a ৭ বিচারপতি বিব্রতবোধ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা শুনানিতে
ঢাকা রবিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩২, ০২ নভেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

৭ বিচারপতি বিব্রতবোধ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা শুনানিতে


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
মঙ্গলবার, ৩১ আগষ্ট, ২০২১, ০৭:৩৮
৭ বিচারপতি বিব্রতবোধ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা শুনানিতে

ফাইল ছবি

আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আইনের শাসনের প্রতি আজীবন শ্রদ্ধাশীল ছিলেন। জনগণের পক্ষে কথা বলার জন্য তিনি প্রায় ১৩ বছর জেল খেটেছেন। আশ্চর্যজনক বিষয় হলো বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্সের জন্য হাইকোর্ট গেলে হাইকোর্টের সাতজন বিচারপতি বিব্রতবোধ করে এ মামলার শুনানি করতে অপারগতা প্রকাশ করেছিলেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট আয়োজিত এক শোক সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান যদি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হতেন তাহলে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে আইনে পরিণত না করে বাতিল করতেন ও বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করতেন। কিন্তু জিয়াউর রহমান তা না করে খুনিদের বিদেশী মিশনে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছেন। 

বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী শাহ আজিজুর রহমানকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দিয়েছেন। আর এরশাদ খুনিদের ফ্রিডম পার্টি গঠনের অনুমতি দিয়েছেন। খালেদা জিয়া ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিনা ভোটে নির্বাচন করে বঙ্গবন্ধুর খুনিকে জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় নেতার আসনে বসান। জগগণের মুখে চপেটাঘাত করার জন্য এসব করা হয়।

আইনমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের প্রয়োজনে যা কিছু প্রয়োজন বঙ্গবন্ধু তা করে গেছেন। আজকে বাংলাদেশ যে আইনি কাঠামোর ওপর দাঁড়িয়ে আছে তা বঙ্গবন্ধুর তৈরি করে দেওয়া। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর ২১ বছর এই আইনি কাঠামো পাল্টে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। ষড়যন্ত্রকারীরা এখনো রাস্তায় ঘোরাফেরা করছে। এদের ষড়যন্ত্রের বিষয়ে আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় আইন কমিশনের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশের সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের শিখিয়েছেন আমরা বাঙালি। তিনি আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন, সংবিধান দিয়েছেন। বিনিময়ে আমরা তাঁকে হত্যা করেছি। আমরা এ কলঙ্ক কোনদিন মোচন করতে পারবো না। সূত্র: ইত্তেফাক

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

মির্জা ফখরুলের জামিন আবেদন হাইকোর্টে খারিজ


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক:
বুধবার, ১০ জানুয়ারী, ২০২৪, ০৪:৩৪
মির্জা ফখরুলের জামিন আবেদন হাইকোর্টে খারিজ

ফাইল ছবি: মির্জা ফখরুল

প্রধান বিচারপতির বাসায় হামলার ঘটনায় রমনা থানায় করা মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে জারি করা রুল খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। বুধবার বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও সগির হোসেন লিওন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বি এম আব্দুর রাফেল।

এর আগে, গত ২২ নভেম্বর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে মির্জা ফখরুলের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে। এর কিছুদিন পর জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন তিনি। আবেদনের শুনানি নিয়ে ৭ ডিসেম্বর হাইকোর্ট জামিন প্রশ্নে রুল দেন। মামলায় মির্জা ফখরুলকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে রাষ্ট্রপক্ষকে এক সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

গত ১৭ ডিসেম্বর মির্জা ফখরুলের আইনজীবীদের আরজির পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের একই বেঞ্চ রুল শুনানির জন্য ৩ জানুয়ারি তারিখ ধার্য করেন। সেদিন মির্জা ফখরুলের আইনজীবীর পক্ষে সময়ের আরজি জানানো হয়। আদালত ওই সপ্তাহের জন্য শুনানি মুলতবি করে আদেশ দেন। এর ধারাবাহিকতায় আজ রুলের ওপর শুনানি শেষে তা খারিজ করে রায় দেন হাইকোর্ট।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

১৮ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ইসির বৈঠক, ডিসেম্বরে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে: ইসি


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
বুধবার, ১২ ফেরুয়ারী, ২০২৫, ০৯:১৫
১৮ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ইসির বৈঠক ডিসেম্বরে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি

ফাইল ছবি

আগামী ডিসেম্বরে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের লক্ষে প্রস্তুতি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর আগে অন্য কোন নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেনা নির্বাচন কমিশন। তবে যদি সরকার চায় তাহলে জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করবে ইসি।

গতকাল মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এর আগে ইউএনডিপিসহ উন্নয়ন সহযোগী ১৮টি দেশের রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করে ইসি।

নির্বাচন কমিশনার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ১৬ ডিসেম্বরের বক্তব্যে বলেছিলেন, যদি অল্প পরিমাণে সংস্কারসহ নির্বাচন করতে হয়, সেখানেই যদি রাজনৈতিক মতৈক্য গিয়ে দাঁড়ায়, তাহলে এ বছরের শেষ নাগাদ ডিসেম্বরে ইলেকশন। আর যদি আরেকটু বেশি সংস্কার করার সুযোগ দেওয়া হয়, তাহলে ২০২৬ এর জুন নাগাদ ইলেকশন করা সম্ভব। আমরা বলেছিলাম, আমাদেরকে আর্লিয়েস্ট ডেটটা (ডিসেম্বর) ধরে নিয়ে প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে। আমাদের অবস্থান এখনো অপরিবর্তিত।

বৈঠকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে আবুল ফজল বলেন, বৈঠকে একটি প্রশ্ন এসেছিল দুটো নির্বাচন একসঙ্গে করা যায় কিনা। এতে কেমন সময় লাগতে পারে, এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, জাতীয় ও স্থানীয় সরকারের নির্বাচন একসঙ্গে করা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, অতীত অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে সবগুলো স্থানীয় সরকারের নির্বাচন ধাপে ধাপে করতে গেলে এক বছর লেগে যায়। পুরোপুরি এভাবে স্থানীয় সরকারের নির্বাচন করতে হলে জাতীয় নির্বাচনের সময় পিছিয়ে যাবে। এখন নির্বাচন কমিশনের অগ্রাধিকার জাতীয় নির্বাচন। এই মুহূর্তে জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে সরকার যদি স্থানীয় সরকার নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে সেভাবেই বাস্তবায়ন করতে হবে। এটা সরকারের সিদ্ধান্ত।

আরেক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন কতটুকু হবে, কোন কোন প্রতিষ্ঠানের হবে সে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। তখন ইসি বলতে পারবে এটা জাতীয় নির্বাচনকে প্রভাবিত করবে কিনা। তার আগে এটি বলা সম্ভব নয়। এ সময় জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি-ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার জানান, ইসি গত বছরের ডিসেম্বরে নির্বাচন সংক্রান্ত সহায়তা চেয়ে তাদের কাছে অনুরোধ করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাদের একটি দল জানুয়ারিতে দুই সপ্তাহ বাংলাদেশ সফর করেন। জাতিসংঘ কী ধরনের কারিগরি সহায়তা দিতে পারে তা ওই দলটি নির্ধারণ করেছে। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনকে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনায় সহায়তা করছি। আমরা আশা করি, এটি হবে বাংলাদেশের সেরা নির্বাচন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনের সময়সূচি নির্ধারণ করবে অন্তর্বর্তী সরকার ও ইসি। এখানে আমাদের করণীয় কিছু নেই। সভায় আগামী নির্বাচনে কমিশনকে কারিগরি সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

বৈঠকে ইউএনডিপি ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, যুক্তরাজ্য, ইতালি, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, স্পেন, কানাডা, জার্মানি, চীন, নেদারল্যান্ড, নরওয়ে, সুইডেন, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, দক্ষিণ কোরিয়া, ইইউ ও তুরস্কের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। সূত্র: যুগান্তর

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - আইন