a
মুক্ত সংবাদ প্রতিদিন : চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও স্টেট কাউন্সিলর ওয়েই ফেঙ্গি ঢাকায় একদিনের সফরে আসছেন। আগামীদিন মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) সকালে তিনি ঢাকায় পৌঁছাবেন।
শনিবার (২৪ এপ্রিল) দিবাগত রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, সংক্ষিপ্ত সফরে ওয়েই ফেঙ্গি রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাত করবেন।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর ঢাকা সফর বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে। কেননা, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে ভারত থেকে টিকা পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেওয়ায় চীনের সঙ্গে বাংলাদেশ যোগাযোগ করছে। আর চীনও বাংলাদেশকে টিকা দিতে প্রস্তুত। বিভিন্ন সূত্র বলছে, বাংলাদেশ সরকার চাইলে যেকোনো মুহূর্তে চীন টিকা পাঠিয়ে দেবে। সেক্ষেত্রে শুরুতে ৫ থেকে ৬ লাখ ভ্যাকসিন উপহার হিসেবে চীন বাংলাদেশকে দেবে।
চলমান পরিস্থিতির কারণে ভ্যাকসিন ইস্যু ছাড়াও বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর জন্য সমরাস্ত্রের বড় উৎস চীনের সঙ্গে প্রতিরক্ষা খাতে বেইজিংয়ের সঙ্গে ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। তাছাড়া বিশ্ব রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে চীনের উদ্যোগের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) থেকে যেন বিমুখ না হয় বাংলাদেশ সেদিকেও ওয়েই ফেঙ্গির নজর থাকবে।
গত বছরের নভেম্বরের শেষের দিকে এক দিনের সফরে চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওয়েই ফেঙ্গি নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে ঢাকায় আসার কথা ছিল। কিন্তু সে সময় সফর ওয়েই ফেঙ্গি বাতিল করেন।
ফাইল ছবি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
আন্দোলনের নামে বেশি বাড়াবাড়ি করলে তাদের নেত্রী খালেদা জিয়াকে আবারও জেলে পাঠিয়ে দেবো বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ বৃহস্পতিবার জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার ১০ বছরের জেল দেয়া হয়েছে। কিন্তু তিনি অসুস্থ, বয়োবৃদ্ধ এজন্য তার বোন, ভাই এবং বোনের জামাই আমার কাছে এসেছে এবং আবেদন করেছে। এজন্য তার সাজা স্থগিত করে তাকে বাড়িতে থাকার সুযোগ করে দিয়েছি। মানবিক কারণেই দিয়েছি।
তিনি বলেন, এখন যদি বিএনপি বেশি বাড়াবাড়ি করে, তাহলে আবার তাকে জেলে পাঠিয়ে দেব। খালেদা জিয়ার আমলে কয়টা সরকার ছিল? প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে একটা আর অন্যদিকে হাওয়া ভবনে একটা। কোনো উন্নয়নের কাজ হয়নি। ১৯৯৬ সালে যখন সরকার গঠন করলাম। তখন ৪০ লাখ মেট্রিকটন খাদ্য ঘাটতি। এর মাধ্যমে বোঝাই যাচ্ছে খালেদা জিয়া তার সরকারের আমলে কোনো ফসলই উৎপাদন করতে পারেনি।
অনুষ্ঠানে জেল হত্যা দিবসে যে চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছে তার জন্য জিয়াউর রহমানকে দায়ী করেন। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
সংগৃহীত ছবি
মুজিববর্ষ উপলক্ষে দেশে ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে আজ বৃহস্পতিবার প্রথম পর্যায়ে ৫০টি দৃষ্টিনন্দন মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সকাল সাড়ে ১০টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই উদ্বোধন ঘোষণা করেন তিনি।
যেসব মডেল মসজিদ আজ উদ্বোধন করা হয়েছে সেগুলো হচ্ছে-
ঢাকার সাভার, ফরিদপুরের মধুখালী, কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া, কুলিয়ারচর, মানিকগঞ্জের শিবালয়, রাজবাড়ী সদর, শরীয়তপুর সদর, গোসাইরহাট, বগুড়ার সারিয়াকান্দি, শেরপুর, কাহালু, পাবনার চাটমোহর, সিরাজগঞ্জ সদর, রাজশাহীর গোদাগাড়ী, পবা, দিনাজপুরের খানসামা, বিরল, লালমনিরহাটের পাটগ্রাম, পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ, রংপুর সদর, পীরগঞ্জ সদর, বদরগঞ্জ।
এছাড়াও তালিকায় রয়েছে ঠাকুরগাঁওয়ের হরিদপুর, জামালপুরের ইসলামপুর সদর, ময়মনসিংহের গফরগাঁও, তারাকান্দা, ভোলা সদর, ঝালকাঠির রাজাপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর, নবীনগর, চাঁদপুরের কচুয়া, চট্টগ্রাম জেলা সদর, লোহাগড়া, মিরসরাই, সন্দ্বীপ, কুমিল্লার দাউদকান্দি, খাগড়াছড়ির পানছড়ি, নোয়াখালীর সুবর্ণচর, খুলনা জেলা সদর, চুয়াডাঙ্গা জেলা সদর, কুষ্টিয়া জেলা সদর এবং সিলেটের দক্ষিণ সুরমা মসজিদ।
প্রসঙ্গত, বিশ্বের ইতিহাসে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় একসঙ্গে ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার ইতিহাসে কমই আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে মোট ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন করতে যাচ্ছেন।