a শিবির সম্পৃক্ততায় আটক জবির ১১ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার
ঢাকা রবিবার, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

শিবির সম্পৃক্ততায় আটক জবির ১১ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার


জগন্নাথ প্রতিনিধি
সোমবার, ০৪ এপ্রিল, ২০২২, ০৭:০৪
শিবির সম্পৃক্ততায় আটক জবির ১১ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার 

ফাইল ছবি

দেশের সার্বভৌমত্ব ক্ষতিগ্রস্থ করাসহ আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর অভিযীগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষের ১১ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত ৩০ মার্চ ২০২২ তারিখে রেজিস্ট্রার দপ্তর, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস আদেশ এ তথ্য জানানো হয়।

অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়, শিক্ষার্থীগণ দেশের সার্বভৌমত্ব ক্ষতিগ্রস্থ করাসহ দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করা, আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটানো ও বিভিন্ন স্থানে সরকার বিরোধী স্লোগান দিয়ে জনগণের মধ্যে ভীতি সঞ্চার করা, এবং ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ধরনের অন্তর্ঘাতমূলক কাজের মাধ্যমে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করায় তাদেরকে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিস্কার করা হলো ।

১১ জন শিক্ষার্থীরা হলেন- রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষের ইব্রাহীম আলী। ইতিহাস বিভাগের ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষের ইসরাফিল হোসেন। সংগীত বিভাগের ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের আল মামুন রিপন ।

লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষের মো : মেহেদী হাসান। হিসাববিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের মো : রওসন উল ফেরদৌস। রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের মো : মেহেদী হাসান। বাংলা বিভাগের ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের শ্রাবণ ইসলাম রাহাত ।ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০১৭-২০১৮শিক্ষাবর্ষের মো: ফাহাদ হোসেন। রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের মো : ওবায়দুল ইসলাম। হিসাববিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের মো : শাহিন ইসলাম । প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের আব্দুর রহমান অলি।

এর আগে, গত ২৪ মার্চ মধ্যরাতে রাজধানীর গেন্ডারিয়া থানার ধুপখোলা এলাকার একটি মেস থেকে অভিযান চালিয়ে শিবির সন্দেহে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করেন কোতোয়ালি থানা পুলিশ।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

আগামীকাল ঢাবি’র ক-ইউনিটের পরীক্ষা


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
বৃহস্পতিবার, ০৯ জুন, ২০২২, ০৭:৪৮
আগামীকাল ঢাবি’র ক-ইউনিটের পরীক্ষা

ফাইল ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ক’ ইউনিটের প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষা আগামীকাল শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকাসহ সারাদেশে ৮টি বিভাগীয় শহরের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বেলা ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত একযোগে অনুষ্ঠিত হবে।

এবছর ‘ক’ ইউনিটে এক হাজার ৮৫১টি আসনের বিপরীতে মোট আবেদনকারীর সংখ্যা এক লাখ ১৫ হাজার ৭০৮ জন। সে হিসেবে প্রতি আসনের বিপরীতে পরীক্ষার্থী রয়েছেন প্রায় ৬৩ জন।

‘ক’ ইউনিটের পরীক্ষায় ভর্তি পরীক্ষার মোট নম্বর ১২০। এর মধ্যে ১০০ নম্বরের এমসিকিউ এবং লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এমসিকিউ-এর জন্য ৬০ নম্বর এবং লিখিত বা বর্ণনামূলকের জন্য ৪০ নম্বর থাকবে। এমসিকিউ-এর জন্য ৪৫ মিনিট এবং লিখিত বা বর্ণনামূলকের জন্য ৪৫ মিনিট বরাদ্দ থাকবে।

ক-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি অনুষদ ও পাঁচটি ইনস্টিটিউটের বিভিন্ন বিভাগে ভর্তি নেওয়া হয়। অনুষদগুলো হলো, বিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, ফার্মেসি, আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদ।

অপরদিকে, ইনস্টিটিউটগুলোর মধ্যে আছে, পরিসংখ্যান গবেষণা ও শিক্ষণ ইনস্টিটিউট, পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট, তথ্য প্রযুক্তি ইনস্টিটিউট, ইনস্টিটিউট অব লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রভৃতি। সূত্র: বিডি প্রতিদিন

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

ভন্ডামি পরিবার, সমাজ তথা সর্বত্রই ক্ষতিকর ও অসংখ্য দুর্ভোগের কারণ


কর্নেল(অব.) আকরাম, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫, ১১:০২
ভন্ডামি পরিবার, সমাজ তথা সর্বত্রই ক্ষতিকর ও অসংখ্য দুর্ভোগের কারণ

ছবি সংগৃহীত

 

ভণ্ডামি পরিবার ও সমাজ—উভয়ের জন্যই মারাত্মক ক্ষতিকর এবং এটি অসংখ্য দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যখন ব্যক্তিস্বার্থ সমাজের মূল চালিকাশক্তি হয়ে ওঠে, তখন ভণ্ডামি ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করে, যা শেষ পর্যন্ত সমাজের অবক্ষয় ডেকে আনে।  

আমাদের সমাজে ভণ্ডামির চর্চা এখন এতটাই স্বাভাবিক হয়ে গেছে যে, আমরা দীর্ঘদিন ধরেই এই অভ্যাসের শিকার। এর ফলে আমাদের ঐতিহ্যবাহী নীতি ও মূল্যবোধ দ্রুত ক্ষয়প্রাপ্ত হচ্ছে। সমাজের সামাজিক বন্ধনগুলো ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে এবং সাধারণ মানুষই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। যদিও পবিত্র কোরআনে ভণ্ডামিকে গুরুতর পাপ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, কিন্তু আমরা তা মানতে খুব একটা আগ্রহী নই।  

সমাজের সর্বস্তরের নেতারাও এই ভণ্ডামির ভাইরাস থেকে মুক্ত নন। ধীরে ধীরে সম্পূর্ণ নেতৃত্ব কাঠামো এতে আক্রান্ত হয়েছে, ফলে সাধারণ জনগণের মধ্যে নেতাদের প্রতি বিশ্বাস হারিয়ে যাচ্ছে। আমাদের বেশিরভাগ নেতাই ভণ্ড, যাদের জনগণের স্বার্থের প্রতি ন্যূনতম শ্রদ্ধাবোধ নেই। তাদের একমাত্র লক্ষ্য হলো ধন-সম্পদ উপার্জন, যা এখন সমাজের নেতৃত্ব কাঠামোর সাধারণ প্রবণতায় পরিণত হয়েছে। ভালো ও সৎ নেতা খুঁজে পাওয়া এখন বিরল ব্যাপার।  

যদি একটি সমাজের নেতারা বিপুল সংখ্যায় ভণ্ডামিতে নিমজ্জিত হয়, তবে সেই সমাজের জন্য ভালো কিছু আশা করা যায় না। দুর্ভাগ্যবশত, স্বাধীনতার পর থেকেই আমাদের সমাজ এই ধরনের ভণ্ড নেতাদের শিকার হয়ে আসছে। স্বাধীনতার পরবর্তী পরিস্থিতি আমাদের জন্য খুব বেশি ইতিবাচক অভিজ্ঞতা বয়ে আনেনি। শুরু থেকেই নেতারা জনগণের কল্যাণের চেয়ে নিজেদের ভাগ্য গড়ার দিকেই বেশি মনোযোগ দিয়েছে। তবে এর ব্যতিক্রমও ছিল, যেমন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, যিনি জাতির সেবা করেছেন। গত ৫৩ বছরের ইতিহাসে এ রকম ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত খুবই কম দেখা গেছে।  

একটি সমাজ কখনোই উন্নতি করতে পারে না যদি তার নেতারা ভণ্ড ও দুর্নীতিগ্রস্ত হয়। আমরা এই অসৎ নেতাদের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছি এবং ভবিষ্যতেও এর ফল ভোগ করতে হবে। জাতির রক্ষক হিসেবে বিবেচিত শীর্ষ রাজনৈতিক নেতারা অত্যন্ত অসৎ, এবং তারা দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করে জনগণের অর্থ লুটপাট করেছে।  

শুধু রাজনৈতিক নেতারাই নয়, প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আমলা এবং সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনামলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। যারা ক্ষমতার কেন্দ্রে ছিলেন, তারা সবাই নিজেদের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে সম্পদের পাহাড় গড়ার সুযোগ হাতছাড়া করেননি। গত ১৫ বছর ধরে এটিই ছিল সাধারণ চিত্র।  

এখন এই ভাগ্যবান দুর্নীতিবাজদের অনেকেই নির্দোষ সাজতে চাচ্ছেন এবং জনগণের সহানুভূতি আদায় করে ভবিষ্যতে আরও সুবিধা নিতে চাইছেন। যখন একজন অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের চেষ্টা করেন, তখন তা শুধু হাস্যকরই নয়, বরং আরও বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে এবং নতুন বিতর্কের জন্ম দেয়। সাধারণ মানুষের মধ্যে এটি একটি প্রচলিত ধারণা হয়ে উঠেছে যে, "সর্বোত্তম বন্ধুর" অনুমোদন ছাড়া গত ফ্যাসিবাদী শাসনামলে কেউ জেনারেল হতে পারেননি।  

আমরা ভাগ্যবান যে, একটি নতুন বাংলাদেশ গঠনের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, কিন্তু একইসঙ্গে দেশজুড়ে বিভ্রান্তিও বিরাজ করছে। এখন সবচেয়ে জরুরি হলো, রাজনৈতিক দলগুলোকে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে এবং দেশের ভবিষ্যৎ গঠনে নিষ্ঠাবান হতে হবে।  

প্রশ্ন হচ্ছে, আমরা কি জাতির স্বার্থে ভবিষ্যতে ভণ্ডামি ছাড়া রাজনীতি করতে পারব? সময় এখনই, নয়তো কখনোই নয়।

 

লেখক: অধ্যাপক কর্নেল আকরাম, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর জনপ্রিয়

সর্বশেষ - আমার ক্যাম্পাস