a বিচারপতি নিজামুল হক বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের নতুন চেয়ারম্যান
ঢাকা শুক্রবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

বিচারপতি নিজামুল হক বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের নতুন চেয়ারম্যান


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক:
সোমবার, ১১ অক্টোবর, ২০২১, ০৪:৫৮
বিচারপতি নিজামুল হক বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের নতুন চেয়ারম্যান

ফাইল ছবি

বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. নিজামুল হক। আজ সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে যে, তিন বছরের জন্য এ পদে নিয়োগ পেয়েছেন তিনি। 

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, 'দ্য প্রেস কাউন্সিল অ্যাক্ট, ১৯৭৪' এর সেকশন ৪(২) এবং সেকশন ৫(১) অনুযায়ী অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. নিজামুল হককে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে কর্ম-সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী ৩ বছর মেয়াদে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিসের চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ দেওয়া হলো।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

মুক্তিযুদ্ধের চেতনাই সাংবাদিক ঐক্যের মূল সোপান


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
মঙ্গলবার, ২২ জুন, ২০২১, ১১:৪১
মুক্তিযুদ্ধের চেতনাই সাংবাদিক ঐক্যের মূল সোপান

সংগৃহীত ছবি

মুত্তিযুুদ্ধের চেতনা, পেশাদ্বারিত্ব ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে বর্তমানকে পর্যবেক্ষন করে ভবিষৎ সর্ম্পকে সম্মুখ ধারনা পোষণ করা বা উপলব্ধি করা সাংবাদিকদের নৈতিক দায়িত্ব। সাংবাদিক নির্যাতন দিবস পালন অনুষ্ঠানে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন আয়োজিত আজ ২১ জুন সাংবাদিক নির্যাতন দিবস অনুষ্ঠানে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন মিলনায়তনে এসব কথা বলেন।

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কদ্দুস অফ্রাদের সভাপতিত্বে ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপুু’র সঞ্চালনায় সাংবাদিক নির্যাতন দিবস পালন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি ইকবাল সোবাহান চেৌধুরী ও সাবেক বিএফইউজের সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুুলসহ জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াছমিন এবং ওমর ফারুক ।

অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আবদুুল মজিদ ও বঙ্গবন্ধু সাংবাদিক পরিষদের সদস্য সচিব মুহাম্মদ আবুু সাঈদ (বিএসএস) এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খাইরুল আলম, জাতীয় প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ, শাহেদ চৌধুরীসহ ডিইউজের অন্যান্য নেতৃবৃৃন্দ।

এসময় সাংবাদিক নেতা ইকবাল সোবাহান চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানী রাজাকার বাহিনী সাংবাদিকদের উপর হামলা চালিয়ে বর্বর নির্যাতন ও হত্যাকান্ড চালিয়ে ছিল। সেই একইভাবে ১৯৯২ সালের ২১ জুন আজকের এই দিনে তৎকালীন সরকারের মদত পুুষ্ট পুুলিশ যেভাবে সাংবাদিকদের উপর হামলা করে আহত করেছিল তা একাত্তরের পূন:রাবৃত্তি যা স্বাধীন দেশ হিসেবে এটি কাম্য নয়। 

তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার মুত্তিযুদ্ধের চেতনার সরকার এবং সাংবাদিক বান্ধব সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকল ক্ষেত্রে সচ্ছতা ফিরিয়ে আনতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন, তারই ধারাবাহিকতায় সাংবাদিক এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সচ্ছতা ফিরিয়ে আনতে নানাবিধ কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন আশা করি তা খুব দ্রুত বাস্তবায়ন হবে। তাই সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং পেশাদ্বারিত্ব ফিরিয়ে আনতে হবে।

অপর এক বক্তব্যে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল বলেন, সাংবাদিকতা শিক্ষিত মানুষের পেশা, আর ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন পেশাদারিত্বের সংগঠন। এই সংগঠনের যে নেতা হয়ে আসবে তাকে ইউনিয়নের কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে হবে। তার পাশাপাশি ইতিহাস সম্পর্কে সম্মুখ ধারণা থাকতে হবে এবং পেশাদারিত্ব ফিরিয়ে আনতে সাংবাদিককে পেশাদার হতে হবে। আমরা যদি সক্রিয় হই তাহলে ইউনিয়নকে কেউ বিক্রি করতে পারবে না। 

এসময় জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, জাতীয় প্রেসক্লাবে ঢুকে সাংবাদিকদের উপর হামলা করে ৫০ জন সাংবাদিককে আহত করা হয়েেছে এটি লজ্জাস্কর। 

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সংগ্রামী সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ সভাপতির বক্তব্যে বলেন, যে সময়ের ঘটনা তখন আমি তরুণ রিপোর্টার পার্লামেন্টে ছিলাম। তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ২১শে জুনের হামলার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, অন্ধকারে সাংবাদিকদের দেখে নাই। 

তিনি আরও বলেন, তৎকালীন সাংবাদিকদের উপর হামলার যে তদন্ত হয়েছিল তা প্রকাশ করার জন্য ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে স্বারকলিপি দেয়া হবে যাতে করে গণসম্মুখে এটি প্রকাশ করা হয়। আজকের এই সাংবাদিক নির্যাতন হামলা দিবসটি সারা দেশে পালিত হচ্ছে। আগামীতে দিবসটি ব্যাপকভাবে পালন করা হবে। 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

নিম্নোক্তভাবে বস্তায় আদা চাষ করে নিজ পরিবারের চাহিদা মেটাতে পারবেন


খোরশেদ, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
শুক্রবার, ০১ নভেম্বর, ২০২৪, ০৮:২৮
নিম্নোক্তভাবে বস্তায় আদা চাষ করে নিজ পরিবারের চাহিদা মেটাতে পারবেন

ছবি সংগৃহীত: বস্তায় আদা চাষ

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক: বাড়ির আশে পাশে খালি জায়গায় বা ছাদে বস্তায় আদা চাষ করতে নিম্নের ব্যবস্থাগুলো নিতে হবে:

উপযুক্ত মাটিঃ আদা চাষের জন্য উচু জায়গা ও জৈব সার সমৃদ্ধ দোঁআশ ও বেলে দোঁআশ মাটি সবথেকে উত্তম।

* বস্তায় আদা লাগানোর সময়ঃ বস্তায় আদা চাষের জন্য এপ্রিল-মে মাসে আদা রোপন করতে হয়।তবে এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে উপযুক্ত সময়।

* বস্তায় আদা লাগানোর স্থানঃ বসতবাড়িতে বা বাগানে ৩০%-৪০% ছায়াযুক্ত স্থানে আদা ভালো হয়। সম্পূর্ণ ছায়া বা আলোতে আদা ভালো হয় না৷ তাই দিনের ২/৩ ভাগ আলো আসে এরকম জায়গায় বস্তা রাখতে হবে।

* আদার জাত নির্বাচনঃ বস্তায় চাষের জন্য জনপ্রিয় জাত
বারি আদা_১ ও
বারি আদা_২  
বাংলাদেশ মসলা গবেষণা কেন্দ্র, শিবগঞ্জ, বগুড়া থেকে আদার বীজ ক্রয় করতে পারেন। প্রচলিত বাজার থেকে বীজ কিনে বস্তায় আদা চাষ করা উচিত না।

* আদার কন্দের সাইজ নির্বাচনঃ মাটি তৈরি হয়ে গেলে বস্তায় রোপনের জন্যে ৪০-৫০ গ্রাম সাইজেট আদার কন্দ প্রয়োজন।

* বীজ শোধনঃ আদার কন্দ লাগানোর আগে কার্বোডাজিম গ্রুপের ছত্রাকনাশক প্রতি লিটার পানিতে ৩ গ্রাম হারে মিশিয়ে নিয়ে এক কেজি আদার কন্দ শোধন করে নিতে হবে। শোধনের পর কন্দগুলো সাথে সাথে রোপন করা যাবে না কমপক্ষে একঘণ্টা ছায়ায় রেখে শুকিয়ে নিতে হবে। রোদে শুকানো যাবে না

* মাটি প্রস্তুতঃ বস্তায় আদা চাষের জন্য আদার কন্দ রোপনের ১৫ দিন আগে মাটি ও সার প্রস্তুত করতে হবে।

* মাটি তৈরিঃ আদা কন্দ বা রাইজোম জাতীয় মসলা ফসল তাই মাটি যত নরম ও ঝড়ঝড়ে হবে তত ভালো।  এতে রাইজম সহজেই মাটির নিচে বড় হতে পারে।  শক্ত মাটিতে আদার ফলন কম হয় কারণ মাটি শক্ত হওয়ায় রাইজোম বড় হতে পারে না।

বস্তা নির্বাচনঃ বস্তায় আদা চাষের জন্য বস্তা সিমেন্টের বস্তা আদা চাষের জন্য উত্তম। একটি সিমেন্টের ব্যাগ কেটে দুইটি করে আদার বস্তা হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে বস্তার খরচ ৫০% কমে যাবে। প্রতি বস্তার জন্য ঝুর ঝুরে পরিস্কার

১। মাটি ১৫ কেজি
২। পঁচা গোবর ৫-৬ কেজি
৩। টিএসপি ২০ গ্রাম
৪। এমওপি (পটাশ) ১০ গ্রাম
৫। জিপসাম ১০ গ্রাম
৬। জিংক ৫ গ্রাম
৭। বোরন ৫ গ্রাম
৮। দানাদার কীটনাশক ১০ গ্রাম
৯। কাঠের গুড়া ১ কেজি
১০। ছাই ১ কেজি (সম্ভব হলে)
১১। ভার্মিকম্পোষ্ট ১ কেজি (সম্ভব হলে)
১২। বালু ১ কেজি (বেলে দোআঁশ মাটি হলে দরকার নেই)
 
মাটি মিশ্রণ বা তৈরি পদ্ধতিঃ সমস্ত সার মাটি দানাদার কীটনাশক, কাঠের গুড়া বালু ভালোভাবে মিশিয়ে ১২-১৫ দিন কালো পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। ১২-১৫ দিন পর পলিথিন উঠিয়ে মাটি উল্টাপাল্টা করে কমপক্ষে ২৪ ঘন্টা রেখে দিতে হবে। তার পর বস্তায় ভরে ২-৩ দিন রেখে আদার বীজ বপন করতে হবে।

বস্তায় সার মিশ্রিত মাটি ভরাটঃ বস্তায় সার মিশ্রিত মাটি এমন ভাবে ভর্তি করতে হবে যাতে বস্তার উপরের অংশ ২-৩ ইঞ্চি ফাঁকা থাকে।

* বস্তা স্থাপন পদ্ধতিঃ বৃষ্টির পানি জমাট বাধে না এমন যায়গায় সারিতে ৮-১০ ইঞ্চি পর পর পাশাপাশি ২ টি বস্তা স্থাপন করতে হবে। মাঝ খান দিয়ে চলাচলের জন্য রাস্তা রাখতে হবে যাতে সহজে চলাফেরা করা যায় এবং আন্তপরিচর্যা করতে সুবিধা হয়।

* আদা কন্দ রোপনের গভীরতাঃ আদার বীজ মাটির ভিতরে ৪ থেকে ৫ ইঞ্চি গভীরে লাগাতে হবে। বীজ লাগানোর পর মাটি দ্বারা ঢেকে দিতে হবে।

* আগাছাঃ বস্তায় আদা চাষে তমন কোন আগাছা হয় না। যদি আগাছা দেখা যায় তাহলে হাত দিয়ে নিড়ানি দিয়ে গোড়া পরিস্কার রাখতে হবে।

* সেচ প্রয়োগঃ বৃষ্টি না হলে হালকা ছিটানো পানি দিতে হবে।  

পানি নিষ্কাশনঃ মাটি ভরাটের আগে বস্তার নিচে, সাইডে ৪-৫ টি ফুটা করে দিতে হবে যাতে অতিবৃষ্টিতে বস্তায় পানি জমে না থাকে।
 
*সার প্রয়োগ:  
প্রথম কিস্তিঃ আদার কন্দ রোপনের ৫০ দিন পরে বস্তা প্রতি ১০ গ্রাম ইউরিয়া ও ৫ গ্রাম এমওপি একত্রে প্রয়োগ করতে হবে।

দ্বিতীয় কিস্তিঃ আদার কন্দ রোপনের ৮০ দিন পরে বস্তা প্রতি ইউরিয়া ৫ গ্রাম পটাশ ৫ গ্রাম হারে গাছের চারি পশে ছিটিয়ে দিয়ে মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে।

তৃতীয় কিস্তিঃ আদার কন্দ রোপনের ১১০ দিন পরে ইউরিয়া ৫ গ্রাম পটাশ সার ৫ গ্রাম হারে মিশিয়ে প্রয়োগ করতে হবে
 
* আদা উত্তোলনঃ জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারী মাসে তোলা যায়। আদার পাতা হলুদ হয়ে আসলে আদার পরিপক্ক হয়ে যায়।

* ফলনঃ উপযুক্ত পরিচর্যায় প্রতি বস্তায় ১-৩ কেজি পর্যন্ত আদা পাওয়া যায়। এছাড়াও রোগবালাইয়ের আক্রমণ দেখা গেলে আপনার নিকটস্থ উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা /উপজেলা কৃষি অফিসে যোগাযোগ করে পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর জনপ্রিয়

সর্বশেষ - গণমাধ্যম