a
সংগৃহিত ছবি
তিনি চারতলা বাড়ির মালিক। অথচ খাদ্য সহায়তা চেয়ে কল করেছিলেন জাতীয় কলসেন্টারের ৩৩৩ নম্বরে ফোন করেছেন । ঘটনার সত্যতা জানতে পেরে ইউএনও ওই ব্যক্তিকে জরিমানা করেন। জরিমানার পরিমান ছিল ১০০ গরীব মানুষকে সরকারি খাদ্য সহায়তার অনুরূপ প্যাকেট বিতরণ করতে হবে তাকে।
ঘটনাটি ঘটেছে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কাশীপুর ইউনিয়নের দেওভোগ এলাকায়।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফা জহুরা বলেন, করোনাকালীন সময়ে সরকার ৩৩৩ কলসেন্টারের মাধ্যমে অসহায় ও দুঃস্থ মানুষদের খাদ্য সহায়তা প্রদান করছে। কেউ ওই নম্বরে কল করে তাদের সংকটের কথা জানালে উপজেলা পর্যায়ে ইউএনও অফিসে জানানো হয়। পরে তা যাচাই করে খাদ্য সহায়তা পৌছে দেওয়া হয়।
ইউএনও বলেন, ‘দুষ্টুমি করার জন্যই ওই নম্বরে কল করেন কাশীপুরের ওই ব্যক্তি।
গত বৃহস্পতিবার (২০ মে) বিকেলে সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, খাদ্য সহায়তা চাওয়া ব্যক্তি চারতলা বাড়ির মালিক। যেহেতু দুষ্টুমির ছলে এমনটা করেছেন তাই তাকে ১০০ প্যাকেট খাদ্য সহায়তা প্রদান করতে বলা হয়েছে।’ প্রতি প্যাকেটে সরকারি সহায়তার মতো ১০ কেজি চাল, ৫ কেজি আলু, ১ কেজি করে ডাল, সয়াবিন তেল, লবন ও পেয়াজ থাকবে বলে জানান ইউএনও আরিফা জহুরা। আজ শনিবার তার উপস্থিতিতে স্থানীয় এলাকায় এইসব খাদ্যসামগ্রী গরীব মানুষের মাঝে বিতরণ করা হবে।
ফাইল ছবি
স্বামী পছন্দ না হওয়ায় বিয়ের মাত্র ২০ দিনের মাথায় তপতি রাণী (১৮) নামে এক নববধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
নওগাঁর রাণীনগরের কাশিমপুর হালদার পাড়া গ্রামে শনিবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। তপতি ওই গ্রামের দেবনাথ হালদারের মেয়ে।
এ ঘটনার বিষয়ে তপতির মা তুলশি রাণী বলেন, গত ২০ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে নাটোর লালপুর উপজেলার তারাপুর মন্ডলপাড়া গ্রামের যুগল চন্দ্রের ছেলে মিঠন চন্দ্রের (২৩) সাথে বিয়ে হয় মেয়ের। বিয়ের মাত্র কয়েক দিন পর থেকে স্বামী পছন্দ না হওয়ায় সংসার করবে না জিদ ধরে নানা রকম টালবাহনা করতে থাকে। একপর্যায়ে শুক্রবার তপতির বড় ভগ্নিপতি শিবেন চন্দ্রকে জামাই-মেয়েকে আনতে পাঠায়।
তপতির মা তুলশি রাণী আরো বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় জামাই মিঠনসহ মেয়ে তপতি বাড়িতে পৌঁছায়। এরপর রাতে তপতি কেন সংসার করবে না এসব জানার পর পরিবার থেকে সংসার করতে অনুরোধ জানানো হয়। রাতে মা-মেয়ে একরুমে এবং দুই জামাই এক রুমে ঘুমিয়ে পড়ে।
এদিকে শনিবার খুব সকালে তুলশি রাণী ঘুম থেকে টয়লেট গেলে ফিরে এসে দেখতে পান তার মেয়ে তপতি গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঘরের তীরের সাথে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করছে। এ সময় মা তুলশির চিৎকারে লোকজন ছুটে এসে তপতিকে উদ্ধার করে রাণীনগর হাসপাতালে নিলে ডা. তাকে মৃত ঘোষণা করে।
রাণীনগর থানার ওসি মো. শাহিন আকন্দ এ ঘটনার বিষয়ে বলেন, তপতির বাবা দেবনাথ বাদী হয়ে থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের করেছেন।
দুপুর নাগাদ মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ফাইল ছবি
করোনার যেনো ভারতকে আটকে ধরেছে । দেশটিতে করোনায় গত একদিনের মৃতের সংখ্যা আবারো চার হাজার ছাড়ালো । করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে হুমড়ি খেয়ে পড়া ভারতে আবার নতুন করে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের প্রোকোপের পর হোয়াইট ফাঙ্গাস বা সাদা ছত্রাক দেখা দিয়েছে ।
দুই মাস পূর্বে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে প্রথম এই বিরল প্রাণঘাতী ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রমণ ধরা পড়ে। এই পরিস্থিতিতে ভারত ‘এপিডেমিক ডিজিজ এ্যাক্ট’ এর আওতায় এই সংক্রমণকে ‘মহামারি’হিসেবে ঘোষণা করেছে । গতকাল ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ‘এপিডেমিক ডিজিজ এ্যাক্ট’ এর আওতায় ‘মিউকোরমাইসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ সংক্রমণের তালিকা চেয়ে সকল রাজ্য সরকারের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে এবং বিষয়টি ইউনিয়ন হেলথ মিনিস্ট্রি’কে জানানো হয়েছে ।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর বরাতে জানা যায়, দেশটির বিহার রাজ্যে নতুন করে অন্তত চারজন হোয়াইট ফাঙ্গাসে সংক্রমিত হয়েছেন। তবে তারা করোনা আক্রান্ত হননি। কিন্তু করোনার লক্ষণ থাকলেও পরীক্ষায় তা ধরা পড়েনি।
ভারতের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন করোনা থেকে আরোগ্যের পথে বা সুস্থ হয়ে ওঠাদের শরীরে বিরল যে সংক্রমণ- যার নাম ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ বা বৈজ্ঞানিক নাম মিউকোরমাইকোসিস। মিউকোরমাইকোসিস খুবই বিরল একটা সংক্রমণ। মিউকোর নামে একটি ছত্রাকের সংস্পর্শে এলে এই সংক্রমণ হয়। সাধারণত এই ছত্রাক পাওয়া যায় মাটি, গাছপালা, সার এবং পচন ধরা ফল ও শাকসবজিতে।
এদিকে ভারতীয় চিকিৎসকরা বলছেন ব্লাক ফাঙ্গাসের বিপজ্জনক রূপ হলো হোয়াইট ফাঙ্গাস বা সাদা ছত্রাক। এই রোগের প্রভাবে ফুসফুসজনিত সমস্যা তৈরি হতে পারে। পেট, যকৃত, মস্তিষ্ক, নখ, ত্বক এবং গোপনাঙ্গেও ক্ষতি করতে পারে হোয়াইট ফাঙ্গাস।