a সাংবাদিক রোজিনার মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ডিএসইসির মানববন্ধন
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

সাংবাদিক রোজিনার মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ডিএসইসির মানববন্ধন


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
রবিবার, ২৩ মে, ২০২১, ০৯:১৫
সাংবাদিক রোজিনার মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ডিএসইসির মানববন্ধন

ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

 

সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিল (ডিএসইসি)। একইসঙ্গে রোজিনাকে হেনস্থার ঘটনায় স্বাধীন নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানানো হয়েছে।

শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে সাংবাদিক রোজিনার মুক্তি, মামলা প্রত্যাহার ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে এসব দাবি জানান সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

সংগঠনের সভাপতি মামুন ফরাজীর সভাপতিত্বে ও দফতর সম্পাদক মনির আহমাদ জারিফ পরিচালনায় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি মোল্লা জালাল, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আবদুল মজিদ, মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন, কোষাধ্যক্ষ দীপ আজাদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, কাদের গণি চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম তপু, শহিদুল ইসলাম, ডিইউজের কোষাধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলাম, ডিইউজের যুগ্ম সম্পাদক খাইরুল আলম, দফতর সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস, নাসিমা সোমা, আল মামুন প্রমুখ।

মানববন্ধনে বিএফইউজে’র সভাপতি মোল্লা জালাল বলেন, আমরা আশা করি, রোববার সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে নিঃশর্তভাবে মুক্তি দেওয়া হবে। তা না হলে নো রিটার্ন হোম আন্দোলন শুরু করা ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না। আমাদের আর পেছনে ফেরার কোনো সুযোগ নেই।

ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের সভাপতি মামুন ফরাজী বলেন, সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। সচিবালয়ের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা যারা রোজিনাকে হেনস্ত করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। 

মানববন্ধনে সব ভেদাভেদ ভুলে অধিকার আদায়ে সাংবাদিকদের জাতীয় ঐক্যের উপর গুরুত্বারোপ করা হয়। এ ছাড়া সাংবাদিক নিপীড়ন-নির্যাতনে ব্যবহার হওয়া সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টসহ সকল কালাকানুন বাতিলের দাবি করা হয়।
 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

বিএফইউজে ও ডিইউজে’র নেতৃবৃন্ধ কারাবন্দি সাংবাদিকদের মুক্তির দাবি


খোরশেদ আলম: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
রবিবার, ১৩ জুন, ২০২১, ১০:১৪
বিএফইউজে ও ডিইউজে’র নেতৃবৃন্ধ কারাবন্দি সাংবাদিকদের মুক্তির দাবি

ফাইল ছবি

কারাবন্দি সাংবাদিকদের মুক্তির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজে। রবিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিএফইউজে ও ডিইউজে’র আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে সাংবাদিক নেতৃবৃন্ধ এ দাবি করেন।

গণতন্ত্র ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় বিচার বিভাগের নিরপেক্ষ ভূমিকার ওপর গুরুত্বারোপ করে সাংবাদিক নেতারা বলেন, দেশ ও গণতন্ত্রের স্বার্থে বিচার বিভাগকে মুক্তসাংবাদিকতার পক্ষে ভূমিকা নেয়া উচিত। তারা বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আদালত আজ মুক্ত সাংবাদিকতার পক্ষে রায় দিচ্ছেন। অথচ বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো সংবিধান বিরোধী আইন বন্ধে আদালতের ভূমিকা আমরা দেখতে পাইনি। 

সাংবাদিকরা গ্রেফতার হচ্ছেন এবং তারা বছরের পর জেল আছেন অথচ জামিন দেয়া হচ্ছে না।  দেশের বিচার বিভাগ স্বাধীন বলা হয়। কিন্তু কতটুকু স্বাধীন তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। দেশের বিচার বিভাগ নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারলে রুহুল আমিন গাজী মুক্তি পেতেন।

সমাবেশে বিএফইউজে ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ বলেন, এ সরকারের প্রধান প্রতিপক্ষ গণমাধ্যম। আর সত্য হচ্ছে প্রধান শত্রু । সত্য প্রকাশের জন্য অনেক সাংবাদিককে আটক করে রাখা হয়েছে। অনেক সাংবাদিক খুন হয়েছেন। মামলা-নির্যাতনে হয়রানি করা হচ্ছে।

রুহুল আমিন গাজীসহ সকল কারাবন্দি সাংবাদিকের মুক্তি দাবি করে তিনি বলেন, মামলার মেরিট দেখে আর সংবিধান প্রদত্ত অধিকার প্রয়োগ করে বিচার বিভাগ রায় দিলে এসব মামলা টিকতে পারে না। 

এ প্রসঙ্গে শওকত মাহমুদ সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদে বাক স্বাধীনতা নিশ্চিত করার কথা উল্লেখ করে বলেন, আমাদের পাশ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারতে প্রেস ফ্রিডম নেই। অথচ ওই দেশের বিচারপতিরা সাম্প্রতিক সময়ে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অনেক মামলার আসামিকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন। রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় সাংবাদিক আটককে অবৈধ ঘোষণা করেছেন।

সভাপতির বক্তব্যে কাদের গনি চৌধুরী বলেন, ফ্যাসিবাদী সরকারের গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার মূল লক্ষ্য তাদের অপশাসনকে দীর্ঘায়িত করা। তিনি মুক্ত সাংবাদিকতা বিরোধী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ সকল কালা কানুন বাতিলের দাবি জানিয়ে বলেন, কোনো সভ্যদেশে এমন ভয়ংকর আইন কল্পনাও করা যায় না। 

আমেরিকার সংবিধানে প্রথম সংশোধনী আনা হয় মিডিয়ার স্বাধীনতা রক্ষায়। এতে বলা হয়, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ করে এমন কোনো আইন কখনো মার্কিন কংগ্রেসে পাস করবে না। এরাই হলো সভ্য। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের মতো বাংলাদেশের সংবিধানেও সংশোধনী এনে মিডিয়ার স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হোক।

বিএফইউজে মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন সরকারকে অতীত থেকে শিক্ষা নেয়ার আহবান জানিয়ে বলেন, ৭৫ পূর্বে সংবাদপত্র বন্ধ করে এবং নির্যাতনের স্টিম রোলার চালিয়ে তৎকালীন সরকার নিজেদের রক্ষা করতে পারেনি। তিনি বলেন, বিচার বিভাগ নিরপেক্ষ অবস্থান নিলেই রুহুল আমিন গাজীসহ কারাবন্দি সকল সাংবাদিকের মুক্তি সম্ভব।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান বলেন, এ সরকার অবৈধ। এ সরকার কর্তৃত্ববাদী। টিকে থাকার জন্য এ সরকার সব কিছু করতে পারে।

ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম অবিলম্বে কারাবন্দি সাংবাদিকদের মুক্তি এবং শওকত মাহমুদসহ অন্যদের মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বলেন, রুহুল আমিন গাজী কিডনি সমস্যাসহ অনেক জটিল রোগে আক্রান্ত। অথচ তার চিকিৎসার কোন ব্যবস্থা নেই।

ডিইউজের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরীর সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএফইউজে ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ। বক্তব্য রাখেন, বিএফইউজের মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন, সাবেক মহাসচিব এম এ আজিজ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মোরসালীন নোমানী, রফিকুল ইসলাম আজাদ সাবেক সভাপতি ইলিয়াস হোসেন, বিএফইউজের সহসভাপতি মোদাব্বের হোসেন, বিএফইউজের কোষাধ্যক্ষ খায়রুল বাশার, ডিইউজের সহ-সভাপতি শাহীন হাসনাত ও রাশেদুল হক, বিএফইউজের সহকারি মহাসচিব শহীদুল্লাহ মিয়াজী, ফটোজার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ও বিএফইউজের নির্বাহী সদস্য একেএম মহসীন, ডিইউজে নেতা শাহজাহান সাজু, দেওয়ান মাসুদা, সাখাওয়াত হোসেন ইবনে মঈন চৌধুরী প্রমুখ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএফইউজের সাংগঠনিক সম্পাদক খুরশীদ আলম, দপ্তর সম্পাদক তোফায়েল হোসেন, নির্বাহী সদস্য জাকির হোসেন, ডিইউজের সাবেক সহসভাপতি সৈয়দ আলী আসফার, ডিইউজের নির্বাহী সদস্য জেসমিন জুঁই প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ডিইউজের সাংগঠনিক সম্পাদক দিদারুল আলম দিদার ও কোষাধ্যক্ষ গাজী আনোয়ারুল হক।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আর্জেন্টিনা ফুটবল ম্যাচ বাতিল করেছে ইসরাইলের সাথে


ক্রীড়া ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বুধবার, ০১ জুন, ২০২২, ০৬:২০
আর্জেন্টিনা ফুটবল ম্যাচ বাতিল করেছে ইসরাইলের সাথে

ফাইল ছবি

আর্জেন্টিনা একটি প্রীতি ফুটবল ম্যাচ বাতিল করেছে ইসরাইলের সাথে। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক চাপের মুখে প্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও তারা এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। আগামী ৬ জুন হাইফার সামি ওফার স্টেডিয়ামে ম্যাচটি হওয়ার কথা ছিল। এই ম্যাচের মাধ্যমে তাদের ২.৫ মিলিয়ন ডলারের তহবিল সংগ্রহ হতো।

ম্যাচটি বাতিলের আহ্বান জানিয়েছিল ইন্টারন্যাশনাল বয়কট, ডিভেস্টম্যান অ্যান্ড স্যাঙ্কশনস (বিডিএস) আন্দোলন, আর্জেন্টিনা প্যালেস্টাইন সলিডারিটি কমিটি এবং সেইসাথে দক্ষিণ আমেরিকার দেশটির মানবাধিখার ও সংহতি সংস্থাগুলো। ফিলিস্তিনের আল-কাদের ফুটবল ক্লাব আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের কাছে একটি চিঠি লেখার পর ম্যাচটি বাতিলের দাবি ওঠে।

ওই চিঠিটি ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়। এর অন্যতম কারণ, আল-কাদের এফসির খেলোয়াড় মোহাম্মদ ঘানিম (১৯) এপ্রিলে ইসরাইলি বাহিনীর হাতে নিহত হয়। চিঠিতে গত মাসে ইসরাইলি স্নাইপারের গুলিতে আলজাজিরার সাংবাদিক শিরিন আবু আখলের নিহত হওয়ার কথাও উল্লেখ করা হয়। এছাড়া অধিকৃত এলাকায় আরো কয়েকজনের নিহত হওয়ার বিষয়টিও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।

ক্লাবটি আর্জেন্টাইনদের জানায়, ইসরাইল এই ম্যাচকে তার বর্ণবাদী অবস্থা আড়াল করতে ব্যবহার করবে।

চিঠিতে বলা হয়, '১৪ নম্বরটি মনে রাখুন। এটি আমাদের টিমম্যাট মোহাম্মদের টিম নম্বর। সে এখন আর খেলোয়াড় নয়। তবে আপনারা তরুণ ফিলিস্তিনি খেলোয়াড়দের হত্যা অব্যাহত রাখা থেকে ইসরাইলকে বিরত রাখতে সহায়তা করতে পারেন। মোহাম্মদকে তার পারিবারিক বাড়ির কাছে ইসরাইলি সৈন্যরা গুলি করে হত্যা করে। স্থানটি ইসরাইলের কুখ্যাত বর্ণবাদী প্রাচীর থেকে দূরে নয়। এই প্রাচীর আমাদের ভূমি বিছিন্ন করেছে, আমাদের খামার চুরি করেছে, আমাদের সম্পদ লুটে নিয়েছে, ফিলিস্তিনি শহরগুলোকে একে অপরটি থেকে আলাদা করেছে।' সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - গণমাধ্যম