a মুক্তিযুদ্ধের চেতনাই সাংবাদিক ঐক্যের মূল সোপান
ঢাকা সোমবার, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

মুক্তিযুদ্ধের চেতনাই সাংবাদিক ঐক্যের মূল সোপান


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
মঙ্গলবার, ২২ জুন, ২০২১, ১১:৪১
মুক্তিযুদ্ধের চেতনাই সাংবাদিক ঐক্যের মূল সোপান

সংগৃহীত ছবি

মুত্তিযুুদ্ধের চেতনা, পেশাদ্বারিত্ব ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে বর্তমানকে পর্যবেক্ষন করে ভবিষৎ সর্ম্পকে সম্মুখ ধারনা পোষণ করা বা উপলব্ধি করা সাংবাদিকদের নৈতিক দায়িত্ব। সাংবাদিক নির্যাতন দিবস পালন অনুষ্ঠানে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন আয়োজিত আজ ২১ জুন সাংবাদিক নির্যাতন দিবস অনুষ্ঠানে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন মিলনায়তনে এসব কথা বলেন।

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কদ্দুস অফ্রাদের সভাপতিত্বে ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপুু’র সঞ্চালনায় সাংবাদিক নির্যাতন দিবস পালন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি ইকবাল সোবাহান চেৌধুরী ও সাবেক বিএফইউজের সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুুলসহ জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াছমিন এবং ওমর ফারুক ।

অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আবদুুল মজিদ ও বঙ্গবন্ধু সাংবাদিক পরিষদের সদস্য সচিব মুহাম্মদ আবুু সাঈদ (বিএসএস) এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খাইরুল আলম, জাতীয় প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ, শাহেদ চৌধুরীসহ ডিইউজের অন্যান্য নেতৃবৃৃন্দ।

এসময় সাংবাদিক নেতা ইকবাল সোবাহান চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানী রাজাকার বাহিনী সাংবাদিকদের উপর হামলা চালিয়ে বর্বর নির্যাতন ও হত্যাকান্ড চালিয়ে ছিল। সেই একইভাবে ১৯৯২ সালের ২১ জুন আজকের এই দিনে তৎকালীন সরকারের মদত পুুষ্ট পুুলিশ যেভাবে সাংবাদিকদের উপর হামলা করে আহত করেছিল তা একাত্তরের পূন:রাবৃত্তি যা স্বাধীন দেশ হিসেবে এটি কাম্য নয়। 

তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার মুত্তিযুদ্ধের চেতনার সরকার এবং সাংবাদিক বান্ধব সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকল ক্ষেত্রে সচ্ছতা ফিরিয়ে আনতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন, তারই ধারাবাহিকতায় সাংবাদিক এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সচ্ছতা ফিরিয়ে আনতে নানাবিধ কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন আশা করি তা খুব দ্রুত বাস্তবায়ন হবে। তাই সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং পেশাদ্বারিত্ব ফিরিয়ে আনতে হবে।

অপর এক বক্তব্যে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল বলেন, সাংবাদিকতা শিক্ষিত মানুষের পেশা, আর ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন পেশাদারিত্বের সংগঠন। এই সংগঠনের যে নেতা হয়ে আসবে তাকে ইউনিয়নের কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে হবে। তার পাশাপাশি ইতিহাস সম্পর্কে সম্মুখ ধারণা থাকতে হবে এবং পেশাদারিত্ব ফিরিয়ে আনতে সাংবাদিককে পেশাদার হতে হবে। আমরা যদি সক্রিয় হই তাহলে ইউনিয়নকে কেউ বিক্রি করতে পারবে না। 

এসময় জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, জাতীয় প্রেসক্লাবে ঢুকে সাংবাদিকদের উপর হামলা করে ৫০ জন সাংবাদিককে আহত করা হয়েেছে এটি লজ্জাস্কর। 

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সংগ্রামী সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ সভাপতির বক্তব্যে বলেন, যে সময়ের ঘটনা তখন আমি তরুণ রিপোর্টার পার্লামেন্টে ছিলাম। তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ২১শে জুনের হামলার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, অন্ধকারে সাংবাদিকদের দেখে নাই। 

তিনি আরও বলেন, তৎকালীন সাংবাদিকদের উপর হামলার যে তদন্ত হয়েছিল তা প্রকাশ করার জন্য ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে স্বারকলিপি দেয়া হবে যাতে করে গণসম্মুখে এটি প্রকাশ করা হয়। আজকের এই সাংবাদিক নির্যাতন হামলা দিবসটি সারা দেশে পালিত হচ্ছে। আগামীতে দিবসটি ব্যাপকভাবে পালন করা হবে। 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

সাংবাদিক রোজিনার মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ডিএসইসির মানববন্ধন


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
রবিবার, ২৩ মে, ২০২১, ০৯:১৫
সাংবাদিক রোজিনার মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ডিএসইসির মানববন্ধন

ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

 

সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিল (ডিএসইসি)। একইসঙ্গে রোজিনাকে হেনস্থার ঘটনায় স্বাধীন নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানানো হয়েছে।

শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে সাংবাদিক রোজিনার মুক্তি, মামলা প্রত্যাহার ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে এসব দাবি জানান সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

সংগঠনের সভাপতি মামুন ফরাজীর সভাপতিত্বে ও দফতর সম্পাদক মনির আহমাদ জারিফ পরিচালনায় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি মোল্লা জালাল, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আবদুল মজিদ, মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন, কোষাধ্যক্ষ দীপ আজাদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, কাদের গণি চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম তপু, শহিদুল ইসলাম, ডিইউজের কোষাধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলাম, ডিইউজের যুগ্ম সম্পাদক খাইরুল আলম, দফতর সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস, নাসিমা সোমা, আল মামুন প্রমুখ।

মানববন্ধনে বিএফইউজে’র সভাপতি মোল্লা জালাল বলেন, আমরা আশা করি, রোববার সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে নিঃশর্তভাবে মুক্তি দেওয়া হবে। তা না হলে নো রিটার্ন হোম আন্দোলন শুরু করা ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না। আমাদের আর পেছনে ফেরার কোনো সুযোগ নেই।

ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের সভাপতি মামুন ফরাজী বলেন, সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। সচিবালয়ের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা যারা রোজিনাকে হেনস্ত করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। 

মানববন্ধনে সব ভেদাভেদ ভুলে অধিকার আদায়ে সাংবাদিকদের জাতীয় ঐক্যের উপর গুরুত্বারোপ করা হয়। এ ছাড়া সাংবাদিক নিপীড়ন-নির্যাতনে ব্যবহার হওয়া সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টসহ সকল কালাকানুন বাতিলের দাবি করা হয়।
 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

পোল্যান্ডের যুদ্ধবিমান ইউক্রেনে পাঠালে রাশিয়ার ধাক্কা সামলাবে কে?


খোরশেদ আলম, ‍মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
মঙ্গলবার, ০৮ মার্চ, ২০২২, ০৮:৫৯
পোল্যান্ডের যুদ্ধবিমান ইউক্রেনে পাঠালে রাশিয়ার ধাক্কা সামলাবে কে?

ফাইল ছবি

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালিয়ে আসছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পরাশক্তি রাশিয়া এবং অভিযানের আজ ত্রয়োদশতম দিন। ইতোমধ্যে ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি নগরীসহ সামরিক স্থাপনা দখলে নিয়েছে রুশ সৈন্যরা। এতে করে দেশটির বিভিন্ন জায়গায় সামরিক-বেসামরিক হতাহত হয়েছে অনেকে।

এদিকে রাশিয়া দাবি করছে ইউক্রেনে তাদের সামরিক অভিযানের অর্থ যুদ্ধ নয়। বরং বিশ্বব্যাপী একটি সম্ভাব্য যুদ্ধ এড়াতে এই অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। পুতিন আরও বলেন, ইউক্রেনকে নাৎসিমুক্ত করা, দেশটির নিরস্ত্রিকরণ ও ন্যাটো জোটে ইউক্রেনের অন্তর্ভুক্তি প্রতিহত করাই এই অভিযানের লক্ষ্য।

উল্লেখ্য, রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের শুরু থেকে ইউরোপ, ন্যাটোসহ বিভিন্ন দেশ থেকে ইউক্রেন সামরিক সাহায্যের আবেদন করলেও তারা সেভাবে সহযোগিতা পায়নি। ন্যাটো, ইউরোপ, আমেকিাসহ প্রতিটি দেশ তাদের সৈন্যদের নিরাপদ অবস্থানে রেখে কৌশলে তারা ইউক্রেনকে জানিয়ে দিয়েছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যু্দ্ধে অংশগ্রহণ করবেনা।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সৈন্য, যুদ্ধ-বিমান, নো-ফ্লাই জোনসহ নানাবিধ সাহায্য চেয়ে বার বার বিফল হয়েছে। ইউরোপসহ, আমেকিার রাষ্ট্র প্রধানরা জানিয়ে দিয়েছেন রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনে সৈন্য বা সামরিক বিমান পাঠালে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের রূপ নিতে পারে বলে নিজেদের নিরাপদে রাখার চেষ্টা করেছে। ফ্রান্স, জার্মানসহ বেশ কয়েকটি দেশ আমেরিকার কূটনৈতিক চাল থেকে নিজেদের কৌশলগত স্বতন্ত্র অবস্থানে রাখার সর্বদায় চেষ্টা করে আসছে এবং তারা ঘন্টার পর ঘন্টা পুতিনের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে নিজেদের মধ্যস্থতাকারী হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা করেছেন।

জেলেনস্কি বার বার ইউক্রেনের আকাশসীমা সুরক্ষার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে আসছেন ন্যাটো ও আমেরিকার কাছে কিন্তু সেসব দেশ সেভাবে সাড়া দেয়নি। ইদানিং ইউক্রেনে পোল্যান্ডের যুদ্ধবিমান পাঠাতে বাইডেন প্রশাসনকে চাপ দিচ্ছেন মার্কিন আইনপ্রণেতারা। তাদের যুক্তি ইউক্রেনে পোল্যান্ডের যুদ্ধবিমান পাঠিয়ে বিনিময়ে ওয়ারশতে ন্যাটোর বিমান সরবরাহ করতে বলা হয়েছে।

পোল্যান্ডে সোভিয়েত আমলের বিপুল সংখ্যক বিমান মজুদ আছে। আর ইউক্রেনের পাইলটরা এসব যুদ্ধবিমান ওড়াতে পারে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও এসব বিমান চেয়ে আসছেন। সূত্র: বিবিসি

পোল্যান্ড এখনও ইউক্রেনে যুদ্ধবিমান পাঠানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি। যুক্তরাষ্ট্র কূটনৈতিক চালে বলেছে, ইউক্রেনে বিমান পাঠানো হবে কি হবে না, সেটার সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার পোল্যান্ডেরই।

এদিকে বিশ্লেষকদের ধারণা, পোল্যান্ড এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে বসলে তা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ক্ষেপিয়ে তুলতে পারে এবং সীমান্তবর্তী দেশ দুটোর মধ্যে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়তে পারে।

অতি উৎসাহী মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষের বৈদেশিক সম্পর্ক বিভাগের শীর্ষ আইনপ্রণেতা সেনেটর বব মেন্ডেজ যুক্তরাষ্ট্র সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, পোল্যান্ড যদি কিইভে বিমান পাঠায় সে ক্ষেত্রে তাদের খালি হয়ে যাওয়া বহর ওয়াশিংটন থেকে অত্যাধুনিক বিমান পাঠিয়ে পূরণ করতে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, মার্কিন কংগ্রেসের এসব সিদ্ধান্ত যদি মার্কিন সরকার মিত্র দেশগুলোকে নিয়ে গ্রহণ করে তাহলে তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধের আশংকা থেকেই যায়।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি গত শুক্রবার আবারও যুক্তরাষ্ট্রের আইন প্রণেতাদের কাছে তার দেশের আকাশসীমায় ‘নৌ-ফ্লাই জোন’ ঘোষণার আহ্বান জানিয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি রাশিয়ার ওপর আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের অনুরোধ জানান। এসব দেশ জেলেনস্কির বার বার অনুরোধ কিভাবে রক্ষা করবেন, ভবিষ্যতেই তা দেখার বিষয়।

অপরপক্ষে, রাশিয়ার মিত্র দেশগুলো এখনও নিশ্চুপ থাকলেও কখন তারা কি করে বসবে এই মূহুর্তে বলা যাচ্ছে না। আমেরিকার সাথে ইরানের যে দফারফা তা অমীমাংসাই রয়ে গেছে। চীন, ইরান, উত্তর কোরিয়াসহ আমেরিকা বিরোধী দেশগুলো কখন কোথায় ইউক্রেনের ন্যায় নতুন সমস্যা সৃষ্টি করে তা হয়তোবা সময় বলে দেবে।

ইতিমধ্যে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেছেন, রাশিয়ার সাথে চীনের বন্ধুত্ব ‘পাথরের মতো শক্ত’। ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার নিন্দা করতে বা এটিকে আগ্রাসন বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে চীন। সেই সাথে পশ্চিমা দেশগুলোকে রাশিয়ার ‘বৈধ নিরাপত্তা উদ্বেগ’কে সম্মান জানাতে বলেছে দেশটি। ‘এক দিনে ৩ ফুট বরফ জমে না’ উল্লেখ করে ওয়াং ই বলেন, ‘ইউক্রেন পরিস্থিতির কারণগুলো জটিল এবং রাতারাতি ঘটেনি।’

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনি বলেন, ‘যে কোনো সংকটের সমাধান’ এর ‘মূল কারণের’ মধ্যে নিহিত। ইউক্রেন সংকটের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররাই দায়ী। ইউক্রেনের নাগরিকরা যুক্তরাষ্ট্রের নীতির কারণে ‘ভুক্তভোগী’।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আরও বলেন, ইউক্রেনকে বর্তমানের অবস্থায় ঠেলে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে, সেখানে বিপ্লব ঘটিয়ে এবং এক সরকারের পতন করে অন্য সরকারকে ক্ষমতায় বসিয়ে ইউক্রেনকে এ পরিস্থিতিতে টেনে আনে ওয়াশিংটন। খবর আনাদোলুর।

খামেনি বলেন, ইউক্রেন সংকট থেকে শিক্ষা নেওয়ার অনেক কিছু রয়েছে। তিনি বলেন, যদি ইউক্রেনের নাগরিকরা সরকারকে সমর্থন দিত তবে পরিস্থিতি ভিন্ন হতো। যুক্তরাষ্ট্র একটি ‘মাফিয়া সাম্রাজ্য’, ইউক্রেন সে সাম্রাজ্যের নীতির কারণে ‘ভুক্তভোগীতে’ পরিণত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বেঁচেই আছে সংকট তৈরির মাধ্যমে। যদি যুক্তরাষ্ট্র উত্তেজনা না বাড়ায় তবে তাদের অস্ত্র খাত বিকশিত হতে পারবে না।

উত্তর কোরিয়া ইউক্রেন সংকটের মূল কারণ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রকে চিহ্নিত করেছে। গত রোববার বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে ইউক্রেন ইস্যুতে একটি ‘ভাষ্য’ পোস্ট করা হয়েছে। এতে জনৈক রি জি সংয়ের নামে লেখা ভাষ্যটিতে বলা হয়, এ বিপর্যয়ের জন্য দায়ী যুক্তরাষ্ট্র।

শনিবার পোস্ট করা ভাষ্য অনুযায়ী, রাশিয়ার নিরাপত্তাসংক্রান্ত বৈধ দাবিকে উপেক্ষা করে সামরিক আধিপত্যের চেষ্টা করেছে ওয়াশিংটন। এতে বলা হয়, ইউক্রেন সংকটের মূল কারণটিও যুক্তরাষ্ট্রের উচ্ছৃঙ্খলতা ও স্বেচ্ছাচারিতার মধ্যে নিহিত রয়েছে।

নর্থস সোসাইটি ফর ইন্টারন্যাশনাল পলিটিকস স্টাডির গবেষক রি জি সংয়ের নামে প্রকাশ করা ভাষ্য ‘ডবল স্ট্যান্ডার্ড’ ভূমিকা বজায় রাখার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করে।

ভাষ্যে বলা হয়, শান্তি ও স্থিতিশীলতার নামে অন্যান্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র হস্তক্ষেপ করেছে। অথচ তারাই আবার অন্য দেশগুলোর নেওয়া কোনো সংগত আত্মরক্ষামূলক পদক্ষেপের নিন্দা করে।

উল্লেখ্য, চীন, কোরিয়া ও ইরান প্রকারন্তরে রাশিয়ার পক্ষেই কথা বলার চেষ্টা করেছে এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ এর মিত্র দেশগুলোর কঠোর সমালোচনা করেছে। তাই এসব দেশগুলোর সীমান্তে বা বিভিন্ন দ্বীপ নিয়ে যে সমস্যাগুলো রয়েছে এবং সেসব জায়গায় যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি ভূমিকা রয়েছে, তারা সুযোগ বুঝে সেখানে ঝামেলা পাকাতে পারে। আমেরিকা মিত্র দেশগুলোকে নিয়ে ইউক্রেন ইস্যুতে ব্যস্ত থাকায় রাশিয়ার মিত্রদেশগুলো সময়ে সহজেই তাদের কাংখিত উদ্দেশ্য হাসিল করতে পারবে।

আর যুক্তরাষ্ট্র আক্রান্ত দেশগুলোর পাশে দাঁড়াতে গেলে ইউক্রেন যুদ্ধে বর্তমানে রাশিয়া বিরোধী যে শিবির তা অনেকটা ঢিলেঢালা হলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে পোল্যান্ডসহ পার্শ্ববর্তী দেশগুলো যারা রাশিয়াবিরোধী অবস্থান নিয়ে অস্ত্র, গোলাবারুদ ও যুদ্ধ বিমান পাঠিয়ে রাশিয়াকে নাস্তানুবাদ করার চেষ্টা করছে, তাদের পরিণতিও যদি ইউক্রেনের ন্যায় হয় তবে সেই ধাক্কা সামলাবে কে?

 

লেখক: মোহা: খোরশেদ আলম, কলাম লেখক, ঢাকানিউজ২৪ ও মুক্তসংবাদ প্রতিদিন।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - গণমাধ্যম