a
ফাইল ছবি
ক্যাম্পাস খোলার পরপরই কমিটি পাওয়ার আশায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ। দেশের সবচেয়ে সক্রিয় ও উদ্দ্যমী কর্মী নিয়ে যে সংগঠন ছাত্রলীগ তার একটি গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলাীগ নেতৃত্ব শূন্য অবস্থায় গত দুই বছরের বেশি সময় ধরে।
নেতৃত্বের ধারাবাহিকতায় এখন যেন এক বিরাট জটলা সৃষ্টি হয়ে শংকার জন্ম দিয়েছে কর্মীদের মনে।
এতো দীর্ঘ সময় ধরে কমিটি না থাকায় বহু কর্মী ও নেতৃবৃন্দ আশা হত হয়ে ভুগছে মানসিক অস্থিতিশীলতায়। ধরনা দিয়ে চলেছে রোজ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের দ্বারে দ্বারে। কিন্তু এতেও কাজ হচ্ছে না কোনো।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৯ সালের ২০ জুলাই। সম্মেলনের পরপরই কমিটি দেওয়ার বরসব চললেও কমিটি পায়নি জবি ছাত্রলীগ। বরং নেতাকর্মীদের নানা দুটানায় ভুগতে হয়েছে বহুবার।
বর্তমান সময়ে করোনা মহামারীর এমন দুরবস্থা পার করে যখন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস খোলার তোরজোড় চলছে,তখন আবারো সরগরম হয়ে চলছে জবির ছাত্রলীগ কমিটি দেওয়ার আলোচনাও।
এ সময়ে সবচেয়ে আশাবাদী হয়ে আছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃত্ব স্থানীয় প্রার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্মেলনের দায়িত্বে থাকা নেতৃবৃন্দের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা এ বিষয়ে আশা ব্যক্ত করেন।
সম্মেলনের আহ্বায়ক আশরাফুল ইসলাম টিটন বলেন, "কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সাথে তাদের নানা সময়ে বৈঠকে তারা বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর পরই কমিটি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন। ক্যাম্পাস খুললে কমিটি ঘোষণা করার তারিখ জানিয়ে দেওয়া হবে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের মতো এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট এর কমিটি অবশ্যই দেশরত্ন শেখ হাসিনার নির্দেশে খুব শীঘ্রই আমরা পাবো আশা করা যায়।"
সম্মেলনের যুগ্ম আহ্বায়ক জামাল উদ্দিন বলেন," দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটি স্থগিত অবস্থায় চলমান।এ অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয় খোলা না হলে কমিটি আসতে দেরী হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস খোলার পর পরই কমিটি দেওয়ার একটি মৌখিক ঘোষণা পাওয়া গেছে। তবে জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতাদের বিবেচনা অনুযায়ী খুব শীঘ্রই কমিটি পাওয়া যাবে আশা করা যায়।" তিনি আরো বলেন,"আমরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা কমিটি না থাকা সত্বেও কেন্দ্রীয় সকল নির্দেশনা মেনে মানবিক কাজে অংশগ্রহণ করে চলেছি। সংগঠনের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের লক্ষ্য থেকে আমরা কখনো বিচ্যুত না হয়ে কাজ করে যাচ্ছি নিরন্তর।"
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দের পাশাপাশি কর্মীরাও তাদের আশাবাদ ব্যক্ত করে জানান যে কমিটি পেলে কাজের উৎসাহ আরো বারবে আর কাজের ছন্দপতন হবে না। হারাবে না দেশের শিক্ষিত ও মেধাবী শিক্ষার্থীরা রাজনীতির অঙ্গন থেকে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ছাত্রলীগ কর্মী ও নেতৃবৃন্দের এখন ক্যাম্পাস খোলার পর কমিটি পাওয়ার আশা যেন এক প্রভাতের পূর্বলগ্ন হয়ে আছে।
ফাইল ছবি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২১-২২ সেশনের ‘ভর্তিযুদ্ধ’ শুরু হচ্ছে শুক্রবার (৩ জুন)। ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদভুক্ত ‘গ’ ইউনিটের জন্য পরীক্ষা হবে বেলা ১১টা থেকে ১২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রমতে, এবার ‘গ’ ইউনিটে আবেদনকারীর সংখ্যা ৩০ হাজার ৬৯৩ জন। মোট আসন সংখ্যা ৯৩০টি। সেক্ষেত্রে প্রতি আসনের বিপরীতে লড়বেন ৩৩ জন।
ঢাকা ও ঢাকার বাইরে আরু ৭টি বিভাগীয় শহরে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পাঁচটি ইউনিটের পরীক্ষার বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেছে ঢাবি প্রশাসন। ক, খ, গ ও ঘ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা হবে ১০০ নম্বরের মধ্যে। এর মধ্যে বহুনির্বাচনীর জন্য ৬০ নম্বর এবং বাকি ৪০ নম্বরের লিখিত অংশ থাকবে। দুই অংশের উত্তর দেয়ার জন্য আলাদা ৪৫ মিনিট করে মোট ৯০ মিনিট সময় পাবেন পরীক্ষার্থীরা।
ঢাবিতে প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন নেয়া শুরু হয় গত ২০ এপ্রিল। ওই কার্যক্রম চলে ১০ মে পর্যন্ত। বিভাগীয় শহরে পরীক্ষা নেয়ার যুক্তি দেখিয়ে এবার ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফি সাড়ে তিনশ’ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার টাকা করা হয়।
এবার ভর্তি পরীক্ষায় ২ লাখ ৯০ হাজার ৩৪৮ জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন। মোট আসন সংখ্যা ৬ হাজার ৩৫টি। সেই হিসাবানুযায়ী প্রতি আসনের বিপরীতে প্রায় ৪৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
উল্লেখ্য, ‘গ’ ইউনিটের পর ৪ জুন হবে কলা অনুষদভুক্ত ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা। এছাড়া ১০ জুন বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ক’ ইউনিট, ১১ জুন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ঘ’ ইউনিট এবং ১৭ জুন চারুকলা অনুষদভুক্ত ‘চ’ ইউনিটের সাধারণ জ্ঞানের পরীক্ষা হবে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সাইফুল আলম, ঢাকা: বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে সারা দেশের ছাত্র -জনতার পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছিল জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতারা। দেশের ইতিহাসে বিরল এই আন্দোলনে শহীদ হয়েছেন এই সংগঠনের অনেক নেতাকর্মীরা। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের অনেক নেতা শহীদ হয়েছেন এবং অনেকেই হয়েছেন আহত। আর এরই প্রেক্ষিতে তাদের পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয় এবং শহীদ ওয়াসিমসহ অন্যান্য নেতার পরিবারের মাঝে সহায়তা প্রদান করা হয়।
আজ ২৮ শে ফেব্রুয়ারী ২০২৫ইং, সকাল সাড়ে ১০ টায় ঢাকা রিপোর্টাস ইউটিনিট এর শফিকুল কবির মিলনায়তনে দেশের সর্ববৃহৎ জাতীয়তাবাদী অনলাইন সংগঠন জিয়া সাইবার ফোর্স এর ১০ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র -জনতা আন্দোলনে নিহত জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতা শহীদ ওয়াসিমসহ অন্যান্য পরিবারের মাঝে সহায়তা প্রদান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সেই সাথে ফ্যাসিস্ট স্বৈরশাসকের আমলে আয়নাঘরসহ গুম, নির্যাতন ও জেল জুলুমের শিকার জাতীয়তাবাদী অনলাইন এক্টিভিস্টগন উপস্থিত ছিলেন।
বৃহৎ নেতাকর্মীদের এই সংগঠনের আজকের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের সভাপতি - হাসান জাফির তুহিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেখ রবিউল আলম- বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য।
এছাড়া বিশেষ অতিথি বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন আমিরুজ্জামান খান শিমুল- বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ত করেন, ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট অব. ডক্টর মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ ভূঁইয়া, সম্মানিত উপদেষ্টা এবং প্রধান সমন্বয়ক জিয়া সাইবার ফোর্স এবং সঞ্চালনা করেন এই সংগঠনের সম্মানিত কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কেএম হারুন অর রশিদ।
সর্ববৃহৎ জাতীয়তাবাদী অনলাইন সংগঠন জিয়া সাইবার ফোর্স এর ১০ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ সর্বস্তরে নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। দেশের প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক, অনলাইন এবং সোশ্যাল মিডিয়ার অনেক মিডিয়া ব্যক্তিত্ব উপস্থিত ছিলেন।