a
সংগৃহীত ছবি
গতকাল ২৪.০৫.২০২১ সোমবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নীলদল এর ঈদ উত্তর সাধারণ সভা অনলাইন মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় "শক্তশালী ঐক্য গড়তে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও কর্ম: আমাদের করণীয়" শীর্ষক বিষয়ে নীলদলের সদস্যবৃন্দ আলোচনা করেন।
সভায় বক্তাগণ বঙ্গবন্ধুর জীবনের নানান উদ্ধৃতি টেনে সংগঠন পরিচালনায় আদর্শ, ত্যাগ ও সততার প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। কোন ব্যক্তিগত চাওয়া-পাওয়া, পদ-পদবীর প্রতি মোহাচ্ছন্ন না থেকে আদর্শ ভিত্তিক জনহিতৈষী কাজ করতে সবার মতামত গ্রহণের উপর জোর দেয়া হয়। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের চর্চায় শিক্ষকদের মধ্যে পারস্পারিক শ্রদ্ধাবোধ ও বিশ্বাস বজায় রেখে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক রক্ষা করার কথা বলা হয়।
ক্যাম্পাসে শিক্ষা সহায়ক পরিবেশ বজায় রাখতে সবাই একমত পোষণ করেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ চর্চার মাধ্যমে উন্নত শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিতকল্পে শিক্ষকদের নিজ নিজ কর্মনিষ্ঠা অব্যাহত রাখার জন্য সবাই একমত পোষণ করেন। বিভিন্ন বিভাগে নতুন যোগদানকৃত শিক্ষকবৃন্দকে অভিনন্দন ও স্বাগত জানানো হয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান সমস্যাসমুহ দ্রুত নিরসনকল্পে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব শিক্ষকবৃন্দের মধ্য থেকে উপাচার্য নিয়োগ দেয়ার পক্ষে মত প্রকাশ করা হয়।
যে সমস্ত সহকর্মী বা তাদের আত্মীয়স্বজন করোনা মহামারীতে অসুস্থ হয়েছেন বা মৃত্যুবরণ করেছেন তাঁদের জন্য সহমর্মীতা ও শোক প্রকাশ করা হয়। সভায় বিভিন্ন অনুষদের ডিন, সিন্ডিকেট সদস্য, চেয়ারম্যানসহ সব স্তরের শিক্ষকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নীলদলের সভাপতি অধ্যাপক ড. জাকারিয়া মিয়া এর সভাপতিত্বে সভা পরিচালনা করেন নীলদলের সাধারণ সম্পাদক ড. মোস্তফা কামাল এবং অনলাইন জুম প্লাটফরম ব্যবস্থাপনায় ছিলেন নীলদলের দপ্তর সম্পাদক জনাব কাজী ফারুক হোসেন।
ফাইল ছবি
আজ রবিবার (৬ জুন) স্বাস্থ্যবিধি মেনে অবিলম্বে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে আবারও নীলক্ষেতে মোড়ে অবস্থান নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। বেলা ১১টার দিকে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ৩ দফা দাবিতে তারা অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন।
আন্দোলনকারীরা জানায়, গত বৃহস্পতিবার নীলক্ষেতের অবস্থান কর্মসূচি থেকে যে ৩ দফা দাবি জানানো হয়েছিল সেগুলো প্রশাসন মেনে নেয়নি। তাই আজকে আমরা এখানে আবারও অবস্থান নিয়েছি, প্রতিবাদ সমাবেশ করার জন্য।
আন্দোলনরত অন্য আরেক শিক্ষার্থী বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই আমাদের দাবি ছিল সব বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা কার্যক্রমের পরিকল্পনা নিয়ে একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রণয়ন করা। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আজ অবধি একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ করেননি।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ৩দফা দাবিগুলো হলো-
১. স্বাস্থ্যবিধি মেনে অবিলম্বে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ারও রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে।
২. সব বর্ষের শিক্ষার্থীদের শিক্ষাকার্যক্রম (ক্লাস, পরীক্ষা, ফলাফল প্রকাশ) এর পরিকল্পনা নিয়ে একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ করতে হবে।
৩. প্রস্তুতির জন্য পর্যাপ্ত সময় দিয়ে পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ এবং হল খুলে সব পরীক্ষা নিতে হবে।
অবিলম্বে তাদের দাবি মেনে না নেওয়া হলে আগামীতে আরও কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে বলে তারা জানান।
দেশের শিল্প খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ৪৮ ব্যক্তিকে ‘বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ’ ব্যক্তি হিসেবে (সিআইপি-শিল্প) নির্বাচিত করেছে সরকার। ২০১৭ সালের জন্য মনোনীত এসব সিআইপিরা এক বছরের জন্য পরিচয়পত্র পাবেন, যা দিয়ে বিভিন্ন সরকারি সুযোগ-সুবিধা নিতে পারবেন। বুধবার (১৩ নভেম্বর) শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
আগামী ২০ নভেম্বর রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের সিআইপি সম্মাননা দেয়া হবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, বিশেষ অতিথি থাকবেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এবং এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট শেখ ফজলে ফাহিম।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জাতীয় শিল্প উন্নয়ন পরিষদের ৬ জনসহ আটটি ক্যাটাগরিতে ৪২ জন সিআইপি সম্মাননা পাবেন। ২০১৭ সালের জন্য মনোনীত এসব সিআইপি এক বছরের জন্য পরিচয়পত্র পাবেন, যা দিয়ে বিভিন্ন সরকারি সুযোগ-সুবিধা নিতে পারবেন।
জাতীয় শিল্প উন্নয়ন পরিষদ (এনসিআইডি) ক্যাটাগরিতে সিআইপি (শিল্প) নির্বাচিত হয়েছেন ৬ জন, বৃহৎ শিল্প (উৎপাদন) খাতে সিআইপি হয়েছেন ১৫ জন, বৃহৎ শিল্প (সেবা) খাতের ৫ জন, মাঝারি শিল্প (উৎপাদন) খাতে ৯ জন, মাঝারি শিল্প (সেবা) খাতের ৩ জন, ক্ষুদ্র শিল্প (উৎপাদন) খাতের ৫ জন, ক্ষুদ্র শিল্প (সেবা) খাতের ১ জন, মাইক্রো শিল্প খাতে ২ জন এবং কুটির শিল্প খাতে ২ জন সিআইপি (শিল্প) নির্বাচিত হয়েছেন।
প্রসঙ্গত, নির্বাচিত সিআইপিরা কার্ড পাওয়ার পর থেকে এক বছরের জন্য ব্যবসা সংক্রান্ত ভ্রমণের সময় বিমান, রেলপথ, সড়ক ও জলপথে সরকারি যানবাহনে আসন সংরক্ষণের অগ্রাধিকার পাবেন। সহজে ভিসা পাওয়ার জন্য তাদের অনুকূলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট দূতাবাসকে ‘লেটার অব ইন্ট্রোডাকশন’ দেবে। বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ-২ ব্যবহারের সুবিধা এবং সচিবালয়ে প্রবেশের পাস পাবেন তারা।
এছাড়া, সরকারি হাসপাতালে স্ত্রী, সন্তান ও নিজের চিকিৎসা সেবা গ্রহণে অগ্রাধিকার পাবেন। সরকার শিল্পবিষয়ক নীতিনির্ধারণী কোনো কমিটিতে সিআইপিদের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে।
বিদেশে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বৈঠকের সুযোগ পাবেন সরকারি নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে।