a
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিল (ডিএসইসি)। একইসঙ্গে রোজিনাকে হেনস্থার ঘটনায় স্বাধীন নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানানো হয়েছে।
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে সাংবাদিক রোজিনার মুক্তি, মামলা প্রত্যাহার ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে এসব দাবি জানান সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সংগঠনের সভাপতি মামুন ফরাজীর সভাপতিত্বে ও দফতর সম্পাদক মনির আহমাদ জারিফ পরিচালনায় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি মোল্লা জালাল, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আবদুল মজিদ, মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন, কোষাধ্যক্ষ দীপ আজাদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, কাদের গণি চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম তপু, শহিদুল ইসলাম, ডিইউজের কোষাধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলাম, ডিইউজের যুগ্ম সম্পাদক খাইরুল আলম, দফতর সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস, নাসিমা সোমা, আল মামুন প্রমুখ।
মানববন্ধনে বিএফইউজে’র সভাপতি মোল্লা জালাল বলেন, আমরা আশা করি, রোববার সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে নিঃশর্তভাবে মুক্তি দেওয়া হবে। তা না হলে নো রিটার্ন হোম আন্দোলন শুরু করা ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না। আমাদের আর পেছনে ফেরার কোনো সুযোগ নেই।
ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের সভাপতি মামুন ফরাজী বলেন, সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। সচিবালয়ের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা যারা রোজিনাকে হেনস্ত করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
মানববন্ধনে সব ভেদাভেদ ভুলে অধিকার আদায়ে সাংবাদিকদের জাতীয় ঐক্যের উপর গুরুত্বারোপ করা হয়। এ ছাড়া সাংবাদিক নিপীড়ন-নির্যাতনে ব্যবহার হওয়া সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টসহ সকল কালাকানুন বাতিলের দাবি করা হয়।
ছবি সংগৃহীত
সিয়াম, বগুড়া প্রতিনিধি, মুক্তসংবাদ প্রতিনিধি: বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ পরিষদের বগুড়া জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ সালমান কবির হ্রদয় এর বিরুদ্ধে সংগঠন পরিপন্থী কার্যক্রম, দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে অসদাচরণ এবং মিথ্যাচারিতার জন্য তাঁকে জেলা কমিটির পদ থেকে বহিস্কার করা হয়।
এছাড়াও কমিটিতে কার্যকরী সভাপতি পদে আবুল কালাম আজাদ, সহ- সভাপতি পদে আব্দুল্লাহ ও মোঃ জাকারিয়া হোসেন সুজা ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মেঃ সুমনকে কো-অপট করা হয়।
আদেশক্রমে,
এটিএম মমতাজুল করিম
সভাপতি
বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ পরিষদ( বাসকপ)
ফাইল ছবি
ইসরাইলের উগ্র ইহুদিপন্থী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আয়লেত শাকেদ বলেছেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে পলাতক এক লাখ ইউক্রেনীয়কে তাৎক্ষণিকভাবে নাগরিকত্ব দিতে প্রস্তুত। তবে ইউক্রেনীয় ই্হুদি নাগরিকদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে। রোববার ইসরাইলের স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোতে এমন সংবাদ প্রকাশ করা হয়।
টাইমস অব ইসরাইল জানায়, ইসরাইলের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আয়লেত শাকেদ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়ার ল্যাপিড দেশটিতে দীর্ঘ মেয়াদী বসবাস ও কাজের অনুমোদন দিয়ে একটি আইন করতে যাচ্ছে। এ আইনের আওতায় ইউক্রেনীয় (ই্হুদি) নাগরিকদের ইসরাইলে বসবাসের অনুমতি দেয়া হবে।
শুক্রবার ইসরাইলের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আয়লেত শাকেদ বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ শুরু হলে এক হাজার ৫৫৫ ইউক্রেনীয় নাগরিক ইসরাইলে আশ্রয় নেয়। এদের মধ্যে ১৫০ জন (ই্হুদি) ইসরাইলের ‘ফিরে আসার ভিত্তিতে নাগরিকত্ব’ আইন অনুসারে নাগরিকত্ব পাবেন।
ইসরাইলের ‘ফিরে আসার ভিত্তিতে নাগরিকত্ব’ আইন অনুসারে, যেকোনো ই্হুদি তাদের পবিত্র ভূমি ইসরাইলে ফিরে এলে তারা দেশটির নাগরিকত্ব পাবেন। ওই ই্হুদি ব্যক্তি বিশ্বে যে কোনো দেশ থেকে আসলেও তিনি ইসরাইলের নাগরিকত্ব পাবেন।
অপরদিকে কোনো ফিলিস্তিনি শরণার্থী অন্য দেশ থেকে এলে তাকে নাগরিকত্ব দেয়া হয় না। অনেকের ধারণা ফিলিস্তিনিদের চেয়ে ই্হুদিদের জনসংখ্যা বাড়ানোর জন্য ইসরাইল এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
এ বিষয়ে ইসরাইলের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আয়লেত শাকেদ বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ান আক্রমণ শুরু হওয়ার পর যে সকল ইউক্রেনীয় ইসরাইলে আসবে তাদের মধ্যে এক লাখ ব্যক্তিকে দেশটির নাগরিকত্ব দেয়া হবে। তবে এসব ইউক্রেনীয় নাগরিকদের মধ্যে যারা ইহুদি তাদের অগ্রাধিকারভিত্তিতে দ্রুত নাগরিকত্ব দেয়া হবে। সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর