a
ছবি:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক ও প্রাচীর সংলগ্ন ফুটপাত দীর্ঘদিন অরক্ষিত অবস্থায় আছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ড্রেনের কাজ মাস পেরিয়ে গেলেও তাতে এখনো ঢাকনা বসানো হয়নি। তাই হাটার পথে বিপাকে পরছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সাধারণ পথচারীরা। কেউ চলতে গিয়ে আছড়ে পরছেন কেউ বা নিজের মূল্যবান সম্পদ খোয়াচ্ছেন।
আজ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের লিজা নামে এক শিক্ষার্থী জানান, কিছুক্ষণ আগে আমি এপথে চলতে গিয়ে হোঁচট খাই। এতে আমি নিজেকে সামলে নিতে পারলেও আমার হাতে থাকা ফোন ড্রেনের ময়লা পানিতে পরে যায়। অন্যান্যদের সহযোগীতায় ফোনটি তোলা গেলেও এখন আর তা ব্যবহার উপযোগী নয়।
এ বিষয়ে জবি প্রক্টর মোস্তফা কামালের সাথে কথা বলা হলে তিনি জনান, ড্রেনের বিষয়টি নিয়ে সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্বরতদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা বলেছেন, এসব কাজ দ্রুত শেষ হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন। আজও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোক পাঠানো হবে এ বিষয়ে খোজ নেয়ার জন্য।
ফাইল ছবি
সাম্প্রতি সময়ে আলোচিত সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে স্বাস্থ্য মন্ত্রলায়ের পিএস এর কক্ষে আটকে রেখে নির্যাতন এবং হেনস্তার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শিক্ষক সমিতি।
বৃহস্পতিবার (২০ মে) জবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো: নূরে আলম আব্দুল্লাহ এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. শামীমা বেগম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৭ মে ২০২১ সোমবার একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকার জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক জনাব রোজিনা ইসলাম তাঁর পেশাগত দায়িত্ব পালনে বাংলাদেশ সচিবালয়ের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে গেলে তাঁকে সেখানে আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি বাংলাদেশ সচিবালয়ের অভ্যন্তরে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত একজন প্রতিথযশা সাংবাদিক যিনি বেশ কিছু দিন যাবৎ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নানাবিধ অনিয়ম সম্পর্কে অনুসন্ধানী রিপোর্ট করে আসছিলেন তাঁকে হেনস্তা ও নির্যাতনের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা জানাচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য অনুযায়ী সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম তাঁর মোবাইল ফোনের মাধ্যমে গোপনে সচিব, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ-এর একান্ত সচিবের কক্ষে অবস্থিত রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ নথির ছবি তুলছিলেন। কিন্তু রাষ্ট্রীয় স্পর্শকাতর নথি সচিবের একান্ত সচিবের কক্ষ যেখানে সাধারণত অপেক্ষমান দর্শনার্থীরা অবস্থান করেন, সেখানে ফেলে রাখা দায়িত্ব ও কর্তব্যে অবহেলার শামিল। প্রশ্ন জাগে, রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর গোপনীয় নথি তাঁরা কীভাবে অনিরাপদে রাখলেন? ফলে, স্পষ্টত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাগণ হয় দায়িত্বে অবহেলা করেছেন অথবা তাঁদের উত্থাপিত দাবি বিশ্বাসযোগ্য নয় বলে জনমনে ধারণার সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া একজন সাংবাদিক কোনো অন্যায় করলে তাঁকে তাৎক্ষণিক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সোপর্দ না করে প্রায় ০৬ ঘন্টা মন্ত্রণালয়ের একটি কক্ষে আবদ্ধ রেখে নির্যাতন করা মানবাধিকারের লঙ্ঘন।
এমতাবস্থায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি দ্রুত সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এই অনাকাঙ্খিত ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা এবং একই সাথে সাংবাদিক জনাব রোজিনা ইসলামকে আইনগত সুরক্ষা প্রদানের দাবি জানাচ্ছে।
ফাইল ছবি
অবশেষে সকল গুঞ্জনের ইতিটেনে প্যারিসেই থাকার সিদ্ধান্ত নিলেন ব্রাজিলিয়ান তারকা ফুটবলার নেইমার জুনিয়র। তিনি ফরাসি জায়ান্ট পিএসজির সাথে ২০২৫ সালের ৩০জুন পর্যন্ত নতুন চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছেন।
২০১৭ সালে ট্রান্সফার মার্কেটে ইতিহাস তৈরি করে স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনা থেকে পিএসজিতে পাড়ি জমান নেইমার। এরপর বিভিন্ন সময়ে কাতালান ক্লাবে ফেরার গুঞ্জন সামনে এসেছিল। সর্বশেষ বার্সোলোনার বর্তমান প্রেসিডেন্ট লাপোর্তোর প্রধান চাওয়া ছিল নেইমারকে আবার দলে ফিরিয়ে আনা। চ্যাম্পিন্সলিগে ম্যানচেস্টার সিটির কাছে সেমিফাইনালে হারার পর সে গুঞ্জণ কিছুটা আচ করাও গিয়েছিল, অনেকেই ভেবেছিল নেইমার পিএসজি ছেড়ে দিবে কিন্তু তাদের ধারণা ভুল প্রমান করে নতুন চুক্তিতে সই করলেন এই ব্রাজিলয়ান ফুটবল ফরোয়ার্ড , ফরাসি মিডিয়ার খবর, নতুন চুক্তি অনুযায়ী নেইমার পিএসজিতে বছরে তিন কোটি ইউরো বেতন পাবেন ।
চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর পর ক্লাবের ওয়েবসাইটে নিজের প্রতিক্রিয়া জানান ২৯ বছর বয়সী নেইমার। বলছিলেন, ‘২০২৫ পর্যন্ত ক্লাবের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে পেরে আমি খুশি। সত্যিটা হলো, ক্লাবের প্রকল্পের অংশ হতে পেরে আমি খুব খুশি। দলটির হয়ে অনেক শিরোপা জিততে চাই, আমাদের সবচেয়ে বড় স্বপ্ন হলো চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, সেটা জিততে চাই।’
পিএসজির হয়ে এখন পর্যন্ত ১১২ ম্যাচে অংশ নিয়ে ৮৫ গোল ও ৫১টি অ্যাসিস্ট রয়েছে নেইমারের। এখন পর্যন্ত ক্লাবটির হয়ে তিনটি লিগ শিরোপাসহ জিতেছেন মোট নয়টি ট্রফি।