a কবি শঙ্খ ঘোষ আর নেই
ঢাকা সোমবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ০১ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

কবি শঙ্খ ঘোষ আর নেই


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
বুধবার, ২১ এপ্রিল, ২০২১, ০৮:৪৭
কবি শঙ্খ ঘোষ আর নেই

কবি শঙ্খ ঘোষ

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন কবি শঙ্খ ঘোষ। বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে তিনি মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। আনন্দবাজার অনলাইন জানায়, মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) রাতে হঠাৎ তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। 

বুধবার (২১ এপ্রিল) সকালে তাকে ভেন্টিলেটর দেওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকদের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে চলে গেলেন কবি। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ভেন্টিলেটর খুলে নেওয়া হয়।শঙ্খ ঘোষ কয়েক মাস ধরে শারীরিক নানা সমস্যায় ভুগছিলেন। 

গত ২১ জানুয়ারি অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালেও ছিলেন কয়েক দিন। এর মধ্যে তিন দিন আগে জ্বর ও পেটের সমস্যা দেখা দেয়। এরপর তার করোনা টেস্ট করা হয়। গত বুধবার তার পজিটিভ রিপোর্ট আসে। 

কবি শঙ্খ ঘোষের জন্ম ১৯৩২ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি। কর্মজীবনে তিনি যাদবপুর ও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেছেন। ১৯৯২ সালে তিনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসর নেন। দীর্ঘ কর্মজীবনে নানা ভূমিকায় দেখা গেছে কবিকে। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্বভারতীর মতো প্রতিষ্ঠানে অধ্যাপনাও করেছেন। ইউনিভার্সিটি অব আইওয়ায় ‘রাইটার্স ওয়ার্কশপ’-এও শামিল হন। বছর দুয়েক আগে ‘মাটি’ নামের একটি কবিতায় কেন্দ্রীয় সরকারের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধেও অবস্থান নিয়েছিলেন তিনি। বাংলা কবিতার জগতে শঙ্খ ঘোষের অবদান অপরিসীম। ‘দিনগুলি রাতগুলি’, ‘বাবরের প্রার্থনা’, ‘মুখ ঢেকে যায় বিজ্ঞাপনে’, ‘গান্ধর্ব কবিতাগুচ্ছ’ তার উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ। 

দীর্ঘ সাহিত্যজীবনে একাধিক সম্মানে সম্মানিত হয়েছেন শঙ্খ ঘোষ। ১৯৭৭ সালে ‘বাবরের প্রার্থনা’ কাব্যগ্রন্থটির জন্য তিনি দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সাহিত্য পুরস্কার সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার পান। ১৯৯৯ সালে কন্নড় ভাষা থেকে বাংলায় ‘রক্তকল্যাণ’ নাটকটি অনুবাদ করেও সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার পান তিনি। এছাড়া রবীন্দ্র পুরস্কার, সরস্বতী সম্মান, জ্ঞানপীঠ পুরস্কার পেয়েছেন। তিনি ২০১১ সালে পদ্মভূষণে সম্মানিত হয়েছেন।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

অধ্যাপক ডক্টর একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী আর নেই


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
শনিবার, ০৫ অক্টোবর, ২০২৪, ১২:০৯
অধ্যাপক ডক্টর একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী আর নেই

ছবি সংগৃহীত: অধ্যাপক ডক্টর একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী

 

ফুসফুসের সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী মারা গেছেন। শুক্রবার দিবাগত রাত ৩ টা ১৫ মিনিটে নিজের প্রতিষ্ঠিত উত্তরা মহিলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।  

বদরুদ্দোজা চৌধুরীর ছেলে মাহী বি. চৌধুরী তার ফেসবুক আইডিতে পোস্ট দিয়ে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে, দুই মেয়ে এবং নাতি-নাতনীসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।


খ্যাতিমান চিকিৎসক ও প্রবীণ রাজনীতিবিদ বদরুদ্দোজা চৌধুরী ১৯৩০ সালের ১১ অক্টোবর কুমিল্লা শহরে (প্রখ্যাত মুন্সেফ বাড়ি) নানাবাড়িতে জন্ম গ্রহণ করেন। নিজ বাড়ি মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার মজিদপুর দয়াহাটায়। তার বাবা অ্যাডভোকেট কফিল উদ্দিন চৌধুরী কৃষক প্রজা পার্টির সহ-সভাপতি, যুক্তফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক ও তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন।

বি. চৌধুরী প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানের শাসনকালে ১৯৭৮ সালে রাজনীতিতে আসেন। তিনি মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর থেকে ১৯৭৯ সালে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং কেবিনেট মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯১ সালে তিনি দ্বিতীয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং প্রথমে শিক্ষামন্ত্রী ও পরে সংসদ উপনেতা হন। ১৯৯৬ সালে তিনি সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতার দায়িত্ব পালন করেন।

সর্বশেষ ২০০১ সালে তিনি পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং একই বছরের অক্টোবর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত বিএনপি সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। তিনি ২০০১ সালের ১৪ নভেম্বর বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন এবং ২০০২ সালের ২১ জুন পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন।

 

 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

হত্যা মামলায় বাদী পক্ষে আইন পরিচালনা করায় আইনজীবীর বাড়িতে ভাংচুর ও প্রাণনাশের হুমকি


প্রিন্স মাহমুদ, শেরপুর প্রতিনিধি, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৫, ০৮:৪৮
হত্যা মামলায় বাদী পক্ষে আইন পরিচালনা করায় আইনজীবীর বাড়িতে ভাংচুর ও প্রাণনাশের হুমকি

ছবিঃ সংগৃহীত/অ্যাডভোকেট আশরাফুল আলম


শেরপুর প্রতিনিধি: শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে আশরাফুল আলম নামে এক আইনজীবীর বাড়িতে গিয়ে প্রাণনাশের হুমকি, বাড়ি-ঘর ভাঙ্গার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ধারালো দা, লোহার রড ও বাঁশের লাঠিসহ বেশ কিছু অস্ত্র উদ্ধার করেছে।

রোববার (৯ নভেম্বর) বিকেলে পৌরশহরের কালিনগর এলাকায় এসব সন্ত্রাসীমূলক ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আইনজীবীর মা রাহিলা খাতুন নালিতাবাড়ী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অ্যাডভোকেট মোঃ আশরাফুল আলম শেরপুর জেলা জজ আদালতের একজন আইনজীবী। তিনি নালিতাবাড়ী থানার কালিনগর গ্রামে সংঘটিত একটি হত্যা মামলায় (জি.আর. নং ০৭/২০২৫, ধারা ১৪৩/৩২৬/৩০৭/৩০২/৫০৬/৩৪ দণ্ডবিধি) বাদীপক্ষের পক্ষে মামলা পরিচালনা করছেন। মামলার কয়েকজন আসামী জামিনে বের হয়ে আশরাফুল আলমকে মামলা থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য বারবার চাপ ও হুমকি দিয়ে আসছিল।

শনিবার বিকেল আনুমানিক সাড়ে ৩টার দিকে আসামী রফিকুল ইসলাম (৪৪), নবাব আলী (২২), বাবু মিয়া (২৪), সাদ্দাম মিয়া (৩০) ও মাতাব মিয়াসহ (৪২) আরও কয়েকজন ধারালো দা, লোহার রড ও কিরিচ নিয়ে তার বাড়িতে হামলার চেষ্টা চালায়।

তারা আইনজীবি আশরাফুল আলমকে খুঁজে না পেয়ে বাড়ির টিনের বেড়া ভাঙচুর করে। এসময় আইনজীবীর স্ত্রী বাধা দিলে আসামিরা তাকে ধাওয়া করে। তিনি দৌড়ে ঘরের ভিতরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে রক্ষা পান। পরে তিনি মোবাইল ফোনে তার স্বামীকে খবর দিলে, আশরাফুল আলম তাৎক্ষণিকভাবে নালিতাবাড়ী থানা পুলিশকে জানান।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে আসামিরা পালানোর সময় কয়েকটি দেশীয় অস্ত্র ফেলে যায়। পুলিশ সেগুলো উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

এডভোকেট আশরাফুল আলমের দাবী, আইন অনুযায়ী যেকারো পক্ষে মামলা পরিচালনার অধিকার রয়েছে। যারা হামলা করেছেন তারা একাধিক হত্যা মামলার আসামী। হামলার পর আশরাফুল আলমের পরিবার নিরাপত্তাহীনতা ভুগছেন। প্রশাসনের কাছে দ্রুত আসামীদের গ্রেফতারের দাবী জানান তিনি।

নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা জানান, “ঘটনার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থল থেকে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্ত চলছে, দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।” সূত্র: দি ফিনেন্সিয়াল পোষ্ট

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর জনপ্রিয়

সর্বশেষ - বিবিধ

সর্বোচ্চ পঠিত - বিবিধ

বিবিধ এর সব খবর