a
ফাইল ছবি
বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. নিজামুল হক। আজ সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে যে, তিন বছরের জন্য এ পদে নিয়োগ পেয়েছেন তিনি।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, 'দ্য প্রেস কাউন্সিল অ্যাক্ট, ১৯৭৪' এর সেকশন ৪(২) এবং সেকশন ৫(১) অনুযায়ী অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. নিজামুল হককে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে কর্ম-সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী ৩ বছর মেয়াদে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিসের চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ দেওয়া হলো।
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিল (ডিএসইসি)। একইসঙ্গে রোজিনাকে হেনস্থার ঘটনায় স্বাধীন নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানানো হয়েছে।
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে সাংবাদিক রোজিনার মুক্তি, মামলা প্রত্যাহার ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে এসব দাবি জানান সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সংগঠনের সভাপতি মামুন ফরাজীর সভাপতিত্বে ও দফতর সম্পাদক মনির আহমাদ জারিফ পরিচালনায় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি মোল্লা জালাল, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আবদুল মজিদ, মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন, কোষাধ্যক্ষ দীপ আজাদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, কাদের গণি চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম তপু, শহিদুল ইসলাম, ডিইউজের কোষাধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলাম, ডিইউজের যুগ্ম সম্পাদক খাইরুল আলম, দফতর সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস, নাসিমা সোমা, আল মামুন প্রমুখ।
মানববন্ধনে বিএফইউজে’র সভাপতি মোল্লা জালাল বলেন, আমরা আশা করি, রোববার সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে নিঃশর্তভাবে মুক্তি দেওয়া হবে। তা না হলে নো রিটার্ন হোম আন্দোলন শুরু করা ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না। আমাদের আর পেছনে ফেরার কোনো সুযোগ নেই।
ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের সভাপতি মামুন ফরাজী বলেন, সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। সচিবালয়ের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা যারা রোজিনাকে হেনস্ত করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
মানববন্ধনে সব ভেদাভেদ ভুলে অধিকার আদায়ে সাংবাদিকদের জাতীয় ঐক্যের উপর গুরুত্বারোপ করা হয়। এ ছাড়া সাংবাদিক নিপীড়ন-নির্যাতনে ব্যবহার হওয়া সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টসহ সকল কালাকানুন বাতিলের দাবি করা হয়।
ফাইল ছবি
যুক্তরাজ্যে গত তিন দিনে ৩ বাংলাদেশি খুনের ঘটনায় কমিউনিটিতে বিরাজ করছে আতঙ্ক ও উৎকণ্ঠা। এখন পর্যন্ত এ ঘটনার জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এ অবস্থায় অপরাধীদের শাস্তির দাবিতে সোচ্চার বাংলাদেশির কমিউনিটির লোকজন। যুক্তরাজ্যে ৩ বাংলাদেশি নিহত, উৎকণ্ঠা ও আতঙ্ক সোয়েব কবীর। দেশে ফেরা হলোনা ২০ বছর পর স্থায়ী হওয়া বাংলাদেশি শেফ সেলিম উদ্দিনের।
ব্যারিস্টার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে ব্রিটেনে এসে প্রাণ গেল পঞ্চগড়ের ফাহাদ হোসেনের। আর রহস্যজনকভাবে মর্মান্তিক মৃত্যুর শিকার হন ব্রিটিশ বাংলাদেশি স্কুল শিক্ষিকা সাবিনা নেছার। যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শহরে একদিনের ব্যবধানে তিন বাংলাদেশি খুন হয়েছেন।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার স্কটল্যান্ডে রেস্তোরাঁর শেফ সেলিম উদ্দিন, ১৮ সেপ্টেম্বর ব্রিস্টলে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ফাহাদ হোসেন ও লন্ডনে ২৮ বছর বয়সী স্কুল শিক্ষিকা সাবিনা নেছার খুন হন। এসব ঘটনায় ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। তিন বাংলাদেশি খুনের ঘটনার মধ্যে স্কুল শিক্ষিকা সাবিনা নেছার রহস্যজনক মৃত্যুতে কমিউনিটিতে গভীর উদ্বেগ ও উৎকন্ঠা সৃষ্টি হয়েছে। খুনের এখনো কোন কূলকিনারা করতে পারেনি লন্ডন পুলিশ। তার গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার দাওরাই গ্রামে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার বিকালে সাউথ ইস্ট লন্ডনের কিডব্রুক এলাকার ক্যাটর পার্কে একটি কমিউনিটি সেন্টারের পাশে সাবিনার মৃতদেহ পাওয়া যায়। তবে তার লাশ শনাক্ত হয় সোমবার বিকালে। তিনি লুইশাম রাশিগ্রিন প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষিকা ছিলেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে।
এখন পর্যন্ত খুনি সন্দেহে ৪১ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সাবিনার মৃত্যুর ঘটনায় কমিউনিটিতে বেশ উৎকন্ঠা সৃষ্টি হয়েছে। মৃত্যুর ঘটনায় বাঁকরুদ্ধ সাবিনার পরিবার। কমিউনিটি নেতারাও স্বোচ্ছার হচ্ছেন এই ঘটনায়। কমিউনিটি নেতা কে এম আবু তাহের বলেন, সামিনার নিহতের ঘটনায় বাংলাদেশি কমিউনিটিতে বেশ উৎকণ্ঠার সৃষ্টি হয়েছে। এ হত্যার ঘটনায় তার পুরোপুরি বিপর্যস্ত। তিনি ছিল খুবই মেধাবী ও পরোপকারী। সবাই তার জন্য আফসোস করছেন। মানবাধিকার কর্মী আ.স.ম মাসুম, এসব হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আমরা আন্দোলন করে প্রতিবাদ জানাব।
কথা কাটাকাটির জের ধরে সহকর্মীর ছুরিকাঘাতে নিহত স্কটল্যান্ডে রেস্টুরেন্টের শেফ ৩৬ বছর বয়সী সেলিম উদ্দিনের বাড়ি সিলেটের বিয়ানীবাজার পৌরসভার ফতেহপুর গ্রামে। ব্রিস্টলে খুন হওয়া ফাহাদ হোসেন ব্যারিস্টারি পড়তে আসেন লন্ডনে। পঞ্চগড়ের পুর্বাজালাসি এলাকার নাজমুল প্রামানিকের একমাত্র ছেলে ফাহাদ বাংলাদেশে ভূইয়া একাডেমিতে পড়াশুনা করছিলেন।