a
ফাইল ছবি
ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধে সরকারকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। রোববার সরকারের চার সচিব ও তিনটি সংস্থার চেয়ারম্যানের কাছে এ নোটিশ পাঠায় সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান।
নোটিশ পাঠানো হয়েছে চার মন্ত্রণালয়ের সচিবদের, তারা হলেন— বাণিজ্যসচিব, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব, পররাষ্ট্র সচিব, বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন সচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, আমদানি ও রপ্তানি দপ্তরের প্রধান নিয়ন্ত্রক এবং বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান।
আইনজীবী মাহমুদুল হাসান জানান, ইলিশ আমাদের জাতীয় মাছ হলেও অতিরিক্তি দামের কারণে দেশের দরিদ্র মানুষ এই মাছ কিনতে পারে না। মধ্যবিত্ত মানুষও ইলিশ মাছ কিনতে হিমশিম খাচ্ছে। অথচ বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দেশের মানুষের চাহিদার কথা চিন্তা না করে ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে। এর ফলে দেশের স্থানীয় বাজারগুলোতে ইলিশের দাম আরও বেড়েছে।
সাত দিনের মধ্যে ভারতে ইলিশ রপ্তানি স্থায়ীভাবে বন্ধ না করলে ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে রিট করা হবে বলেও জানান মাহমুদুল হাসান। সূত্র: যুগান্তর
করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে আগামীকাল থেকে এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। তবে লকডাউনের আওতামুক্ত থাকবে জরুরি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান।
স্বাস্থ্যসেবা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান, পণ্যবাহী পরিবহনের পাশাপাশি খোলা থাকবে সংবাদপত্র বহনকারী পরিবহনও। এর বাইরে একমাত্র শিল্পকারখানা খোলা থাকবে। তবে শ্রমিকরা
অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিফট অনুযায়ী কাজ করবেন। সবাইকে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানতে দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি বুঝে লকডাউন আরও বাড়তে পারে বলে জানানিা হয়েছে।
এদিকে, রাজধানীতে এই লকডাউন কার্যকরে কঠোর থাকবে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। গতকাল শনিবার (৩ এপ্রিল) বিকেলে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায় গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা মাঠে থেকে লকডাউন কার্যকর করব এবং কঠোরভাবে কার্যকর করব।
অনেক আর্থিক ক্ষতি হবে জেনেও সরকার লকডাউনের মতো সিদ্ধান্ত নিল। কার্যকর না করে উপায় আছে? সুতরাং পুলিশ করোনারোধে কঠোর হবে। এজন্য জনসাধারণের সার্বিক সহযোগিতা চাই।
একই দিনে ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, গত বছর কোনো অভিজ্ঞতা ছাড়াই পুলিশ মাঠে থেকে কাজ করেছে। গতবারের অভিজ্ঞতা সঙ্গে নিয়ে এবার পুলিশ কাউকেই লকডাউন ও স্বাস্থ্যবিধি বিধি লঙ্ঘনে ছাড় দেবে না বলে জানান।
গত বছর লকডাউনের সময় বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে ঢাকা ছেড়েছিল এবং প্রবেশ করেছিল। এবার তা করতে দেওয়া হবে না। কোভিড-১৯-এর নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ মাঠে থেকে যা যা করা দরকার তা করবে।
ফাইল ছবি
বিদ্যুৎহীন রাজধানীর অনেক এলাকায় সোমবার রাতে সড়কবাতি বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাব পড়েছে রাজধানীতেও। ঝড়ো হাওয়া, গাছ ভেঙে পড়া এবং বৃষ্টিতে কারিগরি ত্রুটি দেখা দেওয়া ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হয়েছে। মিরপুর, মোহাম্মদপুর, খিলগাঁও, সবুজবাগ, শ্যামপুর, মগবাজার, উত্তরাসহ নগরীর বিভিন্ন জায়গার বিদ্যুৎ না থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন রাজধানীবাসী।
ঢাকা বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানির (ডিপিডিসি) সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর উলন গ্রিড বন্ধ রয়েছে। ফলে আশেপাশের একটা বড় অংশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ ছাড়া খিলগাঁও, মোহাম্মদপুর, শ্যামপুর, বাসাবোসহ অনেক এলাকায় গাছ পড়ে ও ঝড়ো বাতাসে লাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে বিদ্যুৎ বিতরণ বন্ধ হয়ে গেছে।
ঢাকা ইলেক্ট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানির (ডেসকো) সূত্র বলছে, গাছের ডাল পড়ে আর বাতাসে লাইন ছিড়ে উত্তরখান, মিরপুরের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে। বৃষ্টিতে অনেক এলাকায় শট সার্কিট হয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে।
সরবরাহ স্বাভাবিক করতে বিভিন্ন টিম মাঠে কাজ করছে বলে জানিয়েছে ডিপিডিসি ও ডেসকো। সূত্র: সমকাল