a
ফাইল ছবি
১৭ই অক্টোবর (রবিবার) গুচ্ছভুক্ত ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষাবর্ষ ২০২০-২১এর ভর্তি পরীক্ষা একযোগে সারাদেশে ২৬ টি বিশ্ববিদ্যালয়ে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
১৭ অক্টোবর (রবিবার) সকাল থেকে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে নির্ধারিত সময়ের আগে আসতে শুরু করে পরীক্ষা কেন্দ্রে। ঢাকা সহ আশেপাশের জেলার শিক্ষার্থীদের পছন্দের কেন্দ্র ছিলো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)।
আজ সরজমিনে দেখা যায় সকাল থেকে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গেইট সহ আশেপাশের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নেয়। সকাল সাড়ে ১০ টা নাগাদ ক্যাম্পাসের গেইট গুলো খুলে দিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠনের সার্বিক সহযোগিতায় শিক্ষার্থীরা একে একে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করেন। বিভিন্ন জেলার ছাত্র কল্যাণ পরিষদ গুলো তাদের নিজ নিজ জেলার নামে ব্যানার নিয়ে দুরথেকে আগত পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে টেবিল নিয়ে বাহাদুর শাহ পার্ক ও জবি গেটের আশেপাশে অবস্থান করে।
ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে সকল অপ্রীতিকর পরিস্থিতির জন্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়ালবডির সদস্যগণ সকাল থেকে ক্যাম্পাসে উপস্থিত ছিলেন। সেই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির জন্য পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করেন।
পরীক্ষা শুরু হওয়ার নির্ধারিত সময়ে শিক্ষার্থীদের হাতে প্রশ্ন তুলে দেয় শিক্ষকেরা। শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন পেয়ে সাথে সাথে নির্বিঘ্নে পরীক্ষা দিতে শুরু করে প্রত্যেকটা কেন্দ্রে। ক্যাম্পাসে প্রশ্ন ফাঁস রোধে ভ্রাম্যমান ম্যাজিস্ট্রেট টহলরত অবস্থায় ছিলো সার্বক্ষণিক। এই সময় পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ ইমদাদুল হক। সাথে ছিলেন কোষাধক্ষ ড. কামাল উদ্দিন আহমদ, রেজিস্টার ওয়াহিদুজ্জামান ও বিভিন্ন বিভাগের ডিন, প্রক্টোরিয়ালবডির সদস্যগণ।
পরিদর্শন শেষে জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ ইমদাদুল হক সাংবাদিকদের বলেন, " পরীক্ষার্থীদের যাতে কোন ডিস্টার্ব না হয় সেজন্য আমরা সবগুলো হলের ভিতরে প্রবেশ করিনি। তাদের জন্য পরীক্ষাগুলো গুরুত্বপূর্ণ। এক নম্বরের জন্য সিরিয়াল অনেক পেছনে চলে যেতে পারে।"
পরীক্ষা শেষে ভর্তিচ্ছু একাধিক শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা একসাথে ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিতে পেরে খুশি। এই নতুন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এভাবে পরীক্ষা নিলে আমাদের জন্য সুবিধা হতো।
বেশিরভাগ পরীক্ষার্থীরা ও অভিভাবকগণ বলেন, প্রশ্ন কিছুটা কঠিন হলেও সার্বিকভাবে আমরা সন্তুষ্ট সুন্দর ভাবে পরীক্ষা দিতে পেরে। আমাদের আর্থিক ও মানসিকভাবে অনেক উপকার হয়েছে।
এই বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ ইমদাদুল হক সাংবাদিকদের বলেন, আমরা শুরু থেকেই সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার সাথে ছিলাম। শিক্ষার্থীরা সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা দিচ্ছে এটাই আমাদের পরিশ্রমের সফলতা। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর অবস্থা তৈরি হয়নি ক্যাম্পাসে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ঈদ উপহার বিতরণ করলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতা পিয়াল দাস অনুপ।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ মানবতার সেবায় সর্বদা এগিয়ে। যেকোনো দুর্যোগ ও মহামারি মোকাবেলায় ছাত্রলীগের সূর্য সন্তানরা মানুষের পাশে থেকেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার ক্ষুধা মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সর্বদা নিয়োজিত।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সূযোগ্য সভাপতি অাল নাহিয়ান খান জয় ভাই ও বিচক্ষণ সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য দাদার নির্দেশে মানুষের জন্য কাজ করে যাবো প্রতিটি নেতাকর্মী। শিক্ষা,শান্তি আর প্রগতির পতাকাবাহী সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
এ করোনার মহামারীতে মানুষের পাশে থেকে মানুষের জন্য কাজ করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ যে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে তা অন্য কোন সংগঠন করেনি।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।
ছবি: সংগৃহীত
টি-২০ বিশ্বকাপে সাবেক দুই চ্যাম্পিয়ন ভারত ও পাকিস্তানের শুরুটা হয়েছে ব্যতিক্রমভাবে। আয়ারল্যান্ডকে হারিয়ে রোহিতরা ভালোভাবেই মিশন শুরু করেছেন।
অন্যদিকে বাবর আজমদের শুরটা ভালো হয়নি। পাকিস্তানের শুরুটা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হার দিয়ে। ফলে সুপার এইটে উঠার লড়াইয়ে ভারতের বিপক্ষে রোমাঞ্চকর ম্যাচে তাদের জয় পেতেই হবে।
আজ (রবিবার) নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী এই দুই দল। বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় শুরু হবে এই লড়াই। গোটা ক্রিকেট বিশ্ব এই ম্যাচটি দেখতে উন্মুখ হয়ে বসে আছে।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে পাক-ভারত দ্বৈরথের ইতিহাস বেশ পুরনো। তাই শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে দুই দলের এই ম্যাচের আগে ভারত-পাকিস্তানের বিগত পরিসংখ্যানে একবার চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক।
বিশ্বকাপের অতীত পরিসংখ্যান এবং শক্তির বিচারে পাকিস্তানের চেয়ে বেশ এগিয়ে ভারত। আইসিসির টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থানও এখন তাদের দখলে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলছে পাকিস্তানের দল। তাই লড়াইটা যে সহজ হবে না, সেটা নিশ্চিত বলা যায়।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ৭ বার মুখোমুখি হয়েছে ভারত-পাকিস্তান। জয়ের হিসাবে পাকিস্তানের চেয়ে বেশ এগিয়ে ভারত। বিশ্বমঞ্চে মুখোমুখি ৭ বার, ছয়টিতেই জিতেছে ভারত। সবশেষ ২০২১ বিশ্বকাপে ভারতকে হারিয়েছিল পাকিস্তান।
টি-টোয়েন্টিতে দু’দলের মোট ১২ দেখায় মাত্র তিনটি ম্যাচ জিতেছে পাকিস্তান। আর ভারত জিতেছে ৯টি। তবে পরিসংখ্যান যেমনই হোক, মাঠে নিজেদের সেরাটা দিলে যেকোনো প্রতিপক্ষের জন্যই যে দুঃস্বপ্ন হয়ে উঠতে পারে পাকিস্তান, সেটার প্রমাণ অনেকবারই দিয়েছেন বাবর-রিজওয়ানদের দল।সূত্র: বিডি প্রতিদিন