a
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
গতকাল সন্ধ্যায় ঢাকায় মালিবাগে বিএলডিপি কার্যালয়ে সমমনা কয়েকটি রাজনৈতিক দলের এক মত বিনিময় সভা সাবেক মন্ত্রী এম নাজিম উদ্দীন আল আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনডিপির চেয়ারম্যান শেখ মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ মানবাধিকার আন্দোলনের সভাপতি মাওলানা মহিবউল্যা শান্তিপুরী,জাতীয় মুক্তি দলের চেয়ারম্যান এটিএম মমতাজুল করিম, বাংলাদেশ স্বাধীনতা পার্টির চেয়ারম্যান মির্জা আজম, বাংলাদেশ জনতা পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান,বাংলাদেশ রিপাবলিকান পার্টির চেয়ারম্যান মোঃ হারুন অর রশিদ,বিএনডিপির চেয়াবম্যান শরিফুল ইসলাম, বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা এসএম আমানুল্লাহ, বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক পার্টির মহাসচিব এডঃ সরোয়ার মিয়া,জাতীয় মুক্তি দলের মহাসচিব আব্দুল আহাদ নুর প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
সভায় দেশ ও জাতীর এই ক্রান্তিলগ্নে সমমনা রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে শীঘ্রই "জাতীয় ঐক্য সমন্বয় পরিষদ" নামে একটি জোট আত্মপ্রকাশের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় বক্তারা বৈষম্য বিরোধী ছাএ আন্দোলনের নবগঠিত রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, দেশের স্বাধীনতা একবারই হয়।২৪ ' র বিপ্লব আর স্বাধীনতা নিয়ে দেশে ধুম্রজাল সৃষ্টি করা হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করার ষড়যন্ত্র চলছে। এটা দেশের জন্য অমঙল বয়ে আনবে।
ফাইল ছবি
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন, চলতি মাসেই কিছু আইপি টিভির অনুমোদন দেয়া হবে। তবে নীতিমালা অনুযায়ী আইপি টিভি সংবাদ পরিবেশন করতে পারবে না।
আজ সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
এসময় তিনি জানান, দেশে কোনো আইপি টিভির অনুমোদন নেই। আমরা ইত্যোমধ্যে রেজিস্ট্রেশন দেয়া শুরু করেছি এবং আবেদন আহ্বান করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ৬০০ এর মতো আবেদন জমা পড়েছে। আমরা খুব সহসা, এ মাসের মধ্যেই অনুমোদন দেব। যেহেতু আমরা অনুমোদন দেয়া শুরু করিনি, তাই কোনোটার অনুমোদন নেই।
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, হেলেনা জাহাঙ্গীরেরও আইপি টিভিরও অনুমোদন নেই। কিছু আইপি টিভির বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ আছে। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা সময় সময় ব্যবস্থা গ্রহণ করি। কিছু কিছু আইপি টিভি দেখা গেছে ব্যক্তিস্বার্থে পরিচালিত হয়। তারপর নানা ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ায়, নানা ধরনের অনুষ্ঠান প্রচার করে, সংবাদ পরিবেশন করে। এ ধরনের কোনো অভিযোগ যদি আমাদের নজরে আসে, তাহলে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করি। ইতোমধ্যে অনেকগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তার ক্ষেত্রেও একই ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
ফাইল ছবি
করোনার কারনে দীর্ঘ দেড় বছর পর আগামী সেপ্টেম্বর মাসের শেষেরদিকে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়সহ উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে। সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে ইতোমধ্যে সশরীরে ক্লাস ও পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজ।
পাশাপাশি এ বছরের নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষা সরাসরি নেওয়ার সিদ্ধান্তও প্রায় চূড়ান্ত। তবে সংক্রমণ পাঁচ শতাংশের নিচে নেমে না আসা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে স্কুল। ফলে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলের ছুটি আরও বাড়ছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। সে অনুযায়ি আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। ইতোমধ্যে করোনার সংক্রমণ কমতে শুরু করেছে। যখনই পরিস্থিতি অনুকূলে আসবে, তখনই আমরা এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।
গতকাল সোমবার (২৩ আগস্ট) অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দ্রুত খুলে দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রোগ্রাম (কর্মসূচি) ঠিক করছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আজকেও কথা হয়েছে। তারা প্রোগ্রাম ঠিক করছে-কীভাবে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সংবাদ সম্মেলনে এ ব্যাপারে জানাবে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে।
সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ৩১ আগস্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাধারণ ছুটি চলবে। ইতোমধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে দাবি উঠেছে। বিশেষ করে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে দাবি সবচেয়ে বেশি জোরালো। এই পরিস্থিতির মধ্যে গত ১৮ আগস্ট অনুষ্ঠিত সচিব সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দ্রুত খুলে দেওয়ার নির্দেশনা দেন।