a
ফাইল ছবি
সুপ্রিম কোর্টের নিরাপত্তা আরও জোরদার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ছাত্রদল-ছাত্রলীগের মধ্যে রক্তক্ষয়ী ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার পর গতকাল বৃহস্পতিবার জরুরি বৈঠক করে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
বিচারপতি, আইনজীবী, বিচারপ্রার্থী ও আদালত সংশ্নিষ্টরা যেন নির্বিঘ্নে ও স্বাচ্ছন্দ্যে উচ্চ আদালতে প্রবেশ করতে পারেন, বিষয়টি মাথায় রেখে গৃহীত সিদ্ধান্তে বলা হয়, রোববার থেকে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হবে।
বৈঠকে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল বজলুর রহমান, পুলিশের রমনা অঞ্চলের ডিসি, আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রারসহ সংশ্নিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। এদিন দুপুরের দিকে সুপ্রিম কোর্টের ভেতরে আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে ছাত্রদল ও ছাত্রলীগের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, মারামারি ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। উভয়পক্ষের মারামারিতে এক আইনজীবীর গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।
বৈঠকের পর আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান জানান, সব গেটে আনাগোনা নিয়ন্ত্রণ করা হবে। বিচারপ্রার্থী, আইনজীবীরা যাতে সুপ্রিম কোর্টে নির্বিঘ্নে, স্বাচ্ছন্দ্যে আসতে পারেন সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সূত্র: সমকাল
ছবিঃ মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ আজ ঢাকায় গাইবান্ধা জেলা উন্নয়ন ফোরামের সহ সভাপতি এডভোকেট মোঃ মোশারফ হোসেন মনিরকে ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদান করা হয়। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের এডভোকেট মোঃ মোশারফ হোসেন মনিরকে এসিস্ট্যান্ট এটর্নী জেনারেল নিয়োগ দেওয়ায় ঢাকাস্থ গাইবান্ধা জেলা উন্নয়ন ফোরামের উদ্যোগে আজ সন্ধ্যায় রাজধানীর পুরানা পল্টনে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সংগঠনের সভাপতি সাবেক অতিরিক্ত সচিব আইয়ুব হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন সাবেক অতিরিক্ত সচিব কফিল উদ্দিন, এস এম, জাকির হোসেন, ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা এটিএম, মমতাজুল করিম, মশিয়ুর রহমান, বকুল মহন্ত, তাজুল ইসলাম সরকার, নেয়ামুল আহসান পামেল, খাইরুল ইসলাম আকন্দ, আব্দুল হাদী, তোফাজ্জল হোসেন প্রমুখ।
ফাইল ফটো:
ড. বেনজীর আহমেদ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হিসেবে দায়িত্ব নিয়েই পুলিশকে দুর্নীতি ও মাদকমুক্ত এবং মানবিক বাহিনী হিসেবে গড়ার কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সরকার সব ধরনের সরকারি পেশাজীবীর সুযোগ সুবিধা ও বেতন-ভাতা অনেক বাড়িয়েছে। তাই পুলিশের কোনো সদস্য দুর্নীতিতে যুক্ত থাকতে পারবে না বলে জানান আইজিপি।
পুলিশ সুপার (এসপি), ডিআইজিসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন (সিনিয়র) কর্মকর্তাদের অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্য সরাসরি পুলিশ সদর দফতরে জানাতে পারবেন তাদের অধস্তন (জুনিয়র) সদস্যরা। আর তদন্তে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেলে পুরস্কৃত করা হবে তথ্যদাতা পুলিশ সদস্য বা কর্মকর্তাকে।
সম্প্রতি আইজিপি এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করেছেন। সেখানে দুর্নীতির তথ্যদানকারী পুলিশ সদস্যকে সব ধরনের সুরক্ষা দেয়ার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। শিগগিরই আদেশটি পৌঁছে যাবে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে।
পুলিশ সদর দফতর সূত্র জানিয়েছে, পুলিশ সদস্যরা নির্ভয়ে সরকারি অর্থের নিয়মিত ও অননুমোদিত ব্যয়, সরকারি সম্পদের অব্যবস্থাপনা, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং দুর্নীতি সংক্রান্ত অভিযোগের তথ্য দিতে পারবেন। এর মাধ্যমে সরকারি প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতসহ দুর্নীতি বন্ধ করা সম্ভব হবে বলে জানান।
আইজিপির আদেশে তথ্যদাতা পুলিশ সদস্যদের জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট তথ্য প্রকাশ (সুরক্ষা প্রদান) আইন-২০১১ এবং জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট তথ্য প্রকাশ (সুরক্ষা প্রদান) বিধিমালা-২০১৭ এর অধীনে সুরক্ষা দেয়ার কথা বলা হয়েছে।
তথ্য প্রকাশ আইন ও বিধিমালায় কোনো তথ্য প্রদানকারীর পরিচিতি প্রকাশ না করার উল্লেখ রাখা হয়েছে। এছাড়া তথ্য প্রদানকারীর বিরুদ্ধে কোনো ফৌজদারি বা দেওয়ানি মামলা বা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে কোনো বিভাগীয় মামলা দায়ের না করাসহ তাকে পদাবনতি, হয়রানিমূলক বদলি, বিভাগীয় ব্যবস্থাগ্রহণ ও বৈষম্যমূলক আচরণ করা যাবে না বরং তথ্য প্রমাণিত হলে পুরস্কার ও সম্মাননা দেয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে কেউ মিথ্যা তথ্য দিলে দণ্ড হিসেবে তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি কার্যবিধি প্রয়োগ করে মামলা, তদন্ত ও আইনানুগ কার্যক্রমের বিষয়টিও উল্লেখ রাখা হয়েছে।