের জন্য সমস্যা তৈরি করতে পিছু হটবে না।  

আমাদের সামনে যে পথ খোলা তা হলো বিএনপির নেতৃত্বে জাতীয়তাবাদী শক্তির ওপর নির্ভর করা। পাশাপাশি চীনের মতো একটি ভেটো ক্ষমতাধারী দেশের সঙ্গে দ্রুত ও শক্তিশালী কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলা এবং শত্রুর শত্রু পাকিস্তানের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি করার কথা বিবেচনা করা। বাকিটা আল্লাহ তায়ালার ওপর নির্ভরশীল। ইনশাআল্লাহ, তিনি আমাদের সঠিক পথ দেখাবেন।


লেখক: সম্পাদক, সামরিক ইতিহাস জার্নাল এবং আইনের অধ্যাপক।

 

 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর জনপ্রিয়

সর্বশেষ - আইন