a
ফাইল ছবি
ইহুদিবাদী ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর অভিজ্ঞ জেনারেল আইজ্যাক ব্রিক বলেছেন, আগামীতে কোনো যুদ্ধে ইসরায়েল জিততে পারবে না। তিনি এ জন্য ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর অপেশাদারসুলভ আচরণকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, ইসরায়েলের বর্তমান সেনাবাহিনী দায়িত্ব পালনের বিষয়ে অনাগ্রহী এবং তাদের আচরণ সঠিক নয়।
তিনি আরও বলেছেন, 'সম্প্রতি আমি সেনাবাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট পরিদর্শন করেছি। সেখানে সেনাদের মধ্যে হতাশা, বিশৃঙ্খলা ও অনাগ্রহ দেখেছি। এই অবস্থার পরিবর্তন না হলে আগামীতে কোনো যুদ্ধেই জিততে পারবে না ইসরাইলিরা।'
সশস্ত্র বাহিনীতে যেসব সমস্যা ও ঘাটতি রয়েছে সেগুলো সমাধানে কর্মকর্তাদের আন্তরিকতার অভাব রয়েছে বলেও জানান এই কমান্ডার। তার মতে, আগামীতে ইসরায়েল কোনো যুদ্ধে জড়ালে সেনাবাহিনীতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি ঘটবে।
এর আগেও তিনি এ ধরণের সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন। এছাড়া সম্প্রতি ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেত এই অবৈধ রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সূত্র : পার্সটুডে।
ছবি: সংগৃহীত
মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় পড়তে যাচ্ছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) কুখ্যাত ইউনিট নেতজাহ ইয়েহুদা। ইহুদিবাদী এই বাহিনীর ওপর নিষেধাজ্ঞার পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পরিকল্পনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ইসরায়েল বলছে, তাদের সেনাদের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে চূড়ান্ত সীমা অতিক্রম করা।
এদিকে, নিষেধাজ্ঞার এই মার্কিন পরিকল্পনা নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি দাবি করেছেন, আইডিএফের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া উচিত হবে না। আমাদের সৈন্যরা সন্ত্রাসী দানবদের সঙ্গে লড়াই করছে।
ইসরায়েলি মন্ত্রী ইতামার বেন গভির এবং বেজালেল স্মোট্রিচও মার্কিন পরিকল্পনার নিন্দা জানিয়েছেন। গভির বলেন, আমাদের সেনাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা মানে চূড়ান্ত সীমা অতিক্রম করা।
ইসরায়েলি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে নেতজাহ ইয়েহুদার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। সূত্র : টাইমস অব ইসরায়েল।
সংগৃহীত ছবি
দেশে পাটকে সোনালী আশঁ বলা হলেও আন্তর্জাতিক বাজারে পাটের কদর কেমন জানা নেই। ছোট্টকালে পাট চাষাবাদ করতে দেখেছি। বর্ষাকালে এসব পাট ব্যবসায়ীরা নৌকা নিয়ে বাড়ী বাড়ী ঘুরতো, পাট কার, কত মন আছে জানতেন এবং দাম-দর করে কেনা-বেচা করতেন, বিশেষ করে শ্রাবন মাসে। আমাদের দেশে মাটি পাট চাষে বিশেষ উপযোগী হওয়ায় কৃষক এই পাট চাষ করে স্বাবলম্বী হতে পারেন।
বর্তমানে পাট চাষ তুলনামূলকভাবে কম হয়। কিছু কিছু চাষাবাদ হলেও সেগুলো শাক সবজি হিসেবেই বাজারে বেশি বিক্রি হয়। তবে পূর্বের ন্যায় এখন পাটের ব্যবহারও চোখে পড়ে না। গরু ছাগল বেধে রাখার কাজেও পাটের রশি তুলনামূলকভাবে ব্যবহার কম। এখন সেই স্থানটা দখল করে নিয়েছে লায়লন রশি। কি পরিবর্তন?
তবে ধানসহ অন্যান্য ফলন তুলনামূলকভাবে বাড়ছে, বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি ব্যবহার করে। জনসংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে দেশে কৃষি পণ্যের উৎপাদন বেড়েছে তাতে কোন সন্দেহ নেই। আমার জানা মতে, ১৯৭০ থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত ব্যাপকহারে পাট চাষ দেখেছি, বর্তমানে তা নেই।
কৃষিতে বাবা-চাচারা যে অনুপাত হারে ফসল পেয়েছেন, সে অনুপাত এখন প্রায় চার গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই অন্যান্য কৃষির পণ্যের ন্যায় সোনালী আঁশ পাটের উৎপাদন ও ব্যবহার সরকারি ও বেসরকারিভাবে উদ্যোগ নিলে দেশে হারানো গৌরব আবারও উদ্ধার করা যেমন সম্ভব হবে। পাশাপাশি বিদেশে এর ব্যাপক চাহিদা মেটাতে বহুমুখী উদ্যোগ গ্রহণ করলে আমাদের দেশে কৃষক সমাজ ন্যায্য মূল্য পেয়ে উপকৃত হবেন এবং পাট চাষে সবাই এগিয়ে আসবেন।