a
ফাইল ছবি
ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধে সরকারকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। রোববার সরকারের চার সচিব ও তিনটি সংস্থার চেয়ারম্যানের কাছে এ নোটিশ পাঠায় সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান।
নোটিশ পাঠানো হয়েছে চার মন্ত্রণালয়ের সচিবদের, তারা হলেন— বাণিজ্যসচিব, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব, পররাষ্ট্র সচিব, বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন সচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, আমদানি ও রপ্তানি দপ্তরের প্রধান নিয়ন্ত্রক এবং বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান।
আইনজীবী মাহমুদুল হাসান জানান, ইলিশ আমাদের জাতীয় মাছ হলেও অতিরিক্তি দামের কারণে দেশের দরিদ্র মানুষ এই মাছ কিনতে পারে না। মধ্যবিত্ত মানুষও ইলিশ মাছ কিনতে হিমশিম খাচ্ছে। অথচ বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দেশের মানুষের চাহিদার কথা চিন্তা না করে ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে। এর ফলে দেশের স্থানীয় বাজারগুলোতে ইলিশের দাম আরও বেড়েছে।
সাত দিনের মধ্যে ভারতে ইলিশ রপ্তানি স্থায়ীভাবে বন্ধ না করলে ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে রিট করা হবে বলেও জানান মাহমুদুল হাসান। সূত্র: যুগান্তর
ফাইল ছবি
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সীমান্ত এলাকায় জমজমাট হয়ে উঠেছে চোরাচালান বাণিজ্য। আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে সোর্স পরিচয়ধারী চোরাচালানীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সরকারের লক্ষলক্ষ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে অবাধে কয়লা, পাথর, মদ, গাঁজা, ইয়াবা, কাঠ, চাল ও অস্ত্র পাচাঁর করছে। তারপরও সোর্সদেরকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না বলে জানা গেছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- প্রতিদিনির মতো আজ বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) সকালে জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ডলুরা সীমান্তের ধোপাজান-চলতি নদী দিয়ে ভারত থেকে নৌকা বোঝাই করে পাথর ও মাদকদ্রব্য পাচাঁর করে চোরাচালানীরা। এই খবর পেয়ে দুপুরে বিজিবি অভিযান চালিয়ে ৫ ঘনফুট পাথরসহ ১টি বারকি নৌকা জব্দ করে।
এর আগে মাছিমপুর সীমান্ত থেকে ১০ বোতল ও চিনাকান্দি সীমান্ত থেকে ১১ বোতল ভারতীয় মদ পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে। কিন্তু চোরাকারবারীদেরকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
অন্যদিকে ভোরে ৫টায় তাহিরপুর উপজেলার চারাগাঁও সীমান্তের বাঁশতলা তেতুলগাঁও, লালঘাট ও বালিয়াঘাট সীমান্তের লাকমা এলাকা দিয়ে সোর্স শফিকুল ইসলাম ভৈবর, রমজান মিয়া, খোকন মিয়া, শহিদুল্লাহ, বাবুল মিয়া ও ইয়াবা কালাম পৃথক ভাবে ভারত থেকে প্রায় ৫০ মে.টন কয়লা ও মাদকদ্রব্য পাচাঁর করে। পরে ৩টি স্টিলের ইঞ্জিনের নৌকা বোঝাই করে প্রায় ১৮ মে.টন কয়লাসহ মদ, গাঁজা ও ইয়াবাসহ বরশির চিপ পাচার করে ওপেন নিয়ে যায়। আর বাকি মালামাল সীমান্তের বিভিন্ন বাড়িঘরের ভিতর ও তার আশেপাশে পানিতে লুকিয়ে রাখে।
পাচারকৃত প্রতি নৌকা (৬ মে.টন) কয়লা জন্য ৫ হাজার টাকা চাঁদা নেয় বিজিবির সোর্স পরিচয়ধারী শফিকুল ইসলাম ভৈরব, রমজান মিয়া ও ইয়াবা কালাম। সোর্সরা দপটের সাথে প্রতিদিন এভাবেই ওপেন কয়লা ও মাদকদ্রব্য পাচার করে। কিন্তু বিজিবি এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেয় না বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক তসলিম এহসান সাংবাদিকদের বলেন- জব্দকৃত মদ ও পাথরসহ নৌকা শুল্ক কার্যালয়ে জমা করার প্রক্রিয়া চলছে। সীমান্ত চোরাচালান প্রতিরোধের জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ছবি সংগৃহীত:
রাজধানীর মিরপুর ১৪ নম্বরের কচুক্ষেত এলাকায় সেনাবাহিনী ও পুলিশের গাড়িতে আগুন দিয়েছে আন্দোলনরত পোশাক শ্রমিকরা।
আজ ৩১ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ওই এলাকায় যান চলাচল ২ ঘন্টায় বন্ধ ছিল।
জানা গেছে, বিভিন্ন দাবিতে ডাইনা নামে একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা রাস্তায় নামেন। এ সময় পোশাক শ্রমিকদের আন্দোলন থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ এবং এক পর্যায়ে তারা সেনাবাহিনীর একটি গাড়ি ও পুলিশের একটি লেগুনাতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
কাফরুল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজি গোলাম মোস্তফা এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর দু’টি পরিবহনে অগ্নিসংযোগ করেছে পোশাক শ্রমিকরা। এ ঘটনার পর পুলিশ ও সেনা সদস্যরা তাদের ছত্রভঙ্গ করার উদ্যোগ নেয়। ঘটনার পর দমকল বাহিনীর দু’টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গাড়ির আগুন নেভানোর কাজ করছে।
স্থানীয়দের মতে, এই সঙ্ঘাত প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলে। ফলে দুই ঘণ্টার জন্য যান চলাচল বিঘ্নিত হয়। এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সূত্র: নয়াদিগন্ত