a
ফাইল ছবি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ক’ ইউনিটের প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষা আগামীকাল শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকাসহ সারাদেশে ৮টি বিভাগীয় শহরের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বেলা ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত একযোগে অনুষ্ঠিত হবে।
এবছর ‘ক’ ইউনিটে এক হাজার ৮৫১টি আসনের বিপরীতে মোট আবেদনকারীর সংখ্যা এক লাখ ১৫ হাজার ৭০৮ জন। সে হিসেবে প্রতি আসনের বিপরীতে পরীক্ষার্থী রয়েছেন প্রায় ৬৩ জন।
‘ক’ ইউনিটের পরীক্ষায় ভর্তি পরীক্ষার মোট নম্বর ১২০। এর মধ্যে ১০০ নম্বরের এমসিকিউ এবং লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এমসিকিউ-এর জন্য ৬০ নম্বর এবং লিখিত বা বর্ণনামূলকের জন্য ৪০ নম্বর থাকবে। এমসিকিউ-এর জন্য ৪৫ মিনিট এবং লিখিত বা বর্ণনামূলকের জন্য ৪৫ মিনিট বরাদ্দ থাকবে।
ক-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি অনুষদ ও পাঁচটি ইনস্টিটিউটের বিভিন্ন বিভাগে ভর্তি নেওয়া হয়। অনুষদগুলো হলো, বিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, ফার্মেসি, আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদ।
অপরদিকে, ইনস্টিটিউটগুলোর মধ্যে আছে, পরিসংখ্যান গবেষণা ও শিক্ষণ ইনস্টিটিউট, পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট, তথ্য প্রযুক্তি ইনস্টিটিউট, ইনস্টিটিউট অব লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রভৃতি। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি
স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদ ভিত্তিক শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়েবোমেট্রিক্সের বিশ্ববিদ্যালয় র্যাংকিং জুলাই -২০২২ সালের প্রকাশিত র্যাংকিং এ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ১৩ তম অবস্থানে রয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের মধ্যে গতবারের চেয়ে একধাপ এগিয়ে ১৮তম হয়েছে জবি আর বিশ্ব র্যাংকিংয়ে ৩৩৯৯তম, এশিয়া মহাদেশে অবস্থান ১২৩০ তম, দক্ষিণ এশিয়ায় ২৩৩ তম অবস্থানে রয়েছে। বিশ্বসেরা তালিকার শীর্ষস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি। এশিয়ার সেরা চীনের সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়। বাংলাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
২০২২ এর দ্বিতীয় সংস্করণে (জুলাই) বিশ্বের দুই শতাধিক দেশের ৩১ হাজার উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। তন্মোধ্যে এশিয়ার ১৫ হাজার ৯১৩টি এবং বাংলাদেশের ১৭১টি পাবলিক-প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ স্থান পেয়েছে। ওয়েবোমেট্রিক্সের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানা যায়।
জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাংকিং তৈরিতে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষণ পদ্ধতি, বৈজ্ঞানিক গবেষণার প্রভাব, নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণ, অর্থনৈতিক প্রাসঙ্গিকতা, সাম্প্রদায়িক সন্নিবেশ অর্থাৎ সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পরিবেশগত ভূমিকা বিবেচনা করে ওয়েবোমেট্রিক্স। প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট ছাড়াও তাদের গবেষক এবং তাদের প্রবন্ধ বিবেচনায় নিয়ে এটি তৈরি করে ওয়েবমেট্রিক্স। সেক্ষেত্রে ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট ৫০ শতাংশ, টপ সাইটেড গবেষকদের ১০ শতাংশ এবং টপ সাইটেড প্রবন্ধ ৪০ শতাংশ বিবেচনায় নিয়ে র্যাংকিং তৈরি করে এ শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি।
ওয়েবমেট্রিক্সের জুলাই ২০২২ এর দ্বিতীয় সংস্করণে বিশ্বসেরা তালিকার শীর্ষস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি। র্যাংকিংয়ের দ্বিতীয় যুক্তরাষ্ট্রের স্টানফর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, তৃতীয় ম্যাচাচুয়েটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি। চতুর্থ ও পঞ্চম অবস্থানে যথাক্রমে অক্সফোর্ড ও ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া বার্কলে। তালিকার শীর্ষ দশের মধ্যে ৯টিই যুক্তরাষ্ট্রের।
বাংলাদেশের মধ্যে এ তালিকার শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (বিশ্ব র্যাংকিং ১৪৬৮), দ্বিতীয় অবস্থানে আছে সিলেটের শাহাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়(বিশ্ব র্যাংকিং ১৪৭৬)। তিনে রয়েছে বুয়েট (বিশ্ব র্যাংকিং ১৪৮৩ )। চার নম্বরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (বিশ্ব র্যাংকিং ১৫৯৩) পাঁচে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় (বিশ্ব র্যাংকিং ১৭৫০ )। ছয় নম্বরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (বিশ্ব র্যাংকিং ২১৪৬ ), সাত নম্বরে ব্রাক ইউনিভার্সিটি (বিশ্ব র্যাংকিং ২২১৮ ), আট নম্বরে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বিশ্ব র্যাংকিং ২৩১৯), নয় নম্বরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (বিশ্ব র্যাংকিং ২৪৮১) এবং ১০ নম্বরে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (র্যাংকিং ২৪৮১)।
অন্যদিকে দেশের শীর্ষ ১০০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও ৬টি সরকারি মেডিক্যাল কলেজের স্থান হয়েছে। তালিকার ৫১তম স্থানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ, ৭৬তম স্থানে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ। ৮২ ও ৮৩তম স্থানে যথাক্রমে ময়মনসিংহ ও বাংলাদেশ মেডিক্যাল কলেজ রয়েছে। ৮৫তম বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ। ৯৫তম অবস্থানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সাল থেকে ওয়েবোমেট্রিক্স নিয়মিত বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাংকিং প্রকাশ করে আসছে। প্রতি বছর জানুয়ারি ও জুলাই মাসে তারা এ র্যাংকিং প্রকাশ করে।
ফাইল ছবি । অভিনেতা দিলীপ কুমার
উপমহাদেশের কিংবদন্তি অভিনেতা দিলীপ কুমার মারা গেছেন। আজ বুধবার (৭ জুলাই) সকাল সাড়ে সাতটার দিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। খবর এনডিটিভির।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৮ বছর। শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। শেষ সময়ে স্ত্রী সায়রা বানু পাশে ছিলেন তার। এদিকে বর্ষীয়ান এই অভিনেতার মৃত্যুতে ভারতের চলচ্চিত্র জগতে শোকের ছায়া নেমেছে।
দীর্ঘ দিন ধরেই বয়সজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন দিলীপ। মুম্বাইয়ের হিন্দুজা হাসপাতালের আইসিইউ-তে ভর্তি ছিলেন। গত ৩০ জুন তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কয়েক দিন আগেই তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে টুইটারে জানিয়েছিলেন স্ত্রী সায়রা।
এর আগেও গত ৬ জুন হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল দিলীপকে। ফুসফুসে অতিরিক্ত ফ্লুইড জমার সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। তবে সফল প্লিউরাল অ্যাসপিরেশন প্রক্রিয়ায় তার সেই সমস্যার সমাধান হয়েছিল। ৫ দিন পরে হাসপাতাল থেকে ছুটি পেয়ে যান দিলীপ।
দিলীপ কুমারের জন্ম ১৯২২ সালের ১১ ডিসেম্বর। তার প্রকৃত নাম মোহাম্মদ ইউসুফ খান। রূপালি পর্দায় ক্যারিয়ার শুরুর সময় নাম পাল্টান তিনি। ছয় দশকের অভিনয় জীবনে ‘মধুমতি’, ‘দেবদাস’, ‘মুঘল-এ-আজম’, ‘গঙ্গা যমুনা’, ‘রাম অউর শ্যাম’, ‘কর্ম’র মতো অসংখ্য ধ্রুপদী সিনেমায় দেখা গেছে তাকে।
সর্বশেষ ১৯৯৮ সালে ‘কিলা’ সিনেমাতে অভিনয় করেন তিনি। ছয় দশকের অভিনয় জীবন তার। বলিউডে তিনি পরিচিত ছিলেন ‘ট্র্যাজেডি কিং’ নামে। ৬৫টিরও বেশি ফিল্মে অভিনয় করেছেন তিনি।
ভারত সরকারের কাছ থেকে ‘পদ্মবিভূষণ’ খেতাব পেয়েছেন দিলীপ কুমার। ১৯৯১ সালে তাকে খেতাব দেওয়া হয় ‘পদ্মভূষণ’।